আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

রুমী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাননি: সামান্তা

আমার দেশ অনলাইন

রুমী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাননি: সামান্তা

এনসিপির নেত্রী জান্নাতারা রুমী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তার দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহযোদ্ধা রুমীর মরদেহ দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সামান্তা বলেন, তথ্য প্রমাণসহ অভিযুক্তদের ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও তারা একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বলেন, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদের ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছে, রুমির ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ জুলাইয়ের সম্মুখসারীর যোদ্ধা... সকলকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা দেখতে পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জিগাতলায় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি নারী হোস্টেল থেকে এনসিপির নেত্রী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড সে প্রশ্নটি উঠেছে সবার আগে।

তবে প্রশ্ন জোরালোভাবে ওঠার আরও কারণ হলো- কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও পেইজ থেকে জান্নাতারা রুমীকে নিয়ে সাইবার বুলিং করা হচ্ছিল। দেওয়া হচ্ছিল হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি। এমনকি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্যও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় পতিত আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টরা।

এ নিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন রুমী। চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে গত ১৩ নভেম্বর রাতে এ জিডি করেন তিনি। ওই জিডিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনার কারণে রুমীকে টার্গেট করা হচ্ছে।

রুমী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাননি: সামান্তা

এনসিপির নেত্রী জান্নাতারা রুমী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তার দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহযোদ্ধা রুমীর মরদেহ দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

সামান্তা বলেন, তথ্য প্রমাণসহ অভিযুক্তদের ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও তারা একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বলেন, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদের ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছে, রুমির ঝুলন্ত মরদেহ আমাদের এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ জুলাইয়ের সম্মুখসারীর যোদ্ধা... সকলকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা দেখতে পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জিগাতলায় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি নারী হোস্টেল থেকে এনসিপির নেত্রী জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড সে প্রশ্নটি উঠেছে সবার আগে। তবে প্রশ্ন জোরালোভাবে ওঠার আরও কারণ হলো- কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও পেইজ থেকে জান্নাতারা রুমীকে নিয়ে সাইবার বুলিং করা হচ্ছিল। দেওয়া হচ্ছিল হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি। এমনকি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্যও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় পতিত আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টরা।

এ নিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন রুমী। চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে গত ১৩ নভেম্বর রাতে এ জিডি করেন তিনি। ওই জিডিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনার কারণে রুমীকে টার্গেট করা হচ্ছে।

এনসিপির এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জিডি করার পরও তাকে হুমকি দেওয়া বন্ধ হয়নি এবং পুলিশ থেকে কোনো কার্যকর সহায়তা পাওয়া যায়নি। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একপর্যায়ে তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নিচ্ছিলেন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। তিনি হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড্ ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে আসলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমী। সব মিলিয়ে তিনি এক ধরনের হতাশা ও বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে জানান রুমীর স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ

এলাকার খবর

খুঁজুন