স্টাফ রিপোর্টার
সদ্য কারামুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর সকালে মুক্ত হলাম। আমি এখনো মুক্ত, আমি এখনো স্বাধীন। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কারামুক্তির পর শাহবাগ মোড়ে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত শোকরানা সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কারামুক্তির জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় ও উপস্থিত জনতাকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান এটিএম আজহার। এসময় তিনি আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এতদিন আদালতে ন্যায় বিচার ছিল না। আগামীতেও যাতে জনগণ ন্যায় বিচার পায় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নিজের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের তথ্যভিত্তিক ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাকে মুক্ত করতে পেরেছেন। এছাড়া যাদের কারণে এই মুক্তি সম্ভব হয়েছে, সেই ৩৬ শে জুলাই মহা বিপ্লবের নায়কদের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কারণে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া যারা তার জন্য দোয়া করেছেন, মানত করেছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এটিএম আজহার।
তিনি জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা সাঈদীসহ শীর্ষ নেতাদের স্মরণ করেন। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরকেও স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব নেতাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই যে পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। নাহলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। এখান থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এটিএম আজহার বলেন, আমার অপরাধ কি ছিল? আমার অপরাধ ছিল-আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যে অপরাধের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি, সেই ইসলামী আন্দোলনেই যেন আজীবন থাকতে পারি এবং শহীদ হতে পারি, সেই দোয়া কামনা করেন তিনি।
কারামুক্ত এই নেতা বলেন, আমরা কেউ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারব না। জেলখানায় আব্দুল কাদের মোল্লা বলতেন, আমরা যেভাবে গোনাহগার, এই সওয়াব নিয়ে জান্নাতে যেতে পারব না। জান্নাতে যাওয়ার একটাই পথ-শাহাদাত। তাই যে দল, যে জাতি শাহাদাতের তামান্না নিয়ে এগিয়ে যায়, তাকে কেউ দমাতে পারে না।
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, এদেশ আমার, এদেশ আমাদের সবার। এদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী ইসলামী সমাজ গড়ার আকাঙ্ক্ষা এগিয়ে যেতে পারি, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার আর পাওয়ার কিছু নাই। এখানে আল্লাহর দ্বীনকে যদি প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারি, এর চেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নাই। সেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সহ জামায়াত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য কারামুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর সকালে মুক্ত হলাম। আমি এখনো মুক্ত, আমি এখনো স্বাধীন। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কারামুক্তির পর শাহবাগ মোড়ে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত শোকরানা সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কারামুক্তির জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় ও উপস্থিত জনতাকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান এটিএম আজহার। এসময় তিনি আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এতদিন আদালতে ন্যায় বিচার ছিল না। আগামীতেও যাতে জনগণ ন্যায় বিচার পায় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নিজের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের তথ্যভিত্তিক ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাকে মুক্ত করতে পেরেছেন। এছাড়া যাদের কারণে এই মুক্তি সম্ভব হয়েছে, সেই ৩৬ শে জুলাই মহা বিপ্লবের নায়কদের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কারণে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া যারা তার জন্য দোয়া করেছেন, মানত করেছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এটিএম আজহার।
তিনি জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা সাঈদীসহ শীর্ষ নেতাদের স্মরণ করেন। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরকেও স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব নেতাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই যে পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। নাহলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। এখান থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এটিএম আজহার বলেন, আমার অপরাধ কি ছিল? আমার অপরাধ ছিল-আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যে অপরাধের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি, সেই ইসলামী আন্দোলনেই যেন আজীবন থাকতে পারি এবং শহীদ হতে পারি, সেই দোয়া কামনা করেন তিনি।
কারামুক্ত এই নেতা বলেন, আমরা কেউ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারব না। জেলখানায় আব্দুল কাদের মোল্লা বলতেন, আমরা যেভাবে গোনাহগার, এই সওয়াব নিয়ে জান্নাতে যেতে পারব না। জান্নাতে যাওয়ার একটাই পথ-শাহাদাত। তাই যে দল, যে জাতি শাহাদাতের তামান্না নিয়ে এগিয়ে যায়, তাকে কেউ দমাতে পারে না।
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, এদেশ আমার, এদেশ আমাদের সবার। এদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী ইসলামী সমাজ গড়ার আকাঙ্ক্ষা এগিয়ে যেতে পারি, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার আর পাওয়ার কিছু নাই। এখানে আল্লাহর দ্বীনকে যদি প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারি, এর চেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নাই। সেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সহ জামায়াত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
৩ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
৩ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৩ ঘণ্টা আগে