আমার দেশ ডেস্ক
বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বাংলাদেশের সহ বাংলা ভাষায় সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্রের আবির্ভাব ঘটে। এ সময় সংবাদপত্র ছিল রাজনৈতিক, সচেতনতা, সামাজিক পরিবর্তন এবং শিক্ষার সহ ইত্যাদি বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বর্তমান সময়ের All Bangla Newspaper (সকল বাংলা সংবাদপত্র) গুলো মূলত সেই সময়ের সংবাদপত্রের উত্তরাধিকারী।
প্রথম বাংলা সংবাদপত্র বাঙাল গেজেট, এটি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। এর কোনো অনুলিপি পাওয়া যায়নি। সংবাদপত্রটির প্রকাশ ও অস্তিত্বের কথা জানা যায় ভবানীচরণ ব্যানার্জী, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রমুখের লেখায়।
সংবাদপত্রটির প্রকাশের তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। “ওরিয়েন্টাল স্টার” সূত্রে মতে ১২২৫ বঙ্গাব্দ বা ১৮১৮ সালের ১৬ মে, এবং ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধায়ের মতে ১৪ই মে থেকে ৯ই জুলাইয়ের মধ্যে বাঙাল গেজেট প্রকাশ হয়েছিল। গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সহকারী ছিলেন হরচন্দ্র রায় এবং পত্রিকাটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও উৎসাহদাতা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। জানা যায় সংবাদপত্রটি এক বছর প্রকাশ হয়েছিল।
বাঙাল গেজেটের কোনো অনুলিপি না থাকায় অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে সমাচার দর্পণ প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এটি ২৩ মে ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দের তারিখে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান। তিনি ছিলেন নামেমাত্র সম্পাদক, বাঙালি পণ্ডিতরাই মূলত সমাচারদর্পণ সম্পাদনা করতেন।
শুরু দিকে সংবাদপত্রটি সপ্তাহে একবার ও পরবর্তীতে দুই বার প্রকাশিত হতো। প্রগতিশীল পত্রিকা হিসেবে সে আমলে এর বিশেষ গুরুত্ব ছিল। সংবাদপত্রটি ১৮৪১ সাল পর্যন্ত অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল এবং পরেও কয়েকবার এটি পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল।
সমাচার দর্পণের পরে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে:
বাংলার সংবাদ: এটি মাসিক সংবাদপত্র ছিল এবং ১৮৩১সালে প্রকাশিত হয়, যা বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করত।
সংবাদ প্রভাকর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদিত এই পত্রিকাটি ছিল প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র, এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৮৩৯ সালে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট: এটি ১৮৫৩ সালে কিশোরী চন্দ্র মিত্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়, এই পত্রিকা রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আমৃতবাজার পত্রিকা: ১৮৬৮ সালে প্রকাশিত হয়,এটি প্রথমে একটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরে ইংরেজি পত্রিকায় পরিণত হয়।
ব্রিটিশ শাসনের সময় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করার জন্য বাংলা সংবাদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছিল। সামাজিক পরিবর্তন, নারী শিক্ষার প্রসার, এবং নৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতির জন্য এই পত্রিকাগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলা সংবাদপত্রের শুরুর ইতিহাস কেবল সাংবাদিকতার বিকাশ নয়, বরং একটি জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির গল্পও। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতি প্রথমবারের মতো নিজেদের কথা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ পায়।
বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বাংলাদেশের সহ বাংলা ভাষায় সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্রের আবির্ভাব ঘটে। এ সময় সংবাদপত্র ছিল রাজনৈতিক, সচেতনতা, সামাজিক পরিবর্তন এবং শিক্ষার সহ ইত্যাদি বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বর্তমান সময়ের All Bangla Newspaper (সকল বাংলা সংবাদপত্র) গুলো মূলত সেই সময়ের সংবাদপত্রের উত্তরাধিকারী।
প্রথম বাংলা সংবাদপত্র বাঙাল গেজেট, এটি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। এর কোনো অনুলিপি পাওয়া যায়নি। সংবাদপত্রটির প্রকাশ ও অস্তিত্বের কথা জানা যায় ভবানীচরণ ব্যানার্জী, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রমুখের লেখায়।
সংবাদপত্রটির প্রকাশের তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। “ওরিয়েন্টাল স্টার” সূত্রে মতে ১২২৫ বঙ্গাব্দ বা ১৮১৮ সালের ১৬ মে, এবং ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধায়ের মতে ১৪ই মে থেকে ৯ই জুলাইয়ের মধ্যে বাঙাল গেজেট প্রকাশ হয়েছিল। গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সহকারী ছিলেন হরচন্দ্র রায় এবং পত্রিকাটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও উৎসাহদাতা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। জানা যায় সংবাদপত্রটি এক বছর প্রকাশ হয়েছিল।
বাঙাল গেজেটের কোনো অনুলিপি না থাকায় অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে সমাচার দর্পণ প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এটি ২৩ মে ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দের তারিখে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান। তিনি ছিলেন নামেমাত্র সম্পাদক, বাঙালি পণ্ডিতরাই মূলত সমাচারদর্পণ সম্পাদনা করতেন।
শুরু দিকে সংবাদপত্রটি সপ্তাহে একবার ও পরবর্তীতে দুই বার প্রকাশিত হতো। প্রগতিশীল পত্রিকা হিসেবে সে আমলে এর বিশেষ গুরুত্ব ছিল। সংবাদপত্রটি ১৮৪১ সাল পর্যন্ত অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল এবং পরেও কয়েকবার এটি পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল।
সমাচার দর্পণের পরে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে:
বাংলার সংবাদ: এটি মাসিক সংবাদপত্র ছিল এবং ১৮৩১সালে প্রকাশিত হয়, যা বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করত।
সংবাদ প্রভাকর: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদিত এই পত্রিকাটি ছিল প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র, এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৮৩৯ সালে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট: এটি ১৮৫৩ সালে কিশোরী চন্দ্র মিত্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়, এই পত্রিকা রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আমৃতবাজার পত্রিকা: ১৮৬৮ সালে প্রকাশিত হয়,এটি প্রথমে একটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরে ইংরেজি পত্রিকায় পরিণত হয়।
ব্রিটিশ শাসনের সময় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করার জন্য বাংলা সংবাদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছিল। সামাজিক পরিবর্তন, নারী শিক্ষার প্রসার, এবং নৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতির জন্য এই পত্রিকাগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলা সংবাদপত্রের শুরুর ইতিহাস কেবল সাংবাদিকতার বিকাশ নয়, বরং একটি জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির গল্পও। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতি প্রথমবারের মতো নিজেদের কথা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং বাংলাদেশ পানি ও বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সমিতির বিউবো শাখার সাবেক সম্পাদক প্রকৌশলী এ. জে. এম. লুৎফে রব্বানী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৩ দিন আগেবাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) নতুন নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের এক বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠিত হয়।
৩০ আগস্ট ২০২৫মানবিক সেবার অংশ হিসেবে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৬৬ টন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে আল-মারকাজুল ইসলামী (এএমআই)। এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পর্যায়ক্রমে সহায়তা পাবে। এর আগে সংস্থাটি গত সপ্তাহে ৫০০ রোহিঙ্গা শিশুর সুন্নতে খতনা সম্পন্ন করেছে।
২৩ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক যুব দিবস আজ। প্রতি বছর ১২ আগস্ট এ দিবসটি পালন করা হয়। এটি বিশ্বব্যাপী যুব বিষয়গুলোর প্রতি সরকার এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫