আমার দেশ

গাজা যুদ্ধবিরতি : নায়ক ট্রাম্প, ভিলেন বাইডেন

মেহেদী হাসান
গাজা যুদ্ধবিরতি : নায়ক ট্রাম্প, ভিলেন বাইডেন

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা সর্বপ্রথম জনসন্মুখে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে এই ‘মহাকাব্যিক চুক্তি’ সম্ভব হতো না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার একপাশে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হেরিস এবং আরেক পাশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে নিয়ে সহাস্যে ক্যামেরার সামনে হাজির হয়ে দাবি করেছেন গাজা যুদ্ধ বন্ধে তিনি ও তার প্রশাসনের ভূমিকা এবং কৃতিত্বের কথা। তবে গাজা যুদ্ধ বন্ধে জো বাইডেনের এ দাবি বিশ্বাস করেন না কেউ। কারণ বিশ্বব্যাপী এটি প্রতিষ্ঠিত যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাইলে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত এ যুদ্ধ। রক্ষা পেত হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জীবন। এ জন্য যুদ্ধবিরতি আলোচনার নামে ১৫ মাস ধরে এত নাটকের প্রয়োজন ছিল না। এ জন্য প্রয়োজন ছিল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি টেলিফোন কল। কিন্তু তিনি তা করেননি।

বিজ্ঞাপন

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন যুদ্ধ বন্ধের নামে ১৫ মাস ধরে আলোচনার নামে নাটক চালিয়েছেন এবং ইসরাইলের জন্য খুলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থভান্ডার। গাজা যুদ্ধে অনুদান হিসেবে ১৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে প্রকাশ্যে দিয়েছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অস্ত্র। একই সময় যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে করেছে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কংগ্রেসকে নোটিস পাঠিয়েছে ইসরাইলের কাছে ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির জন্য। গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মাথায় বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছে, তাদের ৬০ ভাগই মারা গেছে ইসরাইলকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায়।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাইডেন প্রশাসন নয়, বরং ট্রাম্পের দাবিকে সত্য বলে বিশ্বাস করে মানুষ। তারা মনে করেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে এখনও চলত গাজা যুদ্ধ। বাইডেন প্রশাসন গাজা যুদ্ধবিরতি-বন্দিবিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে শেষপর্যায়ে উদ্যোগ নিয়েছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে। বাইডেন প্রশাসন বেশ ভালো করেই জেনে গেছে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বন্ধ হয়ে যাবে গাজা যুদ্ধ।

গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভরাডুবি হবে জেনেও বাইডেন প্রশাসন গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবির প্রতি আমেরিকান তরুণ সমাজের দাবির প্রতি কোনো পাত্তা দেয়নি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতই অন্ধ ইসরাইলভক্ত, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে গত জুলাই মাসে তিনি নিজেকে একজন ইসরাইলপ্রেমী যায়নবাদী হিসেবে ঘোষণা করুন। তিনি বলেন, তিনি ইসরাইলের জন্য যা করেছেন, তা কেউ করেনি অতীতে।

ফলে আমেরিকানরাসহ বিশ্ববাসী দেখেছে, বাইডেন প্রশাসন এবং ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে রাজি কিন্তু গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়। ফলে বাইডেন প্রশাসন নির্বাচনের আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বারবার ইসরাইল ও আমেরিকার বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলের প্রতিও হুংকার দেন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে। এরপর সর্বশেষ ৭ অক্টোবর ফ্লোরিডার তার ব্যক্তিগত ক্লাব ‘মার এ লাগো’য় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ার করে বলেন, ২০ জানুয়ারি তার শপথগ্রহণের আগে যদি বন্দিরা মুক্তি না পায়, তাহলে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুলে দেবেন জাহান্নামের দরজা।

শুধু হুঁশিয়ার করেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। ১১ জানুয়ারি তিনি ইসরাইল পাঠান তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। তিনি সাক্ষাৎ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এবং তাকে পৌঁছে দেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ট্রাম্পের বার্তা। এরপরই সুর নরম করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরদিন ১২ জানুয়ারি তিনি কাতার পাঠান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিন বেথের দুই প্রধানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। একই দিন কাতার পৌঁছান ট্রাম্পের প্রতিনিধি উইটকফ।

মজার বিষয় হলো কাতার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগ দেয় দুটি প্রতিনিধিদল। একটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোনীত ম্যাক গুরুকের নেতৃত্বে এবং আরেকটি ট্রাম্প মনোনীত প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। এ থেকে পরিষ্কার, বিদায়ের শেষ মুহূর্তে গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কৃতিত্ব ভাগীদার হওয়ার এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নামে বাইডেন প্রশাসন।

এর আগেও দোহা আর কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই আলোচনার শেষ মুহূর্তে এমন কিছু নতুন আর উদ্ভট শর্ত আরোপ করা হয়, যা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না হামাসের পক্ষে। এভাবে বহুবার ভেঙে গেছে যুদ্ধবিরতি আলোচনার নামে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের নাটক। হামাসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি চরম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন থাকতে আলোচনার জন্য ইসরাইলের আর কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর প্রয়োজন নেই। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের প্রতি কঠোর বার্তা দেওয়ার কারণে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার নামে ভাঁওতাবাজি আর নাটক করা সম্ভব হয়নি নেতানিয়াহু এবং বাইডেন প্রশাসনের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের এ ঘোষণার পরপরই কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল রহমান আল থানি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করেন রোববার থেকে গাজায় কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তি হবে ৪২ দিনের জন্য। চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রথম দফায় হামাস মুক্তি দেবে ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি। বিনিময়ে ইসরাইল গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নেবে সেনা। শর্তসাপেক্ষে ফিলিস্তিনিদের অনুমতি দেবে ঘরবাড়িতে ফেরার। এ সময় ইসরাইল মুক্তি দেবে এক হাজার বন্দি ফিলিস্তিনি। প্রথম দফা চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে আলোচনা হবে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির চুক্তির ঘোষণায় উল্লাস চলছে গাজা ও ইসরাইল সর্বত্র। সন্তোষ প্রকাশ করেছে হামাস ও নেতানিয়াহু উভয় পক্ষ। এ যুদ্ধে কার জয় কার পরাজয়, কার কী লাভ হলো, তা নিয়ে চলছে হিসাবনিকাশ আর বিশ্লেষণ। এ যুদ্ধে ইসরাইলের অর্জন অকল্পনীয় এবং অভাবনীয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইল হামাসকে যদিও তার প্রতিপক্ষ হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং স্বীকৃতি দিয়েছে কিন্তু হামাসকে তারা আর গাজায় সহসা মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না। এ বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত নেতানিয়াহু প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্র।

পশ্চিমতীরের আদলে গাজা থাকবে ইসরাইল আর্মির নিয়ন্ত্রণে। বর্তমানে ফিলিস্তিন নামক যে রাষ্ট্র বিশ্বে পরিচিত, সেটি পশ্চিমতীরে সীমাবদ্ধ। সেখানে ১৯৬৭ সাল থেকে মোতায়েন রয়েছে ইসরাইল আর্মি। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে পশ্চিমতীর। সেখানে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে রয়েছে নামে মাত্র একটি ফিলিস্তিন সরকার। তাদের নেই কোনো নিজস্ব আর্মি। অন্যদিকে মাহমুদ আব্বাসের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত একটি সরকার। আগামীতে গাজার পরিণতি হবে পশ্চিমতীরের চেয়েও অমর্যাদাকর। গাজা মূলত সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরাইল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, গাজায় আর হামাসের কোনো কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করবে না ইসরাইল। হামাস যদি গাজায় সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির কোনো পরোয়া করবে না এবং হামলা চালাবে হামাসের বিরুদ্ধে। যেমনটা তারা এখনও হামলা চালাচ্ছে লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে।

ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য অন্যতম হুমকি হামাস বর্তমানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ২২ লাখ মানুষের জনপদ গাজা। একই সঙ্গে ইসরাইলের আরেক বড় হুমকি লেবাননভিত্তিক ইরানের হিজবুল্লাহরও কোমার ভেঙে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইল হত্যা করেছে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান হাসরুল্লাহসহ প্রায় সব শীর্ষ সারির কমান্ডার ও নেতা। এ যুদ্ধে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় পাওয়া সিরিয়ায় আসাদের আকস্মিক পতন। সিরিয়ায় আসাদের পতন ইসরাইলের জন্য এক অভাবনীয় প্রাপ্তি ১৫ মাসের যুদ্ধে। কারণ সিরিয়ায় আসাদের পতনের ফলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ইরান।

লেবাননভিত্তিক ইরানের প্রক্সি আর্মি হিজবুল্লাহর অন্যতম সহায়ক রাষ্ট্র ছিল সিরিয়া। সিরিয়ায় যেমন ছিল ইরানের অনেক সামরিক কার্যক্রম, তেমনি লেবাননের হিজবুল্লাহরও অন্যতম আশ্রয় ছিল সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের অভিযোগ সিরিয়ার মাধ্যমে হিজবুল্লাহকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিত ইরান। ইসরাইল ঘিরে ইরাক-সিরিয়া-লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত যে প্রক্সি বলয় ইরান গড়ে তুলেছিল, গত চার দশকের বেশি সময় ধরে তার পতন ঘটে ১৫ মাসের গাজা যুদ্ধের ধারাবাহিকতায়।

হিজবুল্লাহকে বলা হতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর শক্তিশালী নন-স্টেট আর্মিÑসেই হিজবুল্লাহকে এত সহজে ইসরাইল লন্ডভন্ড করে দিতে সক্ষম হবে, তা সম্ভবত ইসরাইলেরও ধারণার বাইরে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বারবার ইসরাইলকে সাবধান করেছে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বড় যুদ্ধে না জড়াতে। সেই হিজবুল্লাহ ইসরাইলের মাত্র দুই মাসের অভিযানে এখন ছিন্নভিন্ন।

ইতিহাসে অন্যতম দুর্বল অবস্থায় বর্তমানে ইরান। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে এখন সম্পূর্ণ বাধাহীন ইসরাইল। হামাস শেষ, হিজবুল্লাহ শেষ, সিরিয়ার আসাদও শেষ। ফলে উত্তরে দামেস্ক, পূর্বে জর্ডান পার হয়ে ইরাক, দক্ষি-পূর্বে সৌদি আরবের উত্তর ভাগ এবং দক্ষিণে মিসরের নীল নদ অববাহিকা পর্যন্ত বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলের কট্টরপন্থিরা। গাজা যুদ্ধে কৌশলগতভাবে অন্যতম লাভবান দেশ তুরস্ক। আসাদ পতনে তুরস্কের ভূমিকা সর্বজনবিদিত এবং ইতোমধ্যে দামেস্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে আঙ্কারা।

হামাস-হিজবুল্লাহ-আসাদ পতন এবং ইসরাইলের চিরশত্রু ইরানের বর্তমান দুর্বল অবস্থার কারণে বাধাহীন ইসরাইল আগামীতে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠবে, মধ্যপ্রাচ্যে তা অনেকটা নির্ভর করছে তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ অন্য আরব দেশগুলো ভূমিকার ওপর।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন