গোপালগঞ্জের হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র: ফারুক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যখনই নির্বাচনের দিন তারিখের কথা বলেছেন তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবারই একটা ধারণা গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছনোর নতুন করে ষড়যন্ত্র কিনা! কারণ দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা(জাসাস)’র উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন ।

ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জ যে আক্রমণ এবং ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড হয়েছে সে আক্রমণ কি বুঝাতে চেয়েছে আমরা জানিনা। এটা কিসের আলামত? যখনই লন্ডনে আমার নেতা তারেক রহমানের সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে তখনই একটি পক্ষ দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা কিন্তু ভেসে আসি নাই।

এসময় জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা বুঝে শুনে কথা বলেন। অতীতে আপনারা বুঝে শুনে কথা বলেন নাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলা করে তখন কারা আনন্দ মিছিল করেছে, কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তা সবাই জানে। আপনাদের ইতিহাস জাতি জানে, আপনাদের ইতিহাস জাতির কাছে প্রকাশ করতে চাই না। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, গতকালকে গোপালগঞ্জ কোন শয়তান এনসিপির নেতাদের উপর হামলা করল? আওয়ামী লীগের আমলে এক লাখ পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। তারা এখন স্বপদে বহাল আছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কেন সচিবালায় বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন জেলায় আছে? ১১ মাস চলে গেল একটা নির্বাচন দিতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, যে বাংলাদেশে আর আয়না ঘর তৈরি হবে না, থানায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদেরকে নির্যাতন করবে না, সাংবাদিকরা স্বাধীন মত তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে, এই বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।

বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বন্ধ না হলে আমরা জনগণকে নিয়ে রুখে দাঁড়াবো। এই সরকারকে বলব আপনারা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দিন যাতে জনগণ তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

জাসাস আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীত শিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহবায়ক আহসানুল্লাহ জনি সহ প্রমুখ।