
স্টাফ রিপোর্টার

ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এই প্রতিনিধিত্ব থাকলে প্রবাসীরা অনুভব করবে-আমিও বাংলাদেশ, আমরাও বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশ বানাতে চাই। আমরা সারা বিশ্বকে একটা কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে চাই। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক জায়গায় এনে মজবুত করতে চাই।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের বাফেলোতে ‘বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি, বাফেলো’ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা দেশ সেবার সুযোগ পেলে কয়েকটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেব। আমরা ভাঙাচোরা, বিধ্বস্ত ও অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করবো। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায়, নাগরিককে দেশ গড়ার কারিগর বানায়। এমন শিক্ষা দিতে চাই, যাতে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট নিয়ে বের হলেই যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা উদ্যোক্তা হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির জড় কেটে বা উপড়ে ফেলতে চাই। ক্ষমতায় না গেলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। দেশে ন্যায়-বিচার নেই। পবিত্র কোরআন যে ন্যায়-বিচার দিয়েছে, প্রত্যেকের ন্যায়-বিচার নিশ্চিত করা হবে। আইন তার অপরাধকে দেখবে, অপরাধীকে নয়। আইনের পাল্লা (দাঁড়ি পাল্লা) কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পাল্লা ধরে রাখবো।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশ-জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে চাই। দুনিয়ার সবাইকে সম্মান করবো কিন্তু কাউকে প্রভু মানব না। আমাদের প্রভূ একমাত্র আল্লাহ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে। ন্যায্য পাওনা আমরা বুঝিয়ে দেব, অন্যদের কাছ থেকে বুঝে নেবো।
অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, দেশটাকে ফোকলা করে ফেলা হয়েছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করা হয়েছে। রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য সদিচ্ছা, সততা ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে জাতিকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, অনেকে ভীত-সন্ত্রস্ত যে, মা-বোন এবং ভিন্ন ধর্মীদের কী হবে? আমরা মেয়েদেরকে মা হিসেবে সম্মান দেব। সভ্যতার মিছিলে তারা নেতৃত্ব দেবেন। নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। ভিন্নধর্মীদেরও সম্মান করা হবে। আমরা দেশে সত্যিকার কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অহিংস মানবিক জাতি এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে হায়েনার তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আল্লাহ সেই জাতিকে গজব ও লানত থেকে হেফাজত করেছেন। প্রবাসীরাও রাস্তায় নেমে ও রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিয়ে জালিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার আদায়ে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি এই ভোট নিশ্চিতের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বাফেলো প্রবাসীদের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত-স্থায়ী কনস্যুলেট স্থাপন, এনআইডি রেজিস্ট্রেশনে তারিখ বাড়ানো, বৈধ নাগরিকত্বের পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধ করা, বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবির প্রতি একমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাই বা না যাই, এসব দাবি আদায়ের চেষ্টা করবো। আর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে দাবি পূরণ করে সবার কাছে পৌঁছে দেব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন—জামায়াতে ইসলামী যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. নাকীবুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. খালিদুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন ও ব্যবসায়ী তালহা বকস প্রমুখ।

ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এই প্রতিনিধিত্ব থাকলে প্রবাসীরা অনুভব করবে-আমিও বাংলাদেশ, আমরাও বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশ বানাতে চাই। আমরা সারা বিশ্বকে একটা কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে চাই। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক জায়গায় এনে মজবুত করতে চাই।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের বাফেলোতে ‘বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি, বাফেলো’ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা দেশ সেবার সুযোগ পেলে কয়েকটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেব। আমরা ভাঙাচোরা, বিধ্বস্ত ও অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করবো। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায়, নাগরিককে দেশ গড়ার কারিগর বানায়। এমন শিক্ষা দিতে চাই, যাতে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট নিয়ে বের হলেই যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা উদ্যোক্তা হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির জড় কেটে বা উপড়ে ফেলতে চাই। ক্ষমতায় না গেলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। দেশে ন্যায়-বিচার নেই। পবিত্র কোরআন যে ন্যায়-বিচার দিয়েছে, প্রত্যেকের ন্যায়-বিচার নিশ্চিত করা হবে। আইন তার অপরাধকে দেখবে, অপরাধীকে নয়। আইনের পাল্লা (দাঁড়ি পাল্লা) কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পাল্লা ধরে রাখবো।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দেশ-জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে চাই। দুনিয়ার সবাইকে সম্মান করবো কিন্তু কাউকে প্রভু মানব না। আমাদের প্রভূ একমাত্র আল্লাহ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে। ন্যায্য পাওনা আমরা বুঝিয়ে দেব, অন্যদের কাছ থেকে বুঝে নেবো।
অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, দেশটাকে ফোকলা করে ফেলা হয়েছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করা হয়েছে। রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য সদিচ্ছা, সততা ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে জাতিকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, অনেকে ভীত-সন্ত্রস্ত যে, মা-বোন এবং ভিন্ন ধর্মীদের কী হবে? আমরা মেয়েদেরকে মা হিসেবে সম্মান দেব। সভ্যতার মিছিলে তারা নেতৃত্ব দেবেন। নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। ভিন্নধর্মীদেরও সম্মান করা হবে। আমরা দেশে সত্যিকার কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অহিংস মানবিক জাতি এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে হায়েনার তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আল্লাহ সেই জাতিকে গজব ও লানত থেকে হেফাজত করেছেন। প্রবাসীরাও রাস্তায় নেমে ও রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিয়ে জালিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার আদায়ে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি এই ভোট নিশ্চিতের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বাফেলো প্রবাসীদের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত-স্থায়ী কনস্যুলেট স্থাপন, এনআইডি রেজিস্ট্রেশনে তারিখ বাড়ানো, বৈধ নাগরিকত্বের পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধ করা, বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবির প্রতি একমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাই বা না যাই, এসব দাবি আদায়ের চেষ্টা করবো। আর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে দাবি পূরণ করে সবার কাছে পৌঁছে দেব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন—জামায়াতে ইসলামী যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. নাকীবুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. খালিদুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন—অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন ও ব্যবসায়ী তালহা বকস প্রমুখ।

রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রের পথে থাকার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আসুন আমরা একসঙ্গে একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করব। আগামী সংসদ গঠন করব, যে সংসদে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নামের অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকবে না।
৩১ মিনিট আগে
ঢাকা-৫ নির্বাচনি এলাকাকে একটি আধুনিক মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ভোটারদের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন ইসলামী আন্দোলন মনোনীত ঢাকা-৫ আসনে হাতপাখার প্রার্থী হাজী মো. ইবরাহীম।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অনেক আলেম-ওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব।
২ ঘণ্টা আগে
প্রশাসন, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে ব্যবহার করতে না পেরে হাসিনা এখন ইসকনকে ব্যবহার করতে চায়। হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে ভারতের সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন চলবে না। মোদির হিন্দুত্ববাদ আর হাসিনার মুজিববাদ নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে