সিইসির সঙ্গে বৈঠকে হাসনাত-সারজিসরা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩২
ফাইল ছবি

সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন এনসিপির পাঁচ সদস্যের দল।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বেলা ১১টার দিকে বৈঠকে বসেছেন এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তফসিলে শাপলা ছাড়াই ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, যা ওইদিনই আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। যদিও ইসির এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এনসিপি।

এর আগে ২২ জুন এনসিপি নিবন্ধন আবেদন দাখিলের সময় শাপলা প্রতীক চায়। আবার তার আগে মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ১৭ এপ্রিল একই প্রতীক চায়। এ ছাড়া দুটি দলই শাপলা নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করে ইসির সঙ্গে। শাপলা নিয়ে এই কাড়াকাড়ির মধ্যে প্রতীকটি অন্তর্ভুক্ত করেনি ইসি।

এদিকে জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা, সন্দেহ ও উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি, নিবন্ধন প্রক্রিয়া, প্রতীক বিতর্ক ও রাজনৈতিক চাপ প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন যাচাই-বাছাই শুরু করেছে। সিইসি জানান, দেড়শোর মতো রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করলেও সব দলকে নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব নয়। যারা নির্ধারিত কাগজপত্র ও শর্ত পূরণ করতে পারবে না, তাদের নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

সিইসি বলেন, ‘আমরা স্ক্রুটিনি (যাচাই বাছাই) শুরু করে দিয়েছি। আমাদের ফিল্ড অফিসে ৫ হাজার ৭০০ জন লোক কাজ করে। তারাই যাচাই-বাছাই করছে। অনেক রিপোর্ট ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে।’

সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল শাপলা প্রতীক নিয়ে বিতর্ক। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এবং আগের নিবন্ধিত দল নাগরিক ঐক্য—দুই দলই এই প্রতীক দাবি করেছে।

এ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টা আমরা সিরিয়াসলি কমিশনে বিবেচনা করেছি। আমাদের পাঁচ সদস্যের কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস ছাড়া নেয় না। শাপলা প্রতীক নিয়ে আইনি বিষয়ও আছে, যেমন—এটি জাতীয় ফুল।’

তিনি জানান, নাগরিক ঐক্য আগেই এই প্রতীক চেয়েছিল, তবে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো দলকেই শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত