আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়তার আশ্বাস কানাডিয়ান হাইকমিশনারের

স্টাফ রিপোর্টার
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়তার আশ্বাস কানাডিয়ান হাইকমিশনারের

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন। সোমবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে বিভিন্ন পলিসি এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ সময় জামায়াত আমিরের সঙ্গে দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য, মতিউর রহমান আকন্দ ও নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. তাহের বলেন, কানাডিয়ার হাকমিশনার আগামী নির্বাচন এবং চলমান সংস্কার বিষয়ে জানতে চান। আমরা বলেছি, ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ টি রাজনৈতিক দল আলোচনা করছি। সেখানে কয়েকটি বিষয়ে মোটামুটি অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং অগ্রগতিও হয়েছে। তারমধ্যে আর্টিকেল সেভেনটি, স্ট্যান্ডিং কমিটি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের যে প্রস্তাব আছে- সেটি ব্যাখ্যা করেছি, নারী আসনের বিষয়ে কথা হয়েছে।

পুরো নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে জামায়াত যে পিআর পদ্ধতি চায়, সেটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। উচ্চকক্ষ এবং নিম্ন কক্ষের প্রস্তাবনার বিষয়ও তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে মৌলিক একটি পরিবর্তন দরকার। যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য আনবে, এখানে একনায়ক অথবা ফ্যাসিস্ট হওয়ার মত অবস্থায় যাতে না যায়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, তাদের দলের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যালোচনা করা হবে।

এসময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। তারা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। এবং নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যাতে হয় এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হতে পারে সেজন্য তাদের মতামত ও পর্যবেক্ষণ দিবেন।

ডা. তাহের বলেন, আমরা আমাদের দাবি- সিল মারার জায়গা বাদ দিয়ে প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলেছি। এজন্য অনেক টাকা লাগবে বলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অজুহাত আছে, এজন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে কয়েকটি দেশ মিলে হলেও বাজেট দেয়ার অনুরোধ করেছি। আইনশৃংখলা কর্তৃপক্ষের বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে। তারা এসব বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য অন্য দেশগুলোর সহযোগিতায় কাজ করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন