
মিনহাজুল আবেদীন, ইস্তানবুল

পৃথিবীর দুই মহাদেশের মিলনস্থল ইস্তাম্বুলের উপকূলে ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করে একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা প্রতিষ্ঠান—হাকামের (HAKAMER)। “সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট স্টাডিজ” নামক এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে নিরপেক্ষ, মৌলিক ও গভীর গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকদের উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করা।
হাকামেরের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাকাডেমিক গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। প্রতিষ্ঠানটি গবেষকদের জন্য বৃত্তি প্রদান, গবেষণাগার সুবিধা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
হাকামেরের পেছনের প্রেরণা ও প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ বিরিশিক। ভারতীয় উপমহাদেশে তার দীর্ঘ গবেষণা অভিজ্ঞতা, বিশেষত উর্দু তাফসির ও আহলে কুরআন আন্দোলন নিয়ে তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, হাকামের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান শুরু করেছে। এছাড়া সপ্তাহে একটি করে সেমিনার, সার্টিফিকেট কোর্স, ইউটিউব চ্যানেল, এবং ভবিষ্যতে উপমহাদেশের ভাষাগুলোর (উর্দু, ফারসি, হিন্দি, বাংলা) শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা হাকামেরকে অ্যাকাডেমিক হাবে পরিণত করছে।
প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিতে রয়েছে উপমহাদেশ বিষয়ক শতাধিক বই, গবেষণা থিসিস ও দুর্লভ পাণ্ডুলিপি। ওসমানীয় আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তুর্কী-উপমহাদেশীয় সম্পর্কও তাদের গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
ড. বিরিশিক বলেন, “আমাদের ভারতীয় ভাইয়েরা তাদের কোট বিক্রি করে আমাদের সহায়তা করতে এসেছিলেন। এমন আত্মত্যাগ আমরা ভুলতে পারি না। হাকামের সেই বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে কাজ করছে।”
উপমহাদেশের গবেষণায় আগ্রহী যে কোনো গবেষকের জন্য হাকামের হতে পারে একটি নতুন দিগন্ত। শুধু গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন তৈরিতেও এটি হয়ে উঠছে একটি অগ্রণী প্ল্যাটফর্ম।

পৃথিবীর দুই মহাদেশের মিলনস্থল ইস্তাম্বুলের উপকূলে ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করে একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা প্রতিষ্ঠান—হাকামের (HAKAMER)। “সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট স্টাডিজ” নামক এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে নিরপেক্ষ, মৌলিক ও গভীর গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকদের উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করা।
হাকামেরের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাকাডেমিক গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। প্রতিষ্ঠানটি গবেষকদের জন্য বৃত্তি প্রদান, গবেষণাগার সুবিধা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
হাকামেরের পেছনের প্রেরণা ও প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ বিরিশিক। ভারতীয় উপমহাদেশে তার দীর্ঘ গবেষণা অভিজ্ঞতা, বিশেষত উর্দু তাফসির ও আহলে কুরআন আন্দোলন নিয়ে তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, হাকামের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান শুরু করেছে। এছাড়া সপ্তাহে একটি করে সেমিনার, সার্টিফিকেট কোর্স, ইউটিউব চ্যানেল, এবং ভবিষ্যতে উপমহাদেশের ভাষাগুলোর (উর্দু, ফারসি, হিন্দি, বাংলা) শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা হাকামেরকে অ্যাকাডেমিক হাবে পরিণত করছে।
প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিতে রয়েছে উপমহাদেশ বিষয়ক শতাধিক বই, গবেষণা থিসিস ও দুর্লভ পাণ্ডুলিপি। ওসমানীয় আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তুর্কী-উপমহাদেশীয় সম্পর্কও তাদের গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
ড. বিরিশিক বলেন, “আমাদের ভারতীয় ভাইয়েরা তাদের কোট বিক্রি করে আমাদের সহায়তা করতে এসেছিলেন। এমন আত্মত্যাগ আমরা ভুলতে পারি না। হাকামের সেই বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে কাজ করছে।”
উপমহাদেশের গবেষণায় আগ্রহী যে কোনো গবেষকের জন্য হাকামের হতে পারে একটি নতুন দিগন্ত। শুধু গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধন তৈরিতেও এটি হয়ে উঠছে একটি অগ্রণী প্ল্যাটফর্ম।

মেঘে ঢাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে এক ফালি চাঁদ উঁকি দিয়ে যেমনি তার আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিয়ে ধরণিকে দীপ্তিময় করে তোলে, তেমনি সব অজুহাত ও বাধা অতিক্রম করে অবশেষে গুম-খুনের মতো অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এক বলিষ্ঠ ও আশাপ্রদ পদক্ষেপ।
১৮ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৬ বছরের মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পর বর্ষাবিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সমগ্র দেশবাসী আশা করেছিল নতুন বন্দোবস্তের ভিত্তিতে নতুন এক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মিত হবে। নতুন ধারার সরকারব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে। সংগঠন ও কাঠামোয় গুণগত পরিবর্তন আসবে। রাষ্ট্রসংস্কারের মৌলিক ভাবনা বাস্তবায়িত
১৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি আজ এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। আফগানিস্তান, দীর্ঘ যুদ্ধ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের পর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এক সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ভারত তার কূটনৈতিক ও উন্নয়ন-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে যেন এক উদার বন্ধুর মতো।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিত এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক বিবর্তনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে কেউ বিপ্লব বলেন, কেউ বিদ্রোহ, কেউ আবার ক্ষমতার পালাবদল বলে থাকেন।
১৯ ঘণ্টা আগে