বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোটের পর একটি জাতীয় সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান তথা জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা অন্তত পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল দেশ চাই। যদি দলগুলো একসঙ্গে আসে, তাহলে আমরা সবাই মিলে সরকার চালাবো।
ঢাকার একটি আবাসিক এলাকায় নিজের কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের আমির (সভাপতি) শফিকুর রহমান এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি জাতীয় সরকারের জন্য একটি যৌথ লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হবেন সেই দলের নেতা, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। জামায়াত যদি সর্বোচ্চ আসন পায়, তবে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত দল নেবে।
শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর হাসিনার ভারতে অবস্থান করাকে তিনি উদ্বেগজনক মনে করেন। তার পতনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। ভারত দীর্ঘদিন হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়িয়েছিল।
নয়াদিল্লি যখন সম্ভাব্য নতুন সরকার গঠনকারী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে তখন শফিকুর রহমান জানান, তিনি চলতি বছর একজন ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেন, অন্য দেশের কূটনীতিকরা প্রকাশ্যে তার সঙ্গে দেখা করলেও ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বৈঠকটি গোপন রাখতে অনুরোধ করেছিলেন।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমাদের সবাইকে সবার প্রতি খোলা মনোভাব রাখতে হবে। সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে জামায়াতের অতীত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কোনো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে পড়তে চাই না। সবাইকে সম্মান করি এবং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

