স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদের হাত থেকে যদি দেশকে রক্ষা করতে চান, তাহলে জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না। যদি নিঃস্বার্থভাবে গণতন্ত্র উপহার দিতে চান, দেশকে একটি জায়গায় আনতে চান, তাহলে আগে নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেন। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারবেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের হিউম্যান রাসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশন (হিউরাফ) আয়োজিত 'জুলাই বিপ্লব এবং আগামীর গণতন্ত্র ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমাদের অবস্থা হচ্ছে এমন, মুসল্লীর চেয়ে ইমাম বেশি। আমরা বোধ হয় সেই অবস্থায় আসছি এখন। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা একেকজনের একেক রকম। আমার মনে হয় জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা ৫ আগস্টের পর ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। একসঙ্গে থাকলাম, একসঙ্গে জেল খাটলাম, এখন যার যার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমরা আগের মতো এক সুরে কথা বলতে পারি না।
ইতোমধ্যে বিএনপিকে ভারতের দালাল বলা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তারা নতুন করে আবার বৈষম্যের সৃষ্টি করছেন। তাহলে আমরা কি স্বপ্ন দেখলাম, আর আমরা কোনো পথে এগুচ্ছি?
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন লেখা নেই। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ লেখা আছে ৯০ দিন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ হলো অনন্তকাল। যতদিন থাকবে, ততদিন এটা বৈধ। যদি তাই না হয়, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের আকাঙ্খা পূরণে তাদের কেনো সময় হয় না। যদি তত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দুই বছর লাগে কেনো?
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মৌলবাদীরা বেহেস্তের টিকেট বিক্রি করছে। অর্থাৎ, তাদের সঙ্গে থাকলে আপনি বেহেস্তে যাবেন, না থাকলে দোজখে যাবেন। আর নিজেরা বেহেস্তে যাবে কিনা- সে কথা তারা জানে না। আমি বলবো সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটছে। আমরা ফ্যাসিবাদের থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে এখন সাম্প্রদায়িক উগ্র-উন্মাদনার সৃষ্টি শুরু হয়েছে। যেটার মাধ্যমে মব তৈরি হয়। আমরা যদি গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে না রাখতে পারি, তাহলে সাম্প্রদায়িকতা হলো ফ্যাসিবাদের চেয়ে দ্বিগুন কঠিন ও জনবিরোধী। এই আধুনিক বিশ্বে মুক্তচিন্তা, প্রতিভার বিকাশ তারা করতে দেবে না।
তিনি বলেন, ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো সাংঘর্ষিক ব্যাপার নেই, অপব্যাখ্যা আছে। এই অপব্যাখ্যার কারণে মানুষ ন্যায়ের কথা বলতে পারে না। অনেকগুলো দল আছে যারা ট্র্যাভেল এজেন্সির মতো বেহেস্তের টিকেট বিক্রি করছে।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের গান গাইতে গাইতে অনেক কুসংস্কার করে দিচ্ছে। হায়ার করে বিদেশ থেকে বুদ্ধিমান লোক আনা হয়েছে। আর এত বুদ্ধিমান লোক এক জায়গায় হলো যা হয় তাই হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রায় ৬০টি দল একত্রিত হয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে। সেই ৩১ দফায় পিআর শব্দটি ছিল না। গণতন্ত্রের জন্য যদি এটা জরুরি হতো, তাহলে আজকে যারা পিআর এর কথা বলছেন, তারা তো ৩১ দফায় মতামত দিয়েছেন।
হিউরাফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফাত আলী সফু প্রমুখ।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদের হাত থেকে যদি দেশকে রক্ষা করতে চান, তাহলে জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না। যদি নিঃস্বার্থভাবে গণতন্ত্র উপহার দিতে চান, দেশকে একটি জায়গায় আনতে চান, তাহলে আগে নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করেন। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারবেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের হিউম্যান রাসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশন (হিউরাফ) আয়োজিত 'জুলাই বিপ্লব এবং আগামীর গণতন্ত্র ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমাদের অবস্থা হচ্ছে এমন, মুসল্লীর চেয়ে ইমাম বেশি। আমরা বোধ হয় সেই অবস্থায় আসছি এখন। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা একেকজনের একেক রকম। আমার মনে হয় জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা ৫ আগস্টের পর ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। একসঙ্গে থাকলাম, একসঙ্গে জেল খাটলাম, এখন যার যার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমরা আগের মতো এক সুরে কথা বলতে পারি না।
ইতোমধ্যে বিএনপিকে ভারতের দালাল বলা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তারা নতুন করে আবার বৈষম্যের সৃষ্টি করছেন। তাহলে আমরা কি স্বপ্ন দেখলাম, আর আমরা কোনো পথে এগুচ্ছি?
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন লেখা নেই। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ লেখা আছে ৯০ দিন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ হলো অনন্তকাল। যতদিন থাকবে, ততদিন এটা বৈধ। যদি তাই না হয়, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের আকাঙ্খা পূরণে তাদের কেনো সময় হয় না। যদি তত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দুই বছর লাগে কেনো?
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মৌলবাদীরা বেহেস্তের টিকেট বিক্রি করছে। অর্থাৎ, তাদের সঙ্গে থাকলে আপনি বেহেস্তে যাবেন, না থাকলে দোজখে যাবেন। আর নিজেরা বেহেস্তে যাবে কিনা- সে কথা তারা জানে না। আমি বলবো সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটছে। আমরা ফ্যাসিবাদের থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে এখন সাম্প্রদায়িক উগ্র-উন্মাদনার সৃষ্টি শুরু হয়েছে। যেটার মাধ্যমে মব তৈরি হয়। আমরা যদি গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে না রাখতে পারি, তাহলে সাম্প্রদায়িকতা হলো ফ্যাসিবাদের চেয়ে দ্বিগুন কঠিন ও জনবিরোধী। এই আধুনিক বিশ্বে মুক্তচিন্তা, প্রতিভার বিকাশ তারা করতে দেবে না।
তিনি বলেন, ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো সাংঘর্ষিক ব্যাপার নেই, অপব্যাখ্যা আছে। এই অপব্যাখ্যার কারণে মানুষ ন্যায়ের কথা বলতে পারে না। অনেকগুলো দল আছে যারা ট্র্যাভেল এজেন্সির মতো বেহেস্তের টিকেট বিক্রি করছে।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের গান গাইতে গাইতে অনেক কুসংস্কার করে দিচ্ছে। হায়ার করে বিদেশ থেকে বুদ্ধিমান লোক আনা হয়েছে। আর এত বুদ্ধিমান লোক এক জায়গায় হলো যা হয় তাই হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রায় ৬০টি দল একত্রিত হয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে। সেই ৩১ দফায় পিআর শব্দটি ছিল না। গণতন্ত্রের জন্য যদি এটা জরুরি হতো, তাহলে আজকে যারা পিআর এর কথা বলছেন, তারা তো ৩১ দফায় মতামত দিয়েছেন।
হিউরাফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফাত আলী সফু প্রমুখ।
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১৪ মিনিট আগেএর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা যমুনায় পৌঁছান। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
৩৯ মিনিট আগেপ্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে। এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে