হেফাজতের গোলটেবিল আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা।
তারা সংস্থাটির কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদেশি প্রভাব বিস্তার বন্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে অফিস স্থাপনের চুক্তির সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ এবং এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথাব বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ন্যায়ানুগ হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি কী অনুমোদন করে আর কী করে না, সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত। এ দেশের মানুষ এলজিবিটিকিউ মেনে নেবে না। এটা রাষ্ট্রের অখণ্ডতার জন্য হুমকি হবে। দেশের পারিবারিক বন্ধন, হাজার বছরের সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের চেয়ে ফিলিস্তিনসহ অনেক দেশে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেসব দেশে এই অফিস স্থাপন হয়নি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে দেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এসব কারণে জাতিসংঘ মনে করেছে, এখানে একটি অফিস স্থাপন করা উচিত।
তবে বৃহত্তর পরিসরে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি হলে এ ধরনের বিতর্ক হতো না। তবে তিন বছরের এ চুক্তি দু-এক বছর পর রিভিউয়ের সুযোগ আছে। সরকার যেন যাচাই-বাছাই করে পুনঃবিবেচনা করেন।
বাংলাদেশে খেলাফত আন্দোলনের আমির ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সরকার যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খোলাসা করে তাহলে হেফাজত তাতে স্বাগত জানাবে। তবে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে আমরা কারো দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারব না। এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে হেফাজত কুণ্ঠিত হবে না।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আলেম-উলামাদের সর্বত্র বিচরণের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। আলেমদের ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক সীমারেখা বিবেচনায় নিয়েই জাতিসংঘের যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নাহলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর বলেন, মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, স্থানীয় বাস্তবতা ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, সালাহউদ্দিন নানুপুরী, আব্দুর রব ইউসূফী, মুহিউদ্দীন রাব্বানী, আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার, সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মুসা বিন ইজহার, মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার ও ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ। এছাড়া বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং নাগরিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং মতামত দেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা।
তারা সংস্থাটির কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদেশি প্রভাব বিস্তার বন্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে অফিস স্থাপনের চুক্তির সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ এবং এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথাব বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ন্যায়ানুগ হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি কী অনুমোদন করে আর কী করে না, সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত। এ দেশের মানুষ এলজিবিটিকিউ মেনে নেবে না। এটা রাষ্ট্রের অখণ্ডতার জন্য হুমকি হবে। দেশের পারিবারিক বন্ধন, হাজার বছরের সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের চেয়ে ফিলিস্তিনসহ অনেক দেশে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেসব দেশে এই অফিস স্থাপন হয়নি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়ে দেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এসব কারণে জাতিসংঘ মনে করেছে, এখানে একটি অফিস স্থাপন করা উচিত।
তবে বৃহত্তর পরিসরে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি হলে এ ধরনের বিতর্ক হতো না। তবে তিন বছরের এ চুক্তি দু-এক বছর পর রিভিউয়ের সুযোগ আছে। সরকার যেন যাচাই-বাছাই করে পুনঃবিবেচনা করেন।
বাংলাদেশে খেলাফত আন্দোলনের আমির ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সরকার যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খোলাসা করে তাহলে হেফাজত তাতে স্বাগত জানাবে। তবে দেশ ও ইসলামের স্বার্থে আমরা কারো দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারব না। এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে হেফাজত কুণ্ঠিত হবে না।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আলেম-উলামাদের সর্বত্র বিচরণের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। আলেমদের ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক সীমারেখা বিবেচনায় নিয়েই জাতিসংঘের যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নাহলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর বলেন, মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, স্থানীয় বাস্তবতা ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, সালাহউদ্দিন নানুপুরী, আব্দুর রব ইউসূফী, মুহিউদ্দীন রাব্বানী, আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার, সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মুসা বিন ইজহার, মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার ও ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ। এছাড়া বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং নাগরিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং মতামত দেন।
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১৪ মিনিট আগেএর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা যমুনায় পৌঁছান। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
৩৯ মিনিট আগেপ্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে। এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে