এম আবদুল্লাহ
শুক্রবার রাতে অনলাইনে সর্বশেষ সংবাদগুলোয় চোখ বুলাতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। খবরটি দুবার করে পড়তে হলো। প্রথমে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। ডেটলাইনটাও পরখ করে নিলাম। প্রথমে মনে হলো—পুরোনো খবর নয় তো! মাঝেমধ্যে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে পুরোনো খবর নতুন করে সামনে এলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে তুলে নেওয়ার পর লাশ ফেরত দেওয়ার সংবাদটি উৎকণ্ঠা জাগিয়েছে।
খবরে জানানো হয়, কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতনের কারণে মো. তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহত নেতার শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা। অবশ্য পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তৌহিদুলের লাশের ছবিতে কোমর থেকে নিচের দিকে রক্ত জমাট অবস্থায় দেখা গেছে।
৪০ বছর বয়সি তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি একই ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এক সপ্তাহ আগে গত রোববার তার বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়ি যান। শুক্রবার তার বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। তৌহিদুলের সংসারে স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রয়েছে।
প্রধান প্রধান সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত খবরটিতে চোখ বুলিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক পুরো ঘটনার দায় সেনাবাহিনীর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে তৌহিদুল ইসলামকে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পুলিশের কাছে তৌহিদুলকে হস্তান্তরের সময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শক্তির পরিকল্পিত নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনী। অকপটে স্বীকার করতে হবে, ৫ আগস্টের অবিস্মরণীয় বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর নিয়ামক ভূমিকা ছিল। শুধু তাই নয়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং বিগত প্রায় ছয় মাস দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতীক দেশপ্রেমিক এ বাহিনী। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত যৌথবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা শুরুর দিকে ছিল না। পরে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অধিকতর কার্যকর ভূমিকার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে ফেরানোর বেশ কয়েকটি অপচেষ্টা মাঠে থাকা সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর দক্ষতায় নস্যাৎ করা সম্ভব হয়।
কুমিল্লায় সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক ঘটনার পর (এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত) যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। কীসের ভিত্তিতে, কোন প্রেক্ষাপটে তৌহিদুলকে গভীর রাতে তুলে নেওয়া হলো, তা নিশ্চয়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাদেকুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা বিবেকবান মানুষের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করবে। সাদেকুর সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তারা বাবার কুলখানির আয়োজন নিয়ে কাজ করছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে আসেন। সঙ্গে সাদা পোশাকে পাঁচ যুবক ছিলেন। বাড়িতে প্রবেশ করেই তারা তৌহিদুলকে আটক করেন। এরপর ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তবে কিছু পাননি। তৌহিদুলকে আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো উত্তর দেননি। একপর্যায়ে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে আবারো সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে এসে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তখন গাড়িতে থাকা তৌহিদুলকে দূর থেকে নিস্তেজ মনে হচ্ছিল।
হতভাগ্য তৌহিদুলের ভাই সাদেকুর রহমান সহোদরের নিথর দেহ পাওয়ার বর্ণনা দিয়ে জানিয়েছেন, পুলিশের মাধ্যমে ফোন পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদুলকে মৃত অবস্থায় পান। তার কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে, কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন। তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাড়ির পাশের একটি পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরেই কেউ মিথ্যা অভিযোগ করতে পারে।
উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যেও কুমিল্লার ইউনিয়ন যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় নতুন বাংলাদেশে কয়েকটি ‘উন্নতি’র দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়। প্রথমত, তৌহিদুল গুম হননি। লাশটি অন্তত পেয়েছে পরিবার। নির্বিঘ্নে জানাজা ও দাফন করতে পেরেছে। পিতার যে কুলখানির আয়োজন চলছিল, সে আয়োজনে এখন হয়তো তৌহিদুলের ‘সাশ্রয়ী কুলখানি’ সম্পন্ন হবে! এখন পর্যন্ত পুলিশ বা কোনো পক্ষ থেকে তৌহিদুলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের সময় বাহিনীর ওপর ‘তৌহিদুল বাহিনী’র হামলার পর দুপক্ষের গোলাগুলির গল্প ফাঁদা হয়নি। কয়েক ডজন মামলা আছে বলে মিথ্যা দাবিও এখনো শোনা যায়নি। বাড়িতে দুদফা তল্লাশি করা হলেও অস্ত্র উদ্ধার বা ইয়াবাজাতীয় কিছু উদ্ধারের সাফল্য জাহির করা হয়নি। পুলিশকর্তা সেনাবাহিনীর ফোনে তৌহিদুলের নিথর দেহ গ্রহণের কথা নির্ভয়ে গণমাধ্যমের কাছে বলতে পেরেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক স্পষ্ট করে জানাতে পেরেছেন, তৌহিদুলের শরীরের কোন কোন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। পরিবারও পুরো ঘটনা নির্ভয়ে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে পেরেছে। স্ত্রী-সন্তান বিলাপ করতে পারছেন। ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগীর ভাগ্যে যা ঘটত, এসবই তৌহিদুলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। গুলিতে মরলেও ‘চোখটা অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া’র মতো সান্ত্বনা বৈকি!
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রামের বাড়িতে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার স্বামীর জন্য বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ইয়াসমিনকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছে তৌহিদুলের শিশু ও কিশোরী চার কন্যা। বাবাকে হারিয়ে মায়ের সঙ্গে দিশাহারা তারাও। ইয়াসমিন নাহার সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন করেছেন, ‘আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করেনি। তাহলে কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে এভাবে হত্যা করা হলো। আমি পুরো ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং বিচার চাই।’
শনিবার সকালে আরেকটি সংবাদ দুবার করে পড়েছি। সেটি প্রকাশিত হয়েছে বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রথম পাতায়। অষ্টম কলামের খবরটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘যুবদল নেতার দাপটে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ’। দিনকাল অনুকূল সময়েও খুঁড়িয়ে বের হচ্ছে। কুমিল্লার খবরটি দেখার জন্য দিনকালে চোখ বুলালাম। প্রথম পৃষ্ঠায় খবরটি চোখে পড়ল না, বরং উল্লেখিত শিরোনামে চোখ আটকে গেল। মাস্টহেডে চোখ ঘুরিয়ে নিশ্চিত হলাম দিনকালই পড়ছি কি না। রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম নগরে এক যুবদল নেতার দাপটে মিছিল থেকে আটক হওয়া নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।’ গত কয়েক দিনে আরও কয়েকটি সংবাদ চোখে পড়ার মতো; যেমন—‘বিএনপি-যুবদল নেতার শাস্তি দাবি গ্রামবাসীর’; ‘ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবদল নেতার গুলি, নিহত-১’; ‘সিলেটে রিসোর্ট ভাঙচুর, ছাত্রদল নেতাসহ ৩০৬ জনের নামে মামলা’; ‘কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সম্মেলন ঘিরে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ১ জন নিহত’; ‘বালু লুটে ভাই ভাই বিএনপি-আওয়ামী লীগ’; ‘মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে থানা থেকে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে’; ‘রাজশাহীতে থানা ঘেরাও করে কৃষক দল নেতাকে ছাড়িয়ে নিলেন কর্মীরা’; ‘শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও, শ্রমিক দল নেতার কারাদণ্ড’; ‘সাভারে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বাক্স ভেঙে দরপত্র লুটের অভিযোগ’ ইত্যাদি।
৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদী শাসনমুক্ত বাংলাদেশে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে নিপীড়নের শিকার বিএনপি’র কতিপয় নেতাকর্মীর নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো নেতাকর্মী সাংগঠনিক শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের বরাতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। লণ্ডনে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্যে নেতাকর্মীদের সতর্ক ও হুঁশিয়ার করছেন। তবুও যেন পুরোপুরি থামানো যাচ্ছে না।
বিএনপি বিপুল জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল, জামায়াত বা সিপিবি’র মতো ক্যাডারভিত্তিক দল নয়। ফলে ক্ষমতার সুঘ্রাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেড় যুগ বঞ্চিতদের মধ্যে কিছু নেতাকর্মী বেয়াড়া আচরণ করছেন। নিয়ন্ত্রণ করা খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিএনপি নেতৃত্বের জন্য এ মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেটিই।
কিন্তু সেসব ঘটনাকে পুঁজি করে নিরপরাধ তৌহিদদের তুলে নিয়ে অকথ্য নির্যাতনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার ঘটনাকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই। অপরাধ করলে আইনের কাছে সোপর্দ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আটক ও নির্যাতন হয়ে থাকতে পারে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা জরুরি।
যে সুবিচার ও আইনের শাসনের জন্য গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে, তা যেন ফিকে হয়ে না যায়। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যৌথবাহিনীর ভুল-ভ্রান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই ভুলের খেসারত যদি হয় চারটি শিশু-কিশোরীর পিতৃহীন হওয়া, ইয়াসমিনদের অকালে বৈধব্য, তা মেনে নেওয়া কঠিন। ইয়াসমিন নাহার ও চার কন্যা—তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব পেতে হবে। তা না হলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনীর বিগত ছয় মাসের অবদান ও ইতিবাচক ভাবমূর্তিতে কালো দাগ হয়ে থাকবে তৌহিদ হত্যার ঘটনা।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে
শুক্রবার রাতে অনলাইনে সর্বশেষ সংবাদগুলোয় চোখ বুলাতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। খবরটি দুবার করে পড়তে হলো। প্রথমে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। ডেটলাইনটাও পরখ করে নিলাম। প্রথমে মনে হলো—পুরোনো খবর নয় তো! মাঝেমধ্যে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে পুরোনো খবর নতুন করে সামনে এলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে তুলে নেওয়ার পর লাশ ফেরত দেওয়ার সংবাদটি উৎকণ্ঠা জাগিয়েছে।
খবরে জানানো হয়, কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর হাতে আটক এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতনের কারণে মো. তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই যুবদল নেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। নিহত নেতার শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বজনেরা। অবশ্য পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তৌহিদুলের লাশের ছবিতে কোমর থেকে নিচের দিকে রক্ত জমাট অবস্থায় দেখা গেছে।
৪০ বছর বয়সি তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি একই ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এক সপ্তাহ আগে গত রোববার তার বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়ি যান। শুক্রবার তার বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। তৌহিদুলের সংসারে স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রয়েছে।
প্রধান প্রধান সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত খবরটিতে চোখ বুলিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক পুরো ঘটনার দায় সেনাবাহিনীর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে তৌহিদুল ইসলামকে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পুলিশের কাছে তৌহিদুলকে হস্তান্তরের সময় তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শক্তির পরিকল্পিত নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনী। অকপটে স্বীকার করতে হবে, ৫ আগস্টের অবিস্মরণীয় বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে সেনাবাহিনীর নিয়ামক ভূমিকা ছিল। শুধু তাই নয়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং বিগত প্রায় ছয় মাস দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার প্রতীক দেশপ্রেমিক এ বাহিনী। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত যৌথবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা শুরুর দিকে ছিল না। পরে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অধিকতর কার্যকর ভূমিকার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে ফেরানোর বেশ কয়েকটি অপচেষ্টা মাঠে থাকা সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর দক্ষতায় নস্যাৎ করা সম্ভব হয়।
কুমিল্লায় সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক ঘটনার পর (এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত) যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। কীসের ভিত্তিতে, কোন প্রেক্ষাপটে তৌহিদুলকে গভীর রাতে তুলে নেওয়া হলো, তা নিশ্চয়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাদেকুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা বিবেকবান মানুষের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করবে। সাদেকুর সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তারা বাবার কুলখানির আয়োজন নিয়ে কাজ করছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে আসেন। সঙ্গে সাদা পোশাকে পাঁচ যুবক ছিলেন। বাড়িতে প্রবেশ করেই তারা তৌহিদুলকে আটক করেন। এরপর ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তবে কিছু পাননি। তৌহিদুলকে আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো উত্তর দেননি। একপর্যায়ে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে আবারো সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে এসে ব্যাপক তল্লাশি করেন। তখন গাড়িতে থাকা তৌহিদুলকে দূর থেকে নিস্তেজ মনে হচ্ছিল।
হতভাগ্য তৌহিদুলের ভাই সাদেকুর রহমান সহোদরের নিথর দেহ পাওয়ার বর্ণনা দিয়ে জানিয়েছেন, পুলিশের মাধ্যমে ফোন পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদুলকে মৃত অবস্থায় পান। তার কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে, কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন। তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাড়ির পাশের একটি পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরেই কেউ মিথ্যা অভিযোগ করতে পারে।
উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যেও কুমিল্লার ইউনিয়ন যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় নতুন বাংলাদেশে কয়েকটি ‘উন্নতি’র দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়। প্রথমত, তৌহিদুল গুম হননি। লাশটি অন্তত পেয়েছে পরিবার। নির্বিঘ্নে জানাজা ও দাফন করতে পেরেছে। পিতার যে কুলখানির আয়োজন চলছিল, সে আয়োজনে এখন হয়তো তৌহিদুলের ‘সাশ্রয়ী কুলখানি’ সম্পন্ন হবে! এখন পর্যন্ত পুলিশ বা কোনো পক্ষ থেকে তৌহিদুলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের সময় বাহিনীর ওপর ‘তৌহিদুল বাহিনী’র হামলার পর দুপক্ষের গোলাগুলির গল্প ফাঁদা হয়নি। কয়েক ডজন মামলা আছে বলে মিথ্যা দাবিও এখনো শোনা যায়নি। বাড়িতে দুদফা তল্লাশি করা হলেও অস্ত্র উদ্ধার বা ইয়াবাজাতীয় কিছু উদ্ধারের সাফল্য জাহির করা হয়নি। পুলিশকর্তা সেনাবাহিনীর ফোনে তৌহিদুলের নিথর দেহ গ্রহণের কথা নির্ভয়ে গণমাধ্যমের কাছে বলতে পেরেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক স্পষ্ট করে জানাতে পেরেছেন, তৌহিদুলের শরীরের কোন কোন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। পরিবারও পুরো ঘটনা নির্ভয়ে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে পেরেছে। স্ত্রী-সন্তান বিলাপ করতে পারছেন। ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগীর ভাগ্যে যা ঘটত, এসবই তৌহিদুলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। গুলিতে মরলেও ‘চোখটা অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া’র মতো সান্ত্বনা বৈকি!
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রামের বাড়িতে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার স্বামীর জন্য বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ইয়াসমিনকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছে তৌহিদুলের শিশু ও কিশোরী চার কন্যা। বাবাকে হারিয়ে মায়ের সঙ্গে দিশাহারা তারাও। ইয়াসমিন নাহার সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন করেছেন, ‘আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করেনি। তাহলে কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে এভাবে হত্যা করা হলো। আমি পুরো ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং বিচার চাই।’
শনিবার সকালে আরেকটি সংবাদ দুবার করে পড়েছি। সেটি প্রকাশিত হয়েছে বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রথম পাতায়। অষ্টম কলামের খবরটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘যুবদল নেতার দাপটে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ’। দিনকাল অনুকূল সময়েও খুঁড়িয়ে বের হচ্ছে। কুমিল্লার খবরটি দেখার জন্য দিনকালে চোখ বুলালাম। প্রথম পৃষ্ঠায় খবরটি চোখে পড়ল না, বরং উল্লেখিত শিরোনামে চোখ আটকে গেল। মাস্টহেডে চোখ ঘুরিয়ে নিশ্চিত হলাম দিনকালই পড়ছি কি না। রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম নগরে এক যুবদল নেতার দাপটে মিছিল থেকে আটক হওয়া নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।’ গত কয়েক দিনে আরও কয়েকটি সংবাদ চোখে পড়ার মতো; যেমন—‘বিএনপি-যুবদল নেতার শাস্তি দাবি গ্রামবাসীর’; ‘ইন্টারনেট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবদল নেতার গুলি, নিহত-১’; ‘সিলেটে রিসোর্ট ভাঙচুর, ছাত্রদল নেতাসহ ৩০৬ জনের নামে মামলা’; ‘কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সম্মেলন ঘিরে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ১ জন নিহত’; ‘বালু লুটে ভাই ভাই বিএনপি-আওয়ামী লীগ’; ‘মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে থানা থেকে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে’; ‘রাজশাহীতে থানা ঘেরাও করে কৃষক দল নেতাকে ছাড়িয়ে নিলেন কর্মীরা’; ‘শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও, শ্রমিক দল নেতার কারাদণ্ড’; ‘সাভারে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বাক্স ভেঙে দরপত্র লুটের অভিযোগ’ ইত্যাদি।
৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদী শাসনমুক্ত বাংলাদেশে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে নিপীড়নের শিকার বিএনপি’র কতিপয় নেতাকর্মীর নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো নেতাকর্মী সাংগঠনিক শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের বরাতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। লণ্ডনে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্যে নেতাকর্মীদের সতর্ক ও হুঁশিয়ার করছেন। তবুও যেন পুরোপুরি থামানো যাচ্ছে না।
বিএনপি বিপুল জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল, জামায়াত বা সিপিবি’র মতো ক্যাডারভিত্তিক দল নয়। ফলে ক্ষমতার সুঘ্রাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেড় যুগ বঞ্চিতদের মধ্যে কিছু নেতাকর্মী বেয়াড়া আচরণ করছেন। নিয়ন্ত্রণ করা খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিএনপি নেতৃত্বের জন্য এ মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেটিই।
কিন্তু সেসব ঘটনাকে পুঁজি করে নিরপরাধ তৌহিদদের তুলে নিয়ে অকথ্য নির্যাতনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার ঘটনাকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই। অপরাধ করলে আইনের কাছে সোপর্দ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আটক ও নির্যাতন হয়ে থাকতে পারে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা জরুরি।
যে সুবিচার ও আইনের শাসনের জন্য গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে, তা যেন ফিকে হয়ে না যায়। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যৌথবাহিনীর ভুল-ভ্রান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই ভুলের খেসারত যদি হয় চারটি শিশু-কিশোরীর পিতৃহীন হওয়া, ইয়াসমিনদের অকালে বৈধব্য, তা মেনে নেওয়া কঠিন। ইয়াসমিন নাহার ও চার কন্যা—তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব পেতে হবে। তা না হলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনীর বিগত ছয় মাসের অবদান ও ইতিবাচক ভাবমূর্তিতে কালো দাগ হয়ে থাকবে তৌহিদ হত্যার ঘটনা।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১১ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১২ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে