
স্টাফ রিপোর্টার

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ও জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণার উপর নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠান-সহ ১৯ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে খেলাফত মজলিস।
দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল।
এর আগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন খন্দকার, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, আমির আলী হাওলাদার সহ মহানগরী শাখার অন্যান্য নেতারা।
১৯ দফা প্রস্তাবনা হলো-
১. জুলাই জাতীয় সনদ- ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশ ঘোষণার পরপরই এ আদেশের উপর নভেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
২. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ নং অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনী বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচনে পেশীশক্তি, কালো টাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এ জন্যে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদেয় অস্ত্র জমা নিতে হবে। কালো টাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র গোয়েন্দা নজরদারী ইউনিট গঠন করতে হবে।
৪. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৬. নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার দিন থেকে মাঠে সেনাবাহিনীকে সক্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনীর কঠোর নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণকারী ও অন্যের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. অনলাইনে অপপ্রচার রোধে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সেল সক্রিয় থাকতে হবে।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশীদের পোষ্টাল ব্যালটে ভোট দান পদ্ধতিতে এনআইডি অথবা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে হবে।
১০. দেশের ভিতরে চাকুরিজীবিদের (যেমন আর্মি, পুলিশ, বিডিআর- যারা ছুটি পান না) এবং নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের পোষ্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা। অতিবয়স্ক ও প্রতিবন্দীদের মধ্যে যিনি ইচ্ছে করবেন তিনি পোষ্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন- এ ব্যবস্থা করা।
১১. ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা যাতে অবাধে যেতে পারবেন- তা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. সকল ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১৪. ভোট কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ ও নিরাপদ অবস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. সুস্পষ্ট ছবি সহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টদেরকে যথা সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৬. আগামী নির্বাচনে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ও অনুসারীদের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১৭. দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১৮. মহিলা ভোটারদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ভোট কেন্দ্র থাকবে। নারী ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এজেন্টগণ হবেন নারী।
১৯. নির্বাচনের সময়ে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয়সহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত: মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।#

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ও জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণার উপর নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠান-সহ ১৯ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে খেলাফত মজলিস।
দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল।
এর আগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন খন্দকার, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, আমির আলী হাওলাদার সহ মহানগরী শাখার অন্যান্য নেতারা।
১৯ দফা প্রস্তাবনা হলো-
১. জুলাই জাতীয় সনদ- ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশ ঘোষণার পরপরই এ আদেশের উপর নভেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
২. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ নং অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনী বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচনে পেশীশক্তি, কালো টাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এ জন্যে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদেয় অস্ত্র জমা নিতে হবে। কালো টাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র গোয়েন্দা নজরদারী ইউনিট গঠন করতে হবে।
৪. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৬. নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার দিন থেকে মাঠে সেনাবাহিনীকে সক্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথবাহিনীর কঠোর নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণকারী ও অন্যের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. অনলাইনে অপপ্রচার রোধে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সেল সক্রিয় থাকতে হবে।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশীদের পোষ্টাল ব্যালটে ভোট দান পদ্ধতিতে এনআইডি অথবা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে হবে।
১০. দেশের ভিতরে চাকুরিজীবিদের (যেমন আর্মি, পুলিশ, বিডিআর- যারা ছুটি পান না) এবং নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের পোষ্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা। অতিবয়স্ক ও প্রতিবন্দীদের মধ্যে যিনি ইচ্ছে করবেন তিনি পোষ্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন- এ ব্যবস্থা করা।
১১. ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা যাতে অবাধে যেতে পারবেন- তা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. সকল ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১৪. ভোট কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ ও নিরাপদ অবস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. সুস্পষ্ট ছবি সহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টদেরকে যথা সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৬. আগামী নির্বাচনে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ও অনুসারীদের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১৭. দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১৮. মহিলা ভোটারদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ভোট কেন্দ্র থাকবে। নারী ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এজেন্টগণ হবেন নারী।
১৯. নির্বাচনের সময়ে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয়সহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত: মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।#

শরিফ ওসমান হাদীর নেতৃত্বে গড়ে উঠা ইনকিলাব মঞ্চ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান থেকে অনুপ্রাণিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। ওই আন্দোলনের ছাত্র-জনতার ভাবধারায় পরিচালিত এই মঞ্চ প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে।
৯ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে 'গণভোট অযৌক্তিক, অবিবেচনাপ্রসূত' মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেবে না বিএনপি।
২৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণ হলেই নারীর অধিকার নিশ্চিত হবে।
৩৯ মিনিট আগে
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে কেন জুলাই জাতীয় সনদের প্রস্তাব রাখা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে