স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ দলই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে সবার মতামত নিয়ে আগামী রোববার ঐকমত্য কমিশন নেবে বলে জানান তারা।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন ও আব্দুল্লাহ তাহের।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে আজকের আলোচনা। উচ্চ কক্ষে এবং নিম্ন কক্ষে কিভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐক্যমতে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিপক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কি হবে এবং তার পাওয়ার এন্ড ফাংশন কি হবে? এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফার ভিত্তিতে আইডিয়া নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টি জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিশিষ্টজন এবং যাদের জাতি গঠনে অবদান আছে; তাদেরকে নিয়ে এবং যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ যাদের মেধা প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতা কন্ট্রিবিউশন ন্যাশন বিল্ডিং অক্টিভিটিসে প্রতিফলিত হয় এবং জাতি সমৃদ্ধ হয়। সেই আইডিয়া থেকেই ১০০ আসন উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি।
সালাহউদ্দিন বলেন, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রিপ্রেজেন্ট করবে বিদ্যমান সংবিধানে নারী সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে হয়, আসনের অনুপাতে সেই হিসাবে; তবে বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। কেউ চান পিআর পদ্ধতিতে মানে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে, এখানে আবার পাওয়ার ফাংশনের বিষয়ে আছে। সাধারণ বিল কিভাবে পাস হবে, কনস্টিটিউশন অ্যামেন্ডমেন্ট হলে আপার হাউজে কিভাবে পাস হবে, ইত্যাদি তো ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে ঐক্যমতে আসা যায়নি ।
তিনি বলেন, এখন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। আমাদের দেশের যে আর্থিক সক্ষমতা, সেই বিষয়ে আরেকটি পার্লামেন্ট সৃষ্টি করা এবং সেই পার্লামেন্টটা যদি আসলে নিম্নপক্ষের রিপাবলিক হয়। তাহলে সেটার প্রয়োজন আছে কিনা সে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কারণ এটাও একটা আলাদা পার্লামেন্টের মত ব্যয়বহুল পার্লামেন্ট হবে। সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন সবার মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেবে আগামী রোববার। সিদ্ধান্ত দেয়ার পর আমরা প্রতিক্রিয়া বা আমাদের সম্মতি বা অসম্মতি সেটা জানাতে পারব।
সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কিভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায় এবং বিদ্যমান সংবিধান কিভাবে সংশোধিত যায়।
তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী অবস্থা করতে চাই। ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে হাত না দিতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়ও যদি কেউ পরিবর্তন আনতে চায় সেটাও গণভোটের মধ্যে মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ দলই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার কমিশন তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে, আলোচনা আকারে নয়।
তিনি বলেন, অধিকাংশ দল সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। তাই কোন একটি বা তিনটি দলের না চাওয়াতে পিআর পদ্ধতি আটকে দেওয়াটা ইনজাস্টিস বা বৈষম্যমূলক হবে।
সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া একটু কঠিন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, কোন একক দল থেকে ইচ্ছামতো সংশোধন করতে না পারার ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন হোক। নট ফর ওয়ান পার্টিস পাওয়ার অ্যান্ড পার্টি ইন্টারেস্ট’।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ দলই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে সবার মতামত নিয়ে আগামী রোববার ঐকমত্য কমিশন নেবে বলে জানান তারা।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন ও আব্দুল্লাহ তাহের।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে আজকের আলোচনা। উচ্চ কক্ষে এবং নিম্ন কক্ষে কিভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐক্যমতে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিপক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কি হবে এবং তার পাওয়ার এন্ড ফাংশন কি হবে? এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফার ভিত্তিতে আইডিয়া নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টি জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিশিষ্টজন এবং যাদের জাতি গঠনে অবদান আছে; তাদেরকে নিয়ে এবং যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ যাদের মেধা প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতা কন্ট্রিবিউশন ন্যাশন বিল্ডিং অক্টিভিটিসে প্রতিফলিত হয় এবং জাতি সমৃদ্ধ হয়। সেই আইডিয়া থেকেই ১০০ আসন উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি।
সালাহউদ্দিন বলেন, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রিপ্রেজেন্ট করবে বিদ্যমান সংবিধানে নারী সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে হয়, আসনের অনুপাতে সেই হিসাবে; তবে বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। কেউ চান পিআর পদ্ধতিতে মানে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে, এখানে আবার পাওয়ার ফাংশনের বিষয়ে আছে। সাধারণ বিল কিভাবে পাস হবে, কনস্টিটিউশন অ্যামেন্ডমেন্ট হলে আপার হাউজে কিভাবে পাস হবে, ইত্যাদি তো ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে ঐক্যমতে আসা যায়নি ।
তিনি বলেন, এখন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। আমাদের দেশের যে আর্থিক সক্ষমতা, সেই বিষয়ে আরেকটি পার্লামেন্ট সৃষ্টি করা এবং সেই পার্লামেন্টটা যদি আসলে নিম্নপক্ষের রিপাবলিক হয়। তাহলে সেটার প্রয়োজন আছে কিনা সে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কারণ এটাও একটা আলাদা পার্লামেন্টের মত ব্যয়বহুল পার্লামেন্ট হবে। সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন সবার মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেবে আগামী রোববার। সিদ্ধান্ত দেয়ার পর আমরা প্রতিক্রিয়া বা আমাদের সম্মতি বা অসম্মতি সেটা জানাতে পারব।
সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কিভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায় এবং বিদ্যমান সংবিধান কিভাবে সংশোধিত যায়।
তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী অবস্থা করতে চাই। ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে হাত না দিতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়ও যদি কেউ পরিবর্তন আনতে চায় সেটাও গণভোটের মধ্যে মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ দলই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার কমিশন তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে, আলোচনা আকারে নয়।
তিনি বলেন, অধিকাংশ দল সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। তাই কোন একটি বা তিনটি দলের না চাওয়াতে পিআর পদ্ধতি আটকে দেওয়াটা ইনজাস্টিস বা বৈষম্যমূলক হবে।
সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া একটু কঠিন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, কোন একক দল থেকে ইচ্ছামতো সংশোধন করতে না পারার ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন হোক। নট ফর ওয়ান পার্টিস পাওয়ার অ্যান্ড পার্টি ইন্টারেস্ট’।
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
১০ মিনিট আগেইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪২ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে