রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেছেন, জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর স্ট্রেইট কাট প্রোগ্রামে বিবিসি বাংলার সাবেক প্রধান সাব্বির মোস্তফা শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে সংঘটিত গণহত্যা অস্বীকার করে যে মিথ্যাচার করেছেন, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে, সেই সময়ে শাপলা চত্বরের ভয়াবহ গণহত্যা নিয়ে কোনো গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেনি। বরং কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী সরকারের দালালিতে লিপ্ত ছিল। ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ গণহত্যা সম্পর্কে হাতেগোনা কিছু টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা যখন সত্য প্রকাশে এগিয়ে এসেছিল, তখন সরকার তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অনেক চ্যানেল ও পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব আরো বলেন, “আমি তখন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি ছিলাম। বেশ কিছু মিডিয়ার ধারণ করা ছবি ও ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, কিন্তু আজও কোনো মিডিয়া সেগুলো প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। আজ, যখন সর্বজনস্বীকৃত এই গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তখন সাব্বির মোস্তফার মতো আওয়ামী দোসররা শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের রক্ষার গোপন এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে।”
তিনি আরো বলেন, “কিছুদিন আগে বর্তমান সরকার শাপলা চত্বরে শহীদদের পরিবারকে অনুদান প্রদান করেছে। ৫ই আগস্টের পর আমরাও হেফাজতের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই গণহত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছি এবং বর্তমানে সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাব্বির মোস্তফার এই মিথ্যাচার বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা এবং পতিত স্বৈরাচারের বিচার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি, তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতায় তার সম্পৃক্ততা প্রকাশ পাবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “সাব্বির মোস্তফাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে, হেফাজতে ইসলাম তার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

