ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্ম সম্পর্কে তাদের অনুভূতি খুবই সংবেদনশীল। এই সুন্দর ও উত্তম নাগরিক বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করেই কুচক্রী মহল বার বার অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাউল আবুল হোসেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে অশালীন-অশ্লীল মন্তব্য করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে, আর এখন আরেকদল সেই সুযোগে স্বার্থ হাসিলের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
ইসলামী আন্দোলন মনে করে, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট করার এক গভীর চক্রান্তের অংশ এটা। ফলে যারাই সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ইউনূস আহমদ আরো বলেন, বাউলকাণ্ডে প্রতিক্রিয়াকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বাউল আবুল হোসেনের ধৃষ্টতামূলক মন্তব্যকে আমলে না নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জনতা কি করেছে তা প্রধান করে তোলা হয়েছে। অথচ বাউল আবুল হোসেন যে অশ্লীল ও অশালীন মন্তব্য করেছে তা সীমাহীন অপরাধ। মানুষের বাকস্বাধীনতা আছে কিন্তু কাউকে অপমান করা, কারো বিশ্বাসকে আঘাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাউল আবুল হোসেন সেই অপরাধ করে পরিস্থিতি উস্কে দিয়েছে। তাই বাউল আবুল হোসেন এবং এখন যারা তার পক্ষ নিচ্ছেন তাদের কোনো রাজনৈতিক হীন অভিলাষ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং এই ঘটনায় সাধারণ জনতার ওপরে দোষারোপের রাজনীতি চলছে, পুলিশি হয়রানির যে পাঁয়তারা চলছে তা রোধ করতে হবে।
তিনি সবার প্রতি আহবান রেখে বলেন, যে কোনো ঘটনায় আমাদের বস্তুনিষ্ট দৃষ্টিতে দেখতে হবে। ইনসাফের সঙ্গে পক্ষ বাছাই করতে হবে। এবং প্রতিটি ঘটনার ক্রিয়া ও তার প্রতিক্রিয়া কি, কারা এর দ্বারা লাভবান হচ্ছে তা বিবেচনায় নিতে হবে। জাতির এই ক্রান্তিকালে সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে।

