‘মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার’ দাবি ঢাবি ছাত্রদল নেতা শাওনের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫০
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১১

চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বুঝতে পেরে বাদি নাইম শেখের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় গতকাল শনিবার আদালত থেকে জামিন পান শাওন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইদ্রিসের আত্মীয়ের টাকা উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছাত্রদল নেতা শাওনসহ অন্যান্যরা ফেঁসে যান দাবি করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার মামলার বাদীকে অপহরণ ও নির্যাতন করে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইদ্রিস ও হান্নান নাঈম শেখের কাছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে। টাকা উদ্ধারের জন্য ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি তার কয়েকজন পরিচিতদের নিয়ে নাঈম শেখের কাছে বিষয়টি সুরাহার জন্য যোগাযোগ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় দুই পক্ষের মধ্য। বাকবিতণ্ডায় নাঈম শেখ চাঁদাবাজি, ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মারধর করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করে।

এই বিষয়ে নাছির উদ্দিন শাওন আমার দেশকে বলেন, যে ব্যক্তির একাউন্ট থেকে নাইমের একাউন্টে এ টাকা দেয়; ইদ্রিস সে ব্যক্তি আমার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করেন এবং আমার আত্মীয়ও। বিপদে পড়ে তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমি প্রান্তপথ ট্রিপজায়ান’ ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে দেখি এই ঠিকানায় নায়িম শেখের কোনো অফিস নেই। পরবর্তীতে ওই ঠিকানায় অফিস না থাকায় আমাদের মধ্য একটি সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সন্দেহের জায়গা থেকে নাঈম শেখকে আমরা গুলশান এলাকায় খুঁজে পাই। সেখানে বিষয়টি সমাধানের জন্য চাপ দেয়। তিনি বিষয়টি সমাধান না করে গুলশান থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

শাওনের দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোধিতভাবে আমাকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

ছাত্রদল নেতা শাওন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে স্বীকার করে নাঈম শেখ আমার দেশকে বলেন, সাইফুল নামে আমার এক ব্যক্তি আমার একাউন্টে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পাঠায়। পরবর্তীতে সাইফুলের দেওয়া তিনটি একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইদ্রিস নামে একজন আমার কাছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার বলে দাবি করে। কিন্তু এই টাকার প্রমাণ দিতে পারেনি ইদ্রিস। একপর্যায়ে ইদ্রিস ও হান্নান ঢাবি ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওনসহ কয়েকজন ভুল বুঝিয়ে আমার কাছে টাকা পাবে বলে জানায়। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি একদম ভুল বুঝাবুঝি।

তিনি আরও জানান, ইদ্রিস ও হান্নানের ভুল তথ্য নাছির উদ্দিন শাওন আমার কাছে পাওনার টাকার বুঝিয়ে দেওয়ার চাপ দেয়। এখানে শাওন কোনো টাকা চাঁদা দাবি করেননি, সে যড়যন্ত্রের শিকার। কোর্টে আমার সাক্ষ্যর প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল জামিন হয়। আমি একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত