'আ. লীগ শুধু মাত্র বিচারের মুখোমুখি হতে পারবে, নির্বাচনে না'

আওয়ামী লীগ শুধু মাত্র বিচারের মুখোমুখি হতে পারবে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজিত থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, বর্তমান সরকার মন্তর গতিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের যে জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা তার সাথে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম ম্যাচ করছে না। মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতিতে হতাশ হয়ে পড়ছে। আমরা আশ করেছিলাম সরকার আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে। কিন্তু আমরা দেখছি জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন ঠিকমতো ফাংশন করছে না। আমরা তাদেরকে বারবার প্রশ্ন করেছি তারা কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আগামীর যে নির্বাচনের কথা বলছি সেটা হবে গণপরিষদ নির্বাচন। যার মধ্য দিয়ে মানুষকে সুন্দর একটি সংবিধান উপহার দেয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে চাপ দিচ্ছে এবং ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। আমরা বলেছিলাম রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো বাঁধা দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম গত ৩টি নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছে, নির্বাচিত হয়েছে, টাকা পাচার করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে এবং ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে। তখনও বেশ কয়েকটি দল বাঁধা দিয়েছে। আমরা বলেছি আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ চাই। তার একটা দালিলিক প্রমাণ থাকা দরকার। আমরা আশা করি সরকার যেহেতু জুলাই ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নিয়েছে শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সরকার একটি ঘোষণাপত্র আমাদেরকে দিবে। আমরা যদি একটি গণপরিষদ নির্বাচনের দিকে যেতে পারি তাহলে আমাদের ঘোষণাপত্রটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে কাজ করবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে আমরা এখনও জানি না জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা কত। আমরা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলাম শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে। আমরা বলেছিলাম আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। আমরা একটি সেলও তৈরি করেছি।

তিনি আরও বলেন, আহতদের পুনর্বাসনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহতদের কাছ থেকে সিভি চেয়েছে যাতে করে তাদেরকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া যায়।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু মাত্র একটি জিনিসের মুখোমুখি হতে পারে আর তা হলো বিচার। এছাড়া ভোটে আওয়ামী লীগ জাতীয় নাগরিক কমিটি অংশ গ্রহণ করতে দিবে না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। আমরা যে গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছি তার আগে এসব সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে।