নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ছে। রাতের আঁধারে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিনের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় লাগানো এসব প্রচার সামগ্রী কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলেছে—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন দুই প্রার্থী।
ঘটনার পর জামায়াত ও এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই রাতের অন্ধকারে এসব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে, যাতে তাদের নির্বাচনি প্রচারণা বাধাগ্রস্ত হয়।
মাওলানা আবদুল জব্বার অভিযোগ করে বলেন, “একটি কুচক্রী মহল আমার ফতুল্লা–সদর এলাকায় বড় বড় ব্যানার পর্যন্ত কেটে ফেলেছে। এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। যারাই এসব করছে, তারা সফল হবে না। সারা দেশে জামায়াতের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে—নারায়ণগঞ্জও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।”
তিনি আরও দাবি করেন, তার ব্যানার-ফেস্টুন ছেঁড়া হলেও একই স্থানে থাকা অন্য একটি দলের ব্যানার-ফেস্টুন অক্ষত রয়েছে, যা থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় কারা এ কাজটি করতে পারে।
এনসিপি প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিনও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ফতুল্লার প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই আমার লাগানো ব্যানার রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। জামায়াত প্রার্থীর প্রচার সামগ্রীও নষ্ট করা হয়েছে। একই জায়গায় অন্য একটি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার অক্ষত থাকা থেকেই বোঝা যায়, বিষয়টি রাজনৈতিক হীন স্বার্থে করা হয়েছে। যারা এ কাজ করছে, তারা নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে দিতে চায় না।”
জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, এলাকার একটি দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ক্ষমতার প্রভাব কল্পনা করে ছোট দলগুলোর নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। তাদের মতে, ওই দলের কর্মীরাই ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে এনসিপি ও জামায়াত প্রার্থীর প্রচারে বিঘ্ন ঘটানোর অপচেষ্টা করে থাকতে পারে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

