ইমরান রহমান
সুইসাইড নোট লিখে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনাটি দেশজুড়ে নাড়া দিয়ে যায়। এই আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যম ও জনমনে ব্যাপক কৌতূহল ছিল লক্ষণীয়। বউ ও মায়ের টানাপোড়েনে মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা পলাস সাহার মৃত্যুটি পারিবারিক। পারিবারিক ও অন্যান্য কারণে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সংবাদপত্রগুলোয় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আত্মহত্যার খবর থাকে। নিজের জীবন নিজে কেড়ে নেওয়ার মতো বিষয় কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাই যেন এখন সমাজে অভিশাপ হয়ে উঠছে; আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কিছুদিন আগেই সম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে দেখি এক বছরের মধ্যেই দেশে ৩০০-এরও অধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর। তবে পুলিশের মতো কোনো বিশেষ পেশার প্রশিক্ষিত মানুষকেও যখন এ পথে পা বাড়াতে হয়, তখন বিদ্যমান সমাজ নিয়ে অন্তর্বীক্ষণের দাবিটি জোরালো হয়ে ওঠে।
আত্মহত্যার কারণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কৃষকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা আর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কারো আত্মহত্যাÑদুটো এক বিষয় নয়। প্রথমটি যেখানে নির্মম বাস্তবতা, দ্বিতীয়টি সেখানে নিছকই আবেগঘন ব্যাপার। তবে উভয়ের মধ্যেই যে মানসিক চাপ কাজ করে এবং যে দুঃখবোধ থেকে উভয়েই এই অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডটির মাধ্যমে যে বার্তা রেখে যেতে চানÑতা হলো পৃথিবীর প্রতি গভীর অসন্তোষ। অন্যদিকে, আত্মঘাতী হামলাকারী, যার মৃত্যুর উদ্দেশ্যই হলো অন্যের ধ্বংস সাধন, সেটি অবশ্য ভিন্ন দর্শন প্রভাবিত।
এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে তরুণ সমাজে আত্মহত্যা বৃদ্ধির একটি বিশেষ কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত আবেগ। পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে বিবাদÑএসবই কখনো কখনো তাদের চরম সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে। কিন্তু এর দায় কার?
বর্তমানে এমন এক সমাজে আমাদের বাস যেখানে জীবনের কলরবে সবাই একসঙ্গে হাঁটলেও, চরম একাকিত্ব থেকে কেউই মুক্ত নই। বিশেষ করে দ্রুত পরিবর্তনশীল নাগরিক সভ্যতায় কৃত্রিম জীবন ব্যবস্থায় কোটি মানুষের ভিড়ে আমার কেউ নেই, এই নিঃসঙ্গবোধ মানুষের মাঝে বাড়ছে। কোনো কোনো আত্মহত্যার ঘটনা শুধু বেদনাদায়কই নয়, আমাদের চমকেও দেয় এবং মনে গভীর প্রভাব সৃষ্টি করে। এর কারণ এ ক্ষেত্রে শিল্প, সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের মতো সৃজনশীল জগতের মানুষের সংশ্লিষ্টতা। তারা নাকি সমাজের রোল মডেল! তাই তাদের কাজকর্মের একটা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সমাজে পড়ে। তাদের ভালো কর্ম যেমন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে, তাদের অনভিপ্রেত কাণ্ডও মানুষকে নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত করে। সম্প্রতি উপমহাদেশের এক পুরুষ নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতার আত্মহননের ঘটনা শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও শোকের ছায়া ফেলে। প্রশ্ন হলো এই নৃত্যশিল্পীর কীসের অভাব ছিল? খ্যাতি, বিত্তের তো ঘাটতি ছিল না। হয়তো জীবনকে ভালোবাসার সেই শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছিলেন, যা তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে রূপদান করতেন। সমাজ ও জাতিকে প্রভাবিত করা এমন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীরা বিপুলসংখ্যক তরুণ ও উঠতি বয়সি ছেলেপেলেদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকেন। তাদের এ ধরনের আত্মঘাতী পদক্ষেপ সমাজে ভুল বার্তা ছড়ায়।
বলছিলাম আধুনিক নাগরিক সভ্যতার কথা। হ্যাঁ, আধুনিক শহরের ফুটপাতগুলোয় শত শত মানুষ একসঙ্গে হাঁটলেও আমরা কেউ কারো পানে তাকাই না। সবাই অচেনা। এখানে পাশের ফ্ল্যাটে কেউ মারা গেলেও আমরা জানি না। সাবই এত ব্যস্ত যে অন্যের জন্য এক মুহূর্ত বের করার সময় আমাদের নেই। কিন্তু অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মতো মানবিক কাজের চেয়ে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার তো আর কিছুই হতে পারে না! কবি উইলিয়াম ডেভিস বলেছিলেন, ‘What is this life if, full of care/ we have no time to stand and stare.’
আসলেই যে সমাজে আমরা বাস করছি, সে সমাজ আমাদের নিজেদের প্রয়োজনের সঠিক সীমা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আমরাও ব্যর্থ হচ্ছি, আমাদের পরিশ্রম কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে তা জানতে। কর্মঘণ্টা আর অবসরের মধ্যকার ফারাক দিন দিনই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। অসহিষ্ণুতা আর অস্থিরতাই আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের নিত্যসঙ্গী। আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান, যা মানব হিসেবে আমাদের অন্যান্য সৃষ্টির চেয়ে এগিয়ে রেখেছে, তা যেন বাহ্যিক পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আমাদের মধ্যে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি জেঁকে বসেছে, যা সেক্স ডলের মতো কৃত্রিম জীবনধারার মাধ্যমে শুধু যুদ্ধশিল্প আর যুদ্ধ অর্থনীতিকেই উৎসাহিত করছে; যেখানে আত্মকেন্দ্রিকতা, ভোগবাদ আর স্বার্থপরতাই মুখ্য।
আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিম জগতে এমনভাবে আচ্ছন্ন, যেখানে অসংখ্য মানুষ পরিবেষ্টিত প্রত্যেকে যেন বিশাল সমুদ্রের মধ্যে একাকী দ্বীপ। ফেসবুক ও টুইটারের অতি ব্যস্ততা একই পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। মিথ্যা মোহে পরিচালিত হয়ে আমরা বাড়িয়ে তুলছি বিবাহবিচ্ছেদ, ভাঙা পরিবার আর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সংখ্যা।
বিজ্ঞান আমাদের প্রায় সবরকম পার্থিব সুখভোগের সুযোগ করে দিলেও, আমরা এক গভীর আত্মিক সংকটে নিমজ্জিত আজ। সব সুবিধা সত্ত্বেও বিষণ্ণতা, নানা মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। সন্তান, নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজন থাকা সত্ত্বেও অনেকের শেষ দিনগুলো কাটছে বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা পোষা কুকুর-বেড়ালের সঙ্গে। বিজ্ঞান হয়তো মানবজাতির ক্ষতির উদ্দেশে কিছু উদ্ভাবন করে না। কিন্তু বিজ্ঞানকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি, তা অনেক সময়ই তার মহৎ উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই স্বয়ং বিজ্ঞান আর ‘বিজ্ঞানের ব্যবহার’ এক বিষয় নয়।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
সুইসাইড নোট লিখে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনাটি দেশজুড়ে নাড়া দিয়ে যায়। এই আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যম ও জনমনে ব্যাপক কৌতূহল ছিল লক্ষণীয়। বউ ও মায়ের টানাপোড়েনে মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল পুলিশ কর্মকর্তা পলাস সাহার মৃত্যুটি পারিবারিক। পারিবারিক ও অন্যান্য কারণে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সংবাদপত্রগুলোয় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আত্মহত্যার খবর থাকে। নিজের জীবন নিজে কেড়ে নেওয়ার মতো বিষয় কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাই যেন এখন সমাজে অভিশাপ হয়ে উঠছে; আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কিছুদিন আগেই সম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে দেখি এক বছরের মধ্যেই দেশে ৩০০-এরও অধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর। তবে পুলিশের মতো কোনো বিশেষ পেশার প্রশিক্ষিত মানুষকেও যখন এ পথে পা বাড়াতে হয়, তখন বিদ্যমান সমাজ নিয়ে অন্তর্বীক্ষণের দাবিটি জোরালো হয়ে ওঠে।
আত্মহত্যার কারণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কৃষকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতা আর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কারো আত্মহত্যাÑদুটো এক বিষয় নয়। প্রথমটি যেখানে নির্মম বাস্তবতা, দ্বিতীয়টি সেখানে নিছকই আবেগঘন ব্যাপার। তবে উভয়ের মধ্যেই যে মানসিক চাপ কাজ করে এবং যে দুঃখবোধ থেকে উভয়েই এই অনাকাঙ্ক্ষিত কাণ্ডটির মাধ্যমে যে বার্তা রেখে যেতে চানÑতা হলো পৃথিবীর প্রতি গভীর অসন্তোষ। অন্যদিকে, আত্মঘাতী হামলাকারী, যার মৃত্যুর উদ্দেশ্যই হলো অন্যের ধ্বংস সাধন, সেটি অবশ্য ভিন্ন দর্শন প্রভাবিত।
এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে তরুণ সমাজে আত্মহত্যা বৃদ্ধির একটি বিশেষ কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত আবেগ। পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে বিবাদÑএসবই কখনো কখনো তাদের চরম সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে। কিন্তু এর দায় কার?
বর্তমানে এমন এক সমাজে আমাদের বাস যেখানে জীবনের কলরবে সবাই একসঙ্গে হাঁটলেও, চরম একাকিত্ব থেকে কেউই মুক্ত নই। বিশেষ করে দ্রুত পরিবর্তনশীল নাগরিক সভ্যতায় কৃত্রিম জীবন ব্যবস্থায় কোটি মানুষের ভিড়ে আমার কেউ নেই, এই নিঃসঙ্গবোধ মানুষের মাঝে বাড়ছে। কোনো কোনো আত্মহত্যার ঘটনা শুধু বেদনাদায়কই নয়, আমাদের চমকেও দেয় এবং মনে গভীর প্রভাব সৃষ্টি করে। এর কারণ এ ক্ষেত্রে শিল্প, সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের মতো সৃজনশীল জগতের মানুষের সংশ্লিষ্টতা। তারা নাকি সমাজের রোল মডেল! তাই তাদের কাজকর্মের একটা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সমাজে পড়ে। তাদের ভালো কর্ম যেমন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে, তাদের অনভিপ্রেত কাণ্ডও মানুষকে নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত করে। সম্প্রতি উপমহাদেশের এক পুরুষ নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতার আত্মহননের ঘটনা শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও শোকের ছায়া ফেলে। প্রশ্ন হলো এই নৃত্যশিল্পীর কীসের অভাব ছিল? খ্যাতি, বিত্তের তো ঘাটতি ছিল না। হয়তো জীবনকে ভালোবাসার সেই শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছিলেন, যা তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে রূপদান করতেন। সমাজ ও জাতিকে প্রভাবিত করা এমন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীরা বিপুলসংখ্যক তরুণ ও উঠতি বয়সি ছেলেপেলেদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকেন। তাদের এ ধরনের আত্মঘাতী পদক্ষেপ সমাজে ভুল বার্তা ছড়ায়।
বলছিলাম আধুনিক নাগরিক সভ্যতার কথা। হ্যাঁ, আধুনিক শহরের ফুটপাতগুলোয় শত শত মানুষ একসঙ্গে হাঁটলেও আমরা কেউ কারো পানে তাকাই না। সবাই অচেনা। এখানে পাশের ফ্ল্যাটে কেউ মারা গেলেও আমরা জানি না। সাবই এত ব্যস্ত যে অন্যের জন্য এক মুহূর্ত বের করার সময় আমাদের নেই। কিন্তু অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মতো মানবিক কাজের চেয়ে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার তো আর কিছুই হতে পারে না! কবি উইলিয়াম ডেভিস বলেছিলেন, ‘What is this life if, full of care/ we have no time to stand and stare.’
আসলেই যে সমাজে আমরা বাস করছি, সে সমাজ আমাদের নিজেদের প্রয়োজনের সঠিক সীমা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আমরাও ব্যর্থ হচ্ছি, আমাদের পরিশ্রম কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে তা জানতে। কর্মঘণ্টা আর অবসরের মধ্যকার ফারাক দিন দিনই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। অসহিষ্ণুতা আর অস্থিরতাই আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের নিত্যসঙ্গী। আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান, যা মানব হিসেবে আমাদের অন্যান্য সৃষ্টির চেয়ে এগিয়ে রেখেছে, তা যেন বাহ্যিক পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আমাদের মধ্যে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি জেঁকে বসেছে, যা সেক্স ডলের মতো কৃত্রিম জীবনধারার মাধ্যমে শুধু যুদ্ধশিল্প আর যুদ্ধ অর্থনীতিকেই উৎসাহিত করছে; যেখানে আত্মকেন্দ্রিকতা, ভোগবাদ আর স্বার্থপরতাই মুখ্য।
আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিম জগতে এমনভাবে আচ্ছন্ন, যেখানে অসংখ্য মানুষ পরিবেষ্টিত প্রত্যেকে যেন বিশাল সমুদ্রের মধ্যে একাকী দ্বীপ। ফেসবুক ও টুইটারের অতি ব্যস্ততা একই পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। মিথ্যা মোহে পরিচালিত হয়ে আমরা বাড়িয়ে তুলছি বিবাহবিচ্ছেদ, ভাঙা পরিবার আর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সংখ্যা।
বিজ্ঞান আমাদের প্রায় সবরকম পার্থিব সুখভোগের সুযোগ করে দিলেও, আমরা এক গভীর আত্মিক সংকটে নিমজ্জিত আজ। সব সুবিধা সত্ত্বেও বিষণ্ণতা, নানা মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। সন্তান, নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজন থাকা সত্ত্বেও অনেকের শেষ দিনগুলো কাটছে বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা পোষা কুকুর-বেড়ালের সঙ্গে। বিজ্ঞান হয়তো মানবজাতির ক্ষতির উদ্দেশে কিছু উদ্ভাবন করে না। কিন্তু বিজ্ঞানকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি, তা অনেক সময়ই তার মহৎ উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই স্বয়ং বিজ্ঞান আর ‘বিজ্ঞানের ব্যবহার’ এক বিষয় নয়।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১০ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১১ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
১ দিন আগে