আবদুল আউয়াল ঠাকুর
আগে জাতীয় না স্থানীয় নির্বাচন হবে, অথবা নির্বাচন কখন হবে—এ নিয়ে মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। বলি, যদি ফ্যাসিস্টের পতন ঘটানো না যেত, তা হলে এখন তো তার আম-দুধ খাওয়ার সময় ছিল।
নিজের মনমতো যারা, তাদের নিয়ে আসর জমিয়ে ভারতীয় বন্ধুদের মন জোগানোর অদম্য খায়েশ নিয়ে আসন পেতে বসেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আমাদের সৌভাগ্য, জনগণের দাপটে দুপুরে রান্না করা ভাত খাওয়ার সুযোগ না পেয়েই পালিয়ে জান বাঁচাতে বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগ নেই। যারা লোল-জিহ্বা বড় করে হায়নার মতো খাবার নিয়ে বসেছিল, তারা সবাই রয়েছে এবং দিনক্ষণ গুনছে কখন আবার বাকিটুকু পাতে নেবে।
নির্বাচনকে বিবেচনায় নিতে গেলে প্রথমত ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে বা হওয়া সম্ভব। সে আশা রাজনীতিকরা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যে ধরনের ‘গণতান্ত্রিক’ আন্দোলন করে যাচ্ছিল, তা বলতে গেলে প্রায় শেষে পরিণতি হয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ভারতীয় কথিত চাণক্য কূটনীতিকরা সবকিছু ঝেড়ে ফেলে প্রতিবারই এক অভিনব পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে নিশ্চিন্তে নাক ডাকতে শুরু করত। ফাঁদ দিয়ে পাখি ধরা বা দিঘিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো শেষ হাসি আওয়ামী লীগই হাসত।
এই খেলার শেষ দৃশ্য ছিল সবচেয়ে লজ্জাজনক। খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে, অথবা বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করতে একেবারে ভারতীয় তালিকা থেকে মনোনয়ন দিয়ে বিনা ভোটের নির্বাচনী খেলা খেলে কথিত সময় রক্ষার নির্বাচনী খেলারও সমাপ্তি টানা হয়েছিল। সে খেলার বিপরীত চিত্র ছিল ভিন্ন রকম।
২০০৮ সালে নির্বাচনের চিত্র ছিল ভিন্ন রকম। ১/১১ সরকারের খায়েশ পূরণে তাদের অপকর্মের দায়মুক্তি দেওয়ার শর্তে মূলত আওয়ামী লীগের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের নিয়তে মূলত নাম দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেই শুরু।
কেন এবং কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, হতে পেরেছিল, সে আলোচনা প্রাসঙ্গিক হলেও শুধু এটুকু বলে রাখতে চাই, সেদিন গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তথা বিএনপিকে কৌশলগত প্যাঁচে নিয়ে নির্বাচনে বাধ্য করা হয়েছিল। খেলার সেখান থেকেই যাত্রা।
অনেকেই স্বাধীনতার ঊষালগ্নের বিবেচনায় বলতেন, আওয়ামী লীগ আর কত দিন ক্ষমতায় থাকবে? আসলে তারা হয়তো ভারতীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। যাই হোক, টানা দেড় যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতাকে তাদের স্থায়ী ঠিকানা মনে করে গোটা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার যে নীলনকশা বাস্তবায়ন করছিল, তার কিছু বিবরণ এখন উঠে আসতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় নিয়ন্ত্রিত অবস্থায়ও ছিটেফোঁটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তখনো কোথাও কোথাও টাকাভর্তি বস্তা, টাকাভর্তি আলমিরা ও স্বর্ণালংকারের খবর চাউর হয়েছে।
বাকশাল-পরবর্তী কাল থেকে দেশে তো কোনো না কোনোভাবে একটি গণতান্ত্রিক আবহ ছিল। এই ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতেই তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি সরকারকে ক্ষমতার মেয়াদ পূরণ করতে না দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
কেন নেয়নি, সেটি পরিষ্কার হলো গত ১৫ বছরে। নিজেদের বশংবদ বিচারপতিকে দিয়ে সম্পত্তির মামলায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হলো। এমনকি পরপর দুবছর নির্বাচনের যে কথা বলা হয়েছিল, সেটুকুও খেয়ে ফেলল। দেখা গেল, যেহেতু আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী নয়, সে কারণে নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুরোনো গীত গাওয়া, যা তাদের পুরোনো অভ্যাস।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন স্পিকার মালেক উকিলের ভাষায়—‘ফেরাউনের পতনের পর আওয়ামী লীগাররা যেখানে যেমন পারে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কম্বল চুরি থেকে শুরু করে চোর ও চাটার দলের সদস্যদের মানুষের সামনে মুখ দেখানোর সুযোগ ও সাহস ছিল না। ফেরাউনের সহযোগীদের ফেরাতে সাহস জুগিয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার নির্বাচন।
সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.) ওসমানীকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ ও তাদের ত্রিদলীয় মিত্ররা। এই সমর্থন জেনারেল ওসমানীকে জেতানোর জন্য নয়, বরং জোহরা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগারদের সংগঠিত করতে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন চলাকালেই কর্মিসভায় জোহরা তাজউদ্দীন সে কথা ফাঁস করেছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে, সেই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কিছুটা খরখরে হওয়ার পর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন, তার পরই রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হন।’
আওয়ামী লীগ দাবি করে, তারা একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতন্ত্রের জন্য তাদের বুকফাটা আর্তনাদে কুমিরেরও দুঃখ হয়। সেই ‘গণতন্ত্রপন্থি’ দলটি ’৮২ সালে সামরিক শাসনকে নির্লজ্জের মতো সমর্থন জানাল। এরপর বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কথিত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের খাতায় নাম লিখিয়ে ’৮৬ সালের নির্বাচনে স্বৈরাচারী এরশাদের সঙ্গে হাত মেলাল।
কারণ ভারতীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়েছিল, দিল্লির ইচ্ছায় শেখ হাসিনা নির্বাচনে গিয়েছিল। বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, এরশাদ ও আওয়ামী লীগ দুদলই বিএনপিবিরোধী, জিয়াবিরোধী। দেখার বিষয় ’৭৫-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যে দলটি জনসম্মুখে মুখ দেখাতে লজ্জা পেত, সেই দলটি পতিত সামরিক শাসকের সমর্থনে ভারতীয় মধ্যস্থতায় নির্বাচনে মাঠে এসে কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে তথাকথিত বিরোধী দলের আসনে বসল।
১৯৭১ সালের মুক্তির সময়ে ভারতে বসে যে গোপন সাত দফা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, তার বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। আজকের প্রেক্ষাপটে সে কারণে ’৮২-র সামরিক শাসন ও ’৮৬-র নির্বাচন অনেক বেশি বিবেচনার দাবি রাখে। মানুষ ভুলে গেল ১৯৭২ থেকে ’৭৫-এর দুঃশাসন, দুর্ভিক্ষ, গুম, হত্যা ও অবৈধ রক্ষী বাহিনীর নির্যাতন। বরং মুখরোচক কথার আচারে সত্যকে পদদলিত করতে থাকল। একসময় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলো, যদিও সেটি হয়েছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে।
কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গত সাড়ে ১৫ বছর জাতিকে বিভাজিত করা হয়েছে, মেধার অপচয় করা হয়েছে, দেশপ্রেমিক ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের হেনস্তা করা হয়েছে, তার অজস্র বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে। এই দগদগে ঘায়ের দৃশ্য এখন আর মানুষের মুখের কথায় নয়, বরং প্রত্যক্ষ করছে জনগণ। আয়নাঘর গুম-হত্যার একটি জীবন্ত চিত্র। এর বাইরেও অনেক চিত্র রয়েছে।
গত সাড়ে ১৫ বছরের হিসাব করলে বলা যাবে, দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এর নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। শেষ দিকে এর কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছিল।
তাদের একটাই দাবি ছিল—একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বাস্তবে সে দাবি সফল হয়নি। উপরন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ এক গভীর হতাশা ও নৈরাশ্য নিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেই বাস্তবতার মধ্য দিয়েই ঘোষিত হলো কথিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মহান সৈনিকেরা সংগঠিত করল নতুন ইতিহাস। বুকের তাজা ক্ষত মেটাতে আবু সাঈদের হুঙ্কার ক্ষমতার দেউল নির্বাপিত করে দিল। খান খান হয়ে পড়ল আওয়ামী দুঃশাসনের শেষ কীট। কথা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত ভারতের মাটিতেই আশ্রয় মিলল আওয়ামী নেত্রীর। সঙ্গে থাকল তার বোন ও পরম আত্মীয়রা। এখানেই যদি ইতি টানা যেত, তা হলে হয়তো জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারত। বাস্তব আরো বিস্তৃত।
স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছর যে ভারত বাংলাদেশের জণগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে নারাজ। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে চলমান আওয়ামীবিরোধী আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার মন্তব্য করেছিল, বাংলাদেশে আওয়ামী-বিরোধিতা ভারত-বিরোধিতায় মিল আছে। কথাটা সত্যি বলেছিল। আসলে যত ক্ষোভ আওয়ামী দুঃশাসকদের নিয়ে ছিল, ততটাই ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। ভারত বাংলাদেশের এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হয়েছিল।
তৎকালীন সরকারের আমলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং ভারতকে প্রাণখুলে সবকিছু দেওয়ার বিনিময়ে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যার লাইসেন্স দেওয়ার যে ব্যবস্থা খুলে দেওয়া হয়েছিল, সীমান্ত অরক্ষিত রাখার যে নীতি চালু করা হয়েছিল, তা দেখে জনমনে শঙ্কা দানা বেঁধে ছিল দেশের স্বাধীনতা নিয়ে। পদ্মার পানি ও তিস্তার পানি না পওয়া, আর অন্যদিকে সীমান্তরক্ষীদের কথিত বিরোধীদের দমনে ব্যবহারের মূল লক্ষ্য যে ভারতকে সন্তুষ্ট করা, এটা বোঝানোর জন্য কোনো বিশ্লেষকের প্রয়োজন হয় না। ভারত কিন্তু তারপরও সন্তুষ্ট ছিল না।
তারা পুরোটাই চেয়েছিল। সেই ভারত এখন বলছে, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের কথা। শুনতে ভালো লাগলেও এর মধ্যে বারুদের গন্ধ রয়েছে। এটা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া প্রশাসন জনগণের সরকারকে এগুতে দিচ্ছে না, নানা প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যকার কিছু বিষয়ের আলোচনা করছেন। বোধকরি এটি সংগত বিষয় নয়। বিএনপি বানে ভাসা দল নয়। গত সাড়ে ১৫ বছরের বিশ্লেষণ এবং সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন করলে এটা বলা যায়, নির্বাচনের ফলাফল অনেকটা হয়েই আছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর বায়তুল মোকাররমের জানাজায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই যে, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্ত এবং তাদের ভিত রাজনীতিতে কতটা মজবুত। হ্যাঁ, হয়তো এ কথাও ভিত্তিহীন নয় যে, গত সাড়ে ১৫ বছর টিকে থাকতে কিছু কীট হয়তো প্রবেশ করেছে।
আওয়ামী দুঃশাসনের একটা দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। এটি পরিষ্কার করার দায়িত্ব যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছেন তাদের। এ কাজটি আগে শক্তভাবে করা না গেলে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। ভারত ছেড়ে দেবে এমনটা ভাবা অনুচিত। সে কারণেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ভারত ও আওয়ামী লীগের গতিবিধি ও মতিগতি সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়া অপরিহার্য।
আগে জাতীয় না স্থানীয় নির্বাচন হবে, অথবা নির্বাচন কখন হবে—এ নিয়ে মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। বলি, যদি ফ্যাসিস্টের পতন ঘটানো না যেত, তা হলে এখন তো তার আম-দুধ খাওয়ার সময় ছিল।
নিজের মনমতো যারা, তাদের নিয়ে আসর জমিয়ে ভারতীয় বন্ধুদের মন জোগানোর অদম্য খায়েশ নিয়ে আসন পেতে বসেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আমাদের সৌভাগ্য, জনগণের দাপটে দুপুরে রান্না করা ভাত খাওয়ার সুযোগ না পেয়েই পালিয়ে জান বাঁচাতে বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগ নেই। যারা লোল-জিহ্বা বড় করে হায়নার মতো খাবার নিয়ে বসেছিল, তারা সবাই রয়েছে এবং দিনক্ষণ গুনছে কখন আবার বাকিটুকু পাতে নেবে।
নির্বাচনকে বিবেচনায় নিতে গেলে প্রথমত ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে বা হওয়া সম্ভব। সে আশা রাজনীতিকরা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যে ধরনের ‘গণতান্ত্রিক’ আন্দোলন করে যাচ্ছিল, তা বলতে গেলে প্রায় শেষে পরিণতি হয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ভারতীয় কথিত চাণক্য কূটনীতিকরা সবকিছু ঝেড়ে ফেলে প্রতিবারই এক অভিনব পদ্ধতিতে আওয়ামী লীগের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে নিশ্চিন্তে নাক ডাকতে শুরু করত। ফাঁদ দিয়ে পাখি ধরা বা দিঘিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো শেষ হাসি আওয়ামী লীগই হাসত।
এই খেলার শেষ দৃশ্য ছিল সবচেয়ে লজ্জাজনক। খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে, অথবা বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করতে একেবারে ভারতীয় তালিকা থেকে মনোনয়ন দিয়ে বিনা ভোটের নির্বাচনী খেলা খেলে কথিত সময় রক্ষার নির্বাচনী খেলারও সমাপ্তি টানা হয়েছিল। সে খেলার বিপরীত চিত্র ছিল ভিন্ন রকম।
২০০৮ সালে নির্বাচনের চিত্র ছিল ভিন্ন রকম। ১/১১ সরকারের খায়েশ পূরণে তাদের অপকর্মের দায়মুক্তি দেওয়ার শর্তে মূলত আওয়ামী লীগের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের নিয়তে মূলত নাম দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেই শুরু।
কেন এবং কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, হতে পেরেছিল, সে আলোচনা প্রাসঙ্গিক হলেও শুধু এটুকু বলে রাখতে চাই, সেদিন গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তথা বিএনপিকে কৌশলগত প্যাঁচে নিয়ে নির্বাচনে বাধ্য করা হয়েছিল। খেলার সেখান থেকেই যাত্রা।
অনেকেই স্বাধীনতার ঊষালগ্নের বিবেচনায় বলতেন, আওয়ামী লীগ আর কত দিন ক্ষমতায় থাকবে? আসলে তারা হয়তো ভারতীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। যাই হোক, টানা দেড় যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতাকে তাদের স্থায়ী ঠিকানা মনে করে গোটা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার যে নীলনকশা বাস্তবায়ন করছিল, তার কিছু বিবরণ এখন উঠে আসতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় নিয়ন্ত্রিত অবস্থায়ও ছিটেফোঁটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তখনো কোথাও কোথাও টাকাভর্তি বস্তা, টাকাভর্তি আলমিরা ও স্বর্ণালংকারের খবর চাউর হয়েছে।
বাকশাল-পরবর্তী কাল থেকে দেশে তো কোনো না কোনোভাবে একটি গণতান্ত্রিক আবহ ছিল। এই ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতেই তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি সরকারকে ক্ষমতার মেয়াদ পূরণ করতে না দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
কেন নেয়নি, সেটি পরিষ্কার হলো গত ১৫ বছরে। নিজেদের বশংবদ বিচারপতিকে দিয়ে সম্পত্তির মামলায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হলো। এমনকি পরপর দুবছর নির্বাচনের যে কথা বলা হয়েছিল, সেটুকুও খেয়ে ফেলল। দেখা গেল, যেহেতু আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী নয়, সে কারণে নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুরোনো গীত গাওয়া, যা তাদের পুরোনো অভ্যাস।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন স্পিকার মালেক উকিলের ভাষায়—‘ফেরাউনের পতনের পর আওয়ামী লীগাররা যেখানে যেমন পারে পালিয়ে জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কম্বল চুরি থেকে শুরু করে চোর ও চাটার দলের সদস্যদের মানুষের সামনে মুখ দেখানোর সুযোগ ও সাহস ছিল না। ফেরাউনের সহযোগীদের ফেরাতে সাহস জুগিয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার নির্বাচন।
সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল (অব.) ওসমানীকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ ও তাদের ত্রিদলীয় মিত্ররা। এই সমর্থন জেনারেল ওসমানীকে জেতানোর জন্য নয়, বরং জোহরা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগারদের সংগঠিত করতে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন চলাকালেই কর্মিসভায় জোহরা তাজউদ্দীন সে কথা ফাঁস করেছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে, সেই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কিছুটা খরখরে হওয়ার পর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন, তার পরই রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হন।’
আওয়ামী লীগ দাবি করে, তারা একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতন্ত্রের জন্য তাদের বুকফাটা আর্তনাদে কুমিরেরও দুঃখ হয়। সেই ‘গণতন্ত্রপন্থি’ দলটি ’৮২ সালে সামরিক শাসনকে নির্লজ্জের মতো সমর্থন জানাল। এরপর বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কথিত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের খাতায় নাম লিখিয়ে ’৮৬ সালের নির্বাচনে স্বৈরাচারী এরশাদের সঙ্গে হাত মেলাল।
কারণ ভারতীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়েছিল, দিল্লির ইচ্ছায় শেখ হাসিনা নির্বাচনে গিয়েছিল। বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, এরশাদ ও আওয়ামী লীগ দুদলই বিএনপিবিরোধী, জিয়াবিরোধী। দেখার বিষয় ’৭৫-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যে দলটি জনসম্মুখে মুখ দেখাতে লজ্জা পেত, সেই দলটি পতিত সামরিক শাসকের সমর্থনে ভারতীয় মধ্যস্থতায় নির্বাচনে মাঠে এসে কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে তথাকথিত বিরোধী দলের আসনে বসল।
১৯৭১ সালের মুক্তির সময়ে ভারতে বসে যে গোপন সাত দফা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, তার বাস্তবায়নে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। আজকের প্রেক্ষাপটে সে কারণে ’৮২-র সামরিক শাসন ও ’৮৬-র নির্বাচন অনেক বেশি বিবেচনার দাবি রাখে। মানুষ ভুলে গেল ১৯৭২ থেকে ’৭৫-এর দুঃশাসন, দুর্ভিক্ষ, গুম, হত্যা ও অবৈধ রক্ষী বাহিনীর নির্যাতন। বরং মুখরোচক কথার আচারে সত্যকে পদদলিত করতে থাকল। একসময় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলো, যদিও সেটি হয়েছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে।
কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গত সাড়ে ১৫ বছর জাতিকে বিভাজিত করা হয়েছে, মেধার অপচয় করা হয়েছে, দেশপ্রেমিক ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের হেনস্তা করা হয়েছে, তার অজস্র বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে। এই দগদগে ঘায়ের দৃশ্য এখন আর মানুষের মুখের কথায় নয়, বরং প্রত্যক্ষ করছে জনগণ। আয়নাঘর গুম-হত্যার একটি জীবন্ত চিত্র। এর বাইরেও অনেক চিত্র রয়েছে।
গত সাড়ে ১৫ বছরের হিসাব করলে বলা যাবে, দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এর নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। শেষ দিকে এর কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছিল।
তাদের একটাই দাবি ছিল—একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বাস্তবে সে দাবি সফল হয়নি। উপরন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ এক গভীর হতাশা ও নৈরাশ্য নিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেই বাস্তবতার মধ্য দিয়েই ঘোষিত হলো কথিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মহান সৈনিকেরা সংগঠিত করল নতুন ইতিহাস। বুকের তাজা ক্ষত মেটাতে আবু সাঈদের হুঙ্কার ক্ষমতার দেউল নির্বাপিত করে দিল। খান খান হয়ে পড়ল আওয়ামী দুঃশাসনের শেষ কীট। কথা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত ভারতের মাটিতেই আশ্রয় মিলল আওয়ামী নেত্রীর। সঙ্গে থাকল তার বোন ও পরম আত্মীয়রা। এখানেই যদি ইতি টানা যেত, তা হলে হয়তো জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারত। বাস্তব আরো বিস্তৃত।
স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছর যে ভারত বাংলাদেশের জণগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে নারাজ। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে চলমান আওয়ামীবিরোধী আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার মন্তব্য করেছিল, বাংলাদেশে আওয়ামী-বিরোধিতা ভারত-বিরোধিতায় মিল আছে। কথাটা সত্যি বলেছিল। আসলে যত ক্ষোভ আওয়ামী দুঃশাসকদের নিয়ে ছিল, ততটাই ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। ভারত বাংলাদেশের এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হয়েছিল।
তৎকালীন সরকারের আমলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং ভারতকে প্রাণখুলে সবকিছু দেওয়ার বিনিময়ে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যার লাইসেন্স দেওয়ার যে ব্যবস্থা খুলে দেওয়া হয়েছিল, সীমান্ত অরক্ষিত রাখার যে নীতি চালু করা হয়েছিল, তা দেখে জনমনে শঙ্কা দানা বেঁধে ছিল দেশের স্বাধীনতা নিয়ে। পদ্মার পানি ও তিস্তার পানি না পওয়া, আর অন্যদিকে সীমান্তরক্ষীদের কথিত বিরোধীদের দমনে ব্যবহারের মূল লক্ষ্য যে ভারতকে সন্তুষ্ট করা, এটা বোঝানোর জন্য কোনো বিশ্লেষকের প্রয়োজন হয় না। ভারত কিন্তু তারপরও সন্তুষ্ট ছিল না।
তারা পুরোটাই চেয়েছিল। সেই ভারত এখন বলছে, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের কথা। শুনতে ভালো লাগলেও এর মধ্যে বারুদের গন্ধ রয়েছে। এটা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া প্রশাসন জনগণের সরকারকে এগুতে দিচ্ছে না, নানা প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যকার কিছু বিষয়ের আলোচনা করছেন। বোধকরি এটি সংগত বিষয় নয়। বিএনপি বানে ভাসা দল নয়। গত সাড়ে ১৫ বছরের বিশ্লেষণ এবং সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন করলে এটা বলা যায়, নির্বাচনের ফলাফল অনেকটা হয়েই আছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর বায়তুল মোকাররমের জানাজায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই যে, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্ত এবং তাদের ভিত রাজনীতিতে কতটা মজবুত। হ্যাঁ, হয়তো এ কথাও ভিত্তিহীন নয় যে, গত সাড়ে ১৫ বছর টিকে থাকতে কিছু কীট হয়তো প্রবেশ করেছে।
আওয়ামী দুঃশাসনের একটা দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। এটি পরিষ্কার করার দায়িত্ব যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছেন তাদের। এ কাজটি আগে শক্তভাবে করা না গেলে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। ভারত ছেড়ে দেবে এমনটা ভাবা অনুচিত। সে কারণেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ভারত ও আওয়ামী লীগের গতিবিধি ও মতিগতি সম্পর্কে সম্যক অবহিত হওয়া অপরিহার্য।
এই বছর অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উদ্ভাবন ও সৃজনশীল ধ্বংসের প্রক্রিয়া (creative destruction) কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে সেই গবেষণার ওপর। নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা পুরোনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করে সমাজ যখন পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তখনই টেক
১৩ ঘণ্টা আগে‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়ে
১৩ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রায়ই তার পরম বন্ধু বলে বেশ গৌরবের সঙ্গে প্রচার করে থাকেন। ভিন্ন দেশের এ দুই রাজনীতিবিদের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের মূল সূত্র হলো মুসলমানদের প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণা। বর্তমান বিশ্বে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত শীর্ষ দুটি
১৪ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন হতাশা চরমে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন এক নতুন ‘২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা’। সেখানে তিনি নিজেকে বসিয়েছেন একটি তথাকথিত ‘বোর্ড অব পিস’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।
২ দিন আগে