প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলার নিন্দা এনসিপির

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ০৩
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ০৫

বিএসসি প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার কোনো সমাধানযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ না করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের এই দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা "লংমার্চ টু ঢাকা" কর্মসূচি এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম, বিএসসি প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। এই ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি, তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিক ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি এসব তথ্য জানায়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের নির্দিষ্ট দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে না পারার ব্যর্থতা আড়াল করতেই 'লংমার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান-পরবর্তী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এ দেশের মানুষের টাকায় গঠিত পুলিশ বাহিনী হামলা করেছে।

সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দুটি ভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ দাবি নিয়ে সারা দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য এই দুটি গ্রুপই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তাদের আরও বেশি অবদান রাখার সম্ভাবনা বিদ্যমান। তাদের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনসহ শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় এই সরকার এবং সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় চরম ব্যর্থতার নজির স্থাপন করছে।

ছাত্র-জনতার উত্থানের পর একটি "শিক্ষা সংস্কার কমিশন" গঠন করা আবশ্যক ছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, ভোকেশনাল ও মাদ্রাসাসহ সকল পর্যায়ে নানা রকমের অসঙ্গতি ও সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সকলের অংশগ্রহণমূলক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারত। এর পরিবর্তে আমরা দেখেছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পুরোনো সংকটকে আইনি জটিলতা তৈরি এবং নিজেদের পদ-পদবি উপভোগ করতেই ব্যস্ত। যা শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত হওয়া সরকারের জন্য লজ্জাজনক।

এনসিপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর শান্তিপূর্ণ, কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত