পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে হাসিনা। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকা ভালো কিন্তু প্রতিহিংসা ভালো নয়। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। বিএনপি আদর্শের রাজনীতি করে। হিংসা করলে ধ্বংস ও পতন অনিবার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লোভ হিংসা ও অহংকারের ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন।
পরবর্তীতে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন। এ আপসহীন নেত্রীকে বারবার জেলে যেতে হয়েছিল। গত ১৬ বছর জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে দেওয়া হয়েছে। তাকে সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি। সুস্থ খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে জেলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হুইলচেয়ার বসে জেল থেকে বের হয়েছে। তার জীবনটাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে কোমরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে, তবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তারপরেও সুদূর প্রবাসে থেকে জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
চাটখিল খিলপাড়ে ও সোনাইমুড়ি জয়াগে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট এ,বি,এম জাকারিয়া, চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আবু হানিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাজাহান রানা, এহসানুল হক মাসুদ, সোনাইমুড়ি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, জয়াগ ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম, যুবদল নেতা ফারুকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

