স্টাফ রিপোর্টার
দেশবরেণ্য প্রবীণ রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৮০তম জন্মদিন বুধবার!
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তিনি ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। ড. মোশাররফ প্রথিতযশা ভূ-বিজ্ঞানী, গবেষক, লেখক ও কলামিষ্ট।
মঙ্গলবার ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মবহুল জীবনে খন্দকার মোশাররফের ঝুলিতে অর্জনের ভাণ্ডার বিশাল। তিন মেয়াদে মন্ত্রী ও ৪বার এমপি থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় দাউদকান্দি পৌরসভা ও নতুন উপজেলা তিতাস প্রতিষ্ঠা, ড.মোশাররফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২টি কলেজ, ৩টি হাইস্কুল, ১টি দাখিল মাদরাসা, ১টি নূরানী মাদরাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন ।
এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, প্রচুরসংখ্যক গ্রামীণ পাঁকা সড়ক তৈরী, দাউদকান্দিতে বিশাল পৌরভবন নির্মাণ, শহীদনগরে ট্রমা সেন্টার,নবগঠিত মেঘনা উপজেলা বাস্তবায়ন, দাউদকান্দি সদরে ২০ শয্যার হাসপাতাল, তিতাস ও মেঘনা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, দুই উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল ও ২টি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, দাউদকান্দির ঢাকারগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনসহ সর্বক্ষেত্রে প্রায় সহস্রাধিক কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এতে এলাকায় অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। এই উন্নয়নের সুফল জনগণ এখন ভোগ করছেন। ড.মোশাররফ ৩ সহস্রাধিক শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও মৎস্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি দেশ-বিদেশে স্বর্ণপদকসহ প্রচুর সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য খন্দকার মোশাররফ '৭১সালে বিলাত প্রবাসী বাঙালীদের সংগঠিত করেন এবং বিলেতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রশংসা অর্জন করেছেন।
"প্রবাসে বিশ্বজনমত গঠন" ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাঁর নাম গেজেটভূক্ত করা হয়েছে। অবশ্য স্বাধীনতার পর প্রকাশিত প্রথম গেজেট থেকেই ড.মোশাররফ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত রয়েছেন।
ড.মোশাররফ বিভিন্ন সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায় ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৫ বছর কারাভোগ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে '৭৯ সালে ঢাবি’র অধ্যাপক ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপি'র রাজনীতিতে যোগ দেন এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। '৯৪ সাল থেকে বিএনপি'র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি কুমিল্লা-২ আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। '৯১-'৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, '৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মোশাররফ কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইস্কুল থেকে '৬২ সালে মেট্রিকুলেশন, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে '৬৪ সালে আই.এসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে '৬৮ সালে এম.এসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। '৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে জুনিয়র প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং একই বছর কলম্বো-প্লান স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার (পিএইচ.ডি) জন্য লণ্ডন(বিলেত) গমন করেন। তিনি '৭০ সালে লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এম.এসসি, '৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা এবং '৭৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন।
'৭৫ সালে বিলেত থেকে দেশে ফিরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। '৮৭ থেকে '৯০ সাল পর্যন্ত ভূ-তত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। '৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য তিনি ঢাবি'র শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এজিএস এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন। মৎস্যখাতের উন্নয়নে ড. মোশাররফ 'প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ পদ্ধতি’র উদ্ভাবক। মৎস্য ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণপদক লাভ করেন।
২০০৩ সালে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫৭ তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সভাপতিত্বে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) গৃহীত হয়। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং বিশ্বব্যাপী তামাক বিরোধী আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ড.মোশাররফকে 'ডড়ৎষফ হড় ঃড়নধপপড় ধধিৎফ-২০০৪' পদকে ভূষিত করেন। ভূ-তত্ত্ব বিষয়ে স্ট্রাকচারাল এ্যানালাইসিসে তাঁর মৌলিক উদ্ভাবন 'ঐড়ংংধরহং সবঃযড়ফ ড়ভ বীঃবহংরড়হ' আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা 'মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান', 'প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ: দাউদকান্দি মডেল', 'সংসদে কথা বলা যায়', 'এই সময়ের কিছু কথা',' 'ফখরুদ্দিন- মইন উদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন', 'রাজনীতির হালচাল', 'সময়ের ভাবনা', 'জরুরী আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭ ও ২০০৮)' 'মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খণ্ডচিত্র', 'প্রগতি ও সত্যের সন্ধানে', 'করোনাকালে বাংলাদেশঃ সংক্রমণের দশ মাস', 'স্মৃতির অ্যালবাম' এবং 'আমার রাজনীতির রোজনামচা' নামের ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
জন্মদিনে এক প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি, মিথ্যা মামলায় ৫ বছর কারাবাস করেছি, নির্যাতিত হয়েছি। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। মাঝে আমি অসুস্থ ছিলাম, আল্লাহ আমাকে সুস্থ করেছেন। রাস্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার এই পরিবর্তন দেখার সুযোগ দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে কুমিল্লা-১ এবং ২ আসনের জনগণ, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতা-কর্মীসহ প্রিয় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। যাতে আগামী দিনগুলোতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতির সহায় হোন,আমিন।
দেশবরেণ্য প্রবীণ রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৮০তম জন্মদিন বুধবার!
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তিনি ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। ড. মোশাররফ প্রথিতযশা ভূ-বিজ্ঞানী, গবেষক, লেখক ও কলামিষ্ট।
মঙ্গলবার ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মবহুল জীবনে খন্দকার মোশাররফের ঝুলিতে অর্জনের ভাণ্ডার বিশাল। তিন মেয়াদে মন্ত্রী ও ৪বার এমপি থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় দাউদকান্দি পৌরসভা ও নতুন উপজেলা তিতাস প্রতিষ্ঠা, ড.মোশাররফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২টি কলেজ, ৩টি হাইস্কুল, ১টি দাখিল মাদরাসা, ১টি নূরানী মাদরাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন ।
এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, প্রচুরসংখ্যক গ্রামীণ পাঁকা সড়ক তৈরী, দাউদকান্দিতে বিশাল পৌরভবন নির্মাণ, শহীদনগরে ট্রমা সেন্টার,নবগঠিত মেঘনা উপজেলা বাস্তবায়ন, দাউদকান্দি সদরে ২০ শয্যার হাসপাতাল, তিতাস ও মেঘনা উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, দুই উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল ও ২টি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, দাউদকান্দির ঢাকারগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনসহ সর্বক্ষেত্রে প্রায় সহস্রাধিক কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এতে এলাকায় অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। এই উন্নয়নের সুফল জনগণ এখন ভোগ করছেন। ড.মোশাররফ ৩ সহস্রাধিক শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও মৎস্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি দেশ-বিদেশে স্বর্ণপদকসহ প্রচুর সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য খন্দকার মোশাররফ '৭১সালে বিলাত প্রবাসী বাঙালীদের সংগঠিত করেন এবং বিলেতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রশংসা অর্জন করেছেন।
"প্রবাসে বিশ্বজনমত গঠন" ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাঁর নাম গেজেটভূক্ত করা হয়েছে। অবশ্য স্বাধীনতার পর প্রকাশিত প্রথম গেজেট থেকেই ড.মোশাররফ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত রয়েছেন।
ড.মোশাররফ বিভিন্ন সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায় ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৫ বছর কারাভোগ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে '৭৯ সালে ঢাবি’র অধ্যাপক ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপি'র রাজনীতিতে যোগ দেন এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। '৯৪ সাল থেকে বিএনপি'র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি কুমিল্লা-২ আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। '৯১-'৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, '৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মোশাররফ কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইস্কুল থেকে '৬২ সালে মেট্রিকুলেশন, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে '৬৪ সালে আই.এসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে '৬৮ সালে এম.এসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। '৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে জুনিয়র প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং একই বছর কলম্বো-প্লান স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার (পিএইচ.ডি) জন্য লণ্ডন(বিলেত) গমন করেন। তিনি '৭০ সালে লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এম.এসসি, '৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা এবং '৭৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন।
'৭৫ সালে বিলেত থেকে দেশে ফিরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। '৮৭ থেকে '৯০ সাল পর্যন্ত ভূ-তত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। '৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য তিনি ঢাবি'র শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এজিএস এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন। মৎস্যখাতের উন্নয়নে ড. মোশাররফ 'প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ পদ্ধতি’র উদ্ভাবক। মৎস্য ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণপদক লাভ করেন।
২০০৩ সালে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৫৭ তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সভাপতিত্বে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) গৃহীত হয়। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং বিশ্বব্যাপী তামাক বিরোধী আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ড.মোশাররফকে 'ডড়ৎষফ হড় ঃড়নধপপড় ধধিৎফ-২০০৪' পদকে ভূষিত করেন। ভূ-তত্ত্ব বিষয়ে স্ট্রাকচারাল এ্যানালাইসিসে তাঁর মৌলিক উদ্ভাবন 'ঐড়ংংধরহং সবঃযড়ফ ড়ভ বীঃবহংরড়হ' আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের লেখা 'মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান', 'প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ: দাউদকান্দি মডেল', 'সংসদে কথা বলা যায়', 'এই সময়ের কিছু কথা',' 'ফখরুদ্দিন- মইন উদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন', 'রাজনীতির হালচাল', 'সময়ের ভাবনা', 'জরুরী আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭ ও ২০০৮)' 'মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খণ্ডচিত্র', 'প্রগতি ও সত্যের সন্ধানে', 'করোনাকালে বাংলাদেশঃ সংক্রমণের দশ মাস', 'স্মৃতির অ্যালবাম' এবং 'আমার রাজনীতির রোজনামচা' নামের ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
জন্মদিনে এক প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করেছি, মিথ্যা মামলায় ৫ বছর কারাবাস করেছি, নির্যাতিত হয়েছি। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। মাঝে আমি অসুস্থ ছিলাম, আল্লাহ আমাকে সুস্থ করেছেন। রাস্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার এই পরিবর্তন দেখার সুযোগ দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে কুমিল্লা-১ এবং ২ আসনের জনগণ, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতা-কর্মীসহ প্রিয় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। যাতে আগামী দিনগুলোতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতির সহায় হোন,আমিন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে কোনদিন যেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো না হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।
১ ঘণ্টা আগেকারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে