রাষ্ট্রনায়ক, সমরনায়ক ও কূটনীতিক জিয়াউর রহমান

মে. জে. (অব.) ফজলে এলাহি আকবর
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ০৮
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ২৮

আজ ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলি উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। জন্মবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে এই কীর্তিমান পুরুষকে নিয়ে কয়েকটি কথা লেখার হার্দিক তাগিদ অনুভব করছি।

জেনারেল জিয়ার ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে খুব কাছ থেকে এই মহান মানুষটিকে দেখার বিরল সৌভাগ্য হলেও আজ তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতির ঝাঁপি না খুলে তা জমিয়ে রাখলাম ভবিষ্যতে আরও বড় কলেবরে প্রকাশ করার জন্য। আজ শুধুই জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করব তার কিছু অনন্যসাধারণ কাজের জন্য, যা হতে পারে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের জন্য অফুরান অনুপ্রেরণার উৎস।

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অবশ্যম্ভাবী রূপেই এসে পড়বে তার সামরিক জীবনের সব অর্জনের কথা। জিয়াউর রহমান ১৯৫৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১২ পিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। মেধাবী জিয়া কোর্সের প্রথম ১০ শতাংশ ক্যাডেটের মধ্যে স্থান করে নেন, যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রেওয়াজ অনুযায়ী ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার জন্য ধাপে ধাপে তৈরি হন।

জিয়াউর রহমানও কমান্ডো প্রশিক্ষণ, প্যারাট্রুপিং এবং বিশেষ গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বল্প মেয়াদের চাকরিতেই নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য যোগ্য করে তোলার দুর্গম যাত্রায় শরিক হন। এরই মধ্যে বেজে ওঠে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা। জিয়াউর রহমান তখন কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানির দায়িত্ব পান।

খেমকারান সেক্টরের বেদিয়ান হেডব্রিজ এলাকায় দায়িত্বরত এই ব্যাটালিয়নের শৌর্যবীর্যের কাহিনি একসময় কিংবদন্তিতে রূপ নেয়। ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চ ১২টি খেতাব জিতে নেয়। অকুতোভয় জিয়াউর রহমান লাভ করেন বীরত্বের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘হিলাল ই জুরাত’।

আসে ১৯৭১। ২৬ মার্চ কালরাতে বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা। ঢাকার রাস্তা প্রকম্পিত হয় ঘাতকের ভারী বুট আর সামরিক যানের যান্ত্রিক আওয়াজে। রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে ভেঙে ঘাতকের মারণাস্ত্র মুহুর্মুহু গর্জে ওঠে রাতের আকাশ বিদীর্ণ করে। মুহূর্তে শ্মশানে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস-সহ অসহায় ছিন্নমূল মানুষের অস্থায়ী আবাসগুলো।

zia-9

অন্যদিকে বাঙালির স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষায় পানি ঢেলে দিয়ে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পশ্চিম পাকিস্তান চলে যান। বাকি নেতারা মূল নেতার অনুকরণে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। দিকনির্দেশনাহীন জাতির সামনে তখন অমাবস্যার ঘোর অমানিশা। দিগ্‌ভ্রান্ত সেই জাতির জন্য তখন ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি অধিনায়ক লে. কর্নেল জানজুয়াকে হত্যার নেতৃত্ব দিয়ে ‘উই রিভোল্ট’ বলে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে বিদ্রোহ করা ‘মেজর জিয়াউর রহমান’।

কালুরঘাটের বেতারকেন্দ্র থেকে প্রথমে নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান এবং পরে শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি সেদিন শুধু দেশপ্রেমের প্রবল পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেননি, তার এই ঘোষণা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণার অবদান অস্বীকার করার জন্য বিগত ১৬ বছর যারপরানই চেষ্টা করেছে, কিন্তু সত্য আপন মহিমায় এতটাই সমুজ্জ্বল যে, তাদের কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ, দেশি-বিদেশি বহু প্রথিতযশা ব্যক্তি তাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণার ঐতিহাসিক তাৎপর্য নিয়ে অনেক মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। পৃথিবীর অনেক নামকরা দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকায় জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণাকে সেই দিনগুলোয় ফলাও করে প্রচার করে, যা বিশ্ববিবেক জাগ্রত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

জিয়াউর রহমান এরপর স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের মধ্যে প্রথমে ১নং সেক্টর এবং পরে ১১নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ৩০ জুলাই তিনি তার নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে গড়ে ওঠা ‘জেডফোর্সের’ নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। জেডফোর্সের নেতৃত্বাধীন ব্যাটালিয়ন ১, ৩ ও ৮ ইস্ট বেঙ্গল স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেকগুলো ছোট-বড় যুদ্ধে অংশ নেয়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধে জিয়াউর রহমান সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

উদাহরণস্বরূপ কামালপুরের প্রথম যুদ্ধ, ধলই চা-বাগান যুদ্ধ, বিলোনিয়ার যুদ্ধ, নকশী বি ও পির যুদ্ধ, দেওয়ানগঞ্জ থানা আক্রমণ, বাহাদুরাবাদ যুদ্ধ, টেংরাটিলা, কানাইঘাট, এমসিকলেজ, গৌরিপুর যুদ্ধ সহ অসংখ্য ছোট বড় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা এবং কার্যকর করতে জিয়াউর রহমান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জিয়াউর রহমানের যুদ্ধকালীন অকুতোভয় ভূমিকার কারণে বাংলাদেশ সরকার তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পদক, ‘বীর উত্তম’ প্রদান করেন।

জিয়াউর রহমান যেন সত্যিই সৌভাগ্যের বরপুত্র। দুটি পৃথক দেশের পক্ষে আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপটে জীবিত যোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ বীরত্ব পদক, প্রথম বিদ্রোহের সূচনা করা, প্রথম সেক্টরকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং জেডফোর্স নামে গড়ে তোলা প্রথম ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সব অতি বিরল ‘প্রথম’ কর্মকুশলতার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের নামটি কি সত্যিই কাকতালীয়? নাকি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় বান্দাকে দুনিয়ার বুকে এমনভাবে সন্মানিত করতে চেয়েছেন যে, নিন্দুকেরা শত চেষ্টা করেও যেন তার নাগাল না পায়।

জিয়াউর রহমান যেমন ছিলেন একজন কুশলী সমরবিদ, তেমনি তিনি ছিলেন তুখোড় কূটনৈতিক। শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ভাষায় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’কে তিনি আমূল বদলে দিতে মরণপণ লড়াইয়ে নামলেন। শেখ মুজিবের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র, ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতির বিপরীতে তিনি প্রণয়ন করেন স্বনির্ভর, গ্রামীণ উন্নয়ন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ, মুক্তবাজার ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণসহ মোট ১৯ দফা কর্মসূচি।

তার প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার। তাই তিনি অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেন। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামালে অনেক দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৭৪ সালের ওআইসি সন্মেলনে যোগ দেওয়ার পর কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব, ইরান ও লিবিয়ার মতো দেশগুলো ১৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। চীনও একই পথ অনুসরণ করে।

জিয়াউর রহমান নতুন উন্মুক্ত হওয়া এই সুযোগকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অনুঘটক হিসেবে কাজে লাগান। তিনি তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার খোলার জন্য সৌদি বাদশাহকে অনুরোধ করেন, বাদশাহ তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রাথমিকভাবে এক লাখ কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। জিয়াউর রহমানের হাতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে শ্রমবাজারের যে চারাটি রোপিত হয়েছিল, তা আজ শত পত্রপল্লবে সুশোভিত। জিয়াউর রহমান বাদশাহের বদান্যতায় খুশি হয়ে পরে সৌদি সরকারকে আরাফাত ময়দানে লাগানোর জন্য উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক নিমগাছ প্রদান করেন, যা আজও আরাফাতের ময়দানে হাজিদের নিরন্তর ছায়া প্রদান করে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান যে ঋজুতা দেখিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের পক্ষে তেমন দৃঢ়তা দেখানো সত্যি বিরল। ইরানে মার্কিন জিম্মি উদ্ধারে জাতিসংঘে আনা দুই ধরনের প্রস্তাবে বাংলাদেশ দুই ধরনের মতামত দিয়ে পররাষ্ট্রনীতিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। ১৯৭৯ সালের ৯ নভেম্বর ও ৪ ডিসেম্বরের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ, কারণ এগুলো ছিল জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব।

কিন্তু ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ১৯৮০ সালের ১৪ জানুয়ারি ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুটি প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থাকে। জিয়াউর রহমান মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে মনোযোগী হন। তিনি ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে চীন ভ্রমণ করেন এবং সেখানে দেখা কৃষিকাজের জন্য খননকৃত খালের অনুরূপ খাল খনন কর্মসূচি নিয়ে দেশে কৃষিবিপ্লব ঘটান। স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো চৈনিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের দল জিয়াউর রহমানের সময় বাংলাদেশে আসে। সময়ের পরিক্রমায় চীনের সঙ্গে এই বন্ধন আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় হয়েছে।

জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সঙ্গে তার সখ্য ছিল ঈর্ষণীয়। তার সময় ১৯৭৮ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস কালাহান বাংলাদেশ সফরে আসেন, যা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিয়াউর রহমানের দূরদর্শী কূটনীতির কারণে ১৯৭৮ সালে জাপানকে হারিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। শাহ এমএস কিবরিয়া এসকাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ও আরশাদুজ্জামান ওআইসির অ্যাসিটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন।

জিয়াউর রহমান প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী ছিলেন। ১৯৭৭ সালের মার্চে জনতা দল ক্ষমতায় এলে একই বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে তারা পাঁচ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি করে, যেখানে গ্যারান্টি ক্লজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ভারত আর কখনো গ্যারান্টি ক্লজ রাখেনি। ১৯৭৯ সালের ১৬-১৮ এপ্রিল মোরারজি দেশাই বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় পানির ন্যায্য হিস্যা বণ্টনের নিমিত্তে যৌথ নদী কমিশন গঠনে মতৈক্য হয়।

একইভাবে জিয়াউর রহমান ছিলেন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে আঞ্চলিক অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা উন্নয়নের যে স্বপ্ন জিয়া দেখেছিলেন, তা বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রথম পররাষ্ট্র সচিবীয় সভাটি বসেছিল কলম্বোয় ১৯৮০ সালের ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল। যদিও ১৯৮৫ সালে সার্ক চূড়ান্ত যাত্রা শুরু করে, তার পরও সার্ক সৃষ্টিতে জিয়াউর রহমানকেই প্রাণপুরুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পরিশেষে বলতে চাই, জিয়াউর রহমান তার মাত্র ৪৫ বছরের কর্মজীবনে সাফল্যের যে মহাকাব্য রচনা করেছেন, তা এককথায় একমেবাদ্বিতীয়ম। জাতি ও দেশের জন্য জিয়াউর রহমানের অতুলনীয় অবদান আমরা যেন ভুলে না যাই এবং নতুন প্রজন্ম যেন তাকে আরও নিবিড়ভাবে জানার সুযোগ পায়। গত ১৬ বছরে মিথ্যার নির্মোকে ঢাকা পড়া সত্যকে তুলে আনার সেই প্রচেষ্টাই হোক এই মহানায়কের প্রতি আমাদের জন্মদিনের অর্ঘ্য।

এমবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত