ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী
রমজানের শেষ দশক ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ দশকেই রয়েছে লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সুতরাং অন্য সময়ের চেয়ে এ সময়ে ইবাদতের তাৎপর্য অনেক। রাসুলুল্লাহও (সা.) এ ১০ দিন বেশি বেশি আমল করতেন। তার এ দশকের ইবাদত দেখে সাহাবিরা অন্য সময়ের তুলনায় এ সময়ের ইবাদতের গুরুত্ব যে অনেক বেশি তা অনুধাবন করতেন।
তার শেষ দশকের আমল সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বলেন, যখন (রমজানের শেষ) ১০ দিন এসে যেত, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) পরনের কাপড় মজবুত করে বাঁধতেন (দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি নিতেন), রাত্রি জাগরণ করতেন ও তার পরিবার-পরিজনকেও জাগাতেন। (বুখারি : ২০২৪, মুসলিম: ১১৭৪)
এ হাদিসে রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইবাদতের জন্য গৃহীত কর্মপন্থা ও সার্বিক প্রস্ততি উল্লেখ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে তিনি নিচের তিনটি কাজ করতেনÑ
১. দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ : তিনি এ সময়কালে ইবাদত করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতেন। ওপরের হাদিসে আয়েশা (রা.) উল্লেখ করেছেন যে, শেষ দশক আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরনের কাপড় মজবুত করে বাঁধতেন। এটি একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি অন্য সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে শুধু এ কাজের জন্য নিজেকে নিবেদিত করতেন।
২. রাত জেগে বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে কঠোর সাধনা : এ সময় তিনি সারারাত জেগে ইবাদত করতেন। বছরের অন্য কোনো সময় রাতব্যাপী আমল না করলেও তিনি এ সময় সালাত আদায়, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদির মধ্যে নিজেকে মগ্ন রাখতেন। এ সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদিসগুলো লক্ষণীয়Ñ
৩. পরিবারকেও ইবাদতের তাগিদ প্রদান : এ সময়ের আমলের অন্যতম দাবি হলো, নিজের পরিবারকে ইবাদতের জন্য জাগিয়ে দেওয়া। যাতে তারাও এ মহিমান্বিত সময়ের ইবাদতে শরিক হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অভ্যাস ছিল, তিনি সব সময় তার পরিবারকে আমলের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং শেষরাতে উঠিয়ে দিতেন। যেমন উম্মু সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) একরাতে ঘুম থেকে জেগে বললেন, সুবহানআল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিতনা নাজিল করা হলো! আজ রাতে কতই না (রহমতের) ভাণ্ডার নাজিল করা হলো! কে জাগিয়ে দিবে বাড়িগুলোর লোকজনকে? ওহে শোনো! দুনিয়ার অনেক পোশাক পরিহিতা আখিরাতে উলঙ্গ হয়ে যাবে। (বুখারি, ১১২৬)
রমজানের শেষ দশক এলে তিনি তার পরিবারকে জাগানোর জন্য বেশি তৎপর হতেন। ইমাম তিরমিজি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন তার পরিবারের লোকদের জাগাতেন। (তিরমিজি, ৭৯৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে বিভিন্ন আমল করতেন। যার মধ্যে ইতিকাফ, লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা, জাকাতুল ফিতর আদায় ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমাদেরও বেশি বেশি এ আমলগুলো করা একান্ত কাম্য।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
রমজানের শেষ দশক ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ দশকেই রয়েছে লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সুতরাং অন্য সময়ের চেয়ে এ সময়ে ইবাদতের তাৎপর্য অনেক। রাসুলুল্লাহও (সা.) এ ১০ দিন বেশি বেশি আমল করতেন। তার এ দশকের ইবাদত দেখে সাহাবিরা অন্য সময়ের তুলনায় এ সময়ের ইবাদতের গুরুত্ব যে অনেক বেশি তা অনুধাবন করতেন।
তার শেষ দশকের আমল সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বলেন, যখন (রমজানের শেষ) ১০ দিন এসে যেত, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) পরনের কাপড় মজবুত করে বাঁধতেন (দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি নিতেন), রাত্রি জাগরণ করতেন ও তার পরিবার-পরিজনকেও জাগাতেন। (বুখারি : ২০২৪, মুসলিম: ১১৭৪)
এ হাদিসে রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইবাদতের জন্য গৃহীত কর্মপন্থা ও সার্বিক প্রস্ততি উল্লেখ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে তিনি নিচের তিনটি কাজ করতেনÑ
১. দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ : তিনি এ সময়কালে ইবাদত করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতেন। ওপরের হাদিসে আয়েশা (রা.) উল্লেখ করেছেন যে, শেষ দশক আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরনের কাপড় মজবুত করে বাঁধতেন। এটি একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি অন্য সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে শুধু এ কাজের জন্য নিজেকে নিবেদিত করতেন।
২. রাত জেগে বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে কঠোর সাধনা : এ সময় তিনি সারারাত জেগে ইবাদত করতেন। বছরের অন্য কোনো সময় রাতব্যাপী আমল না করলেও তিনি এ সময় সালাত আদায়, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদির মধ্যে নিজেকে মগ্ন রাখতেন। এ সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদিসগুলো লক্ষণীয়Ñ
৩. পরিবারকেও ইবাদতের তাগিদ প্রদান : এ সময়ের আমলের অন্যতম দাবি হলো, নিজের পরিবারকে ইবাদতের জন্য জাগিয়ে দেওয়া। যাতে তারাও এ মহিমান্বিত সময়ের ইবাদতে শরিক হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অভ্যাস ছিল, তিনি সব সময় তার পরিবারকে আমলের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং শেষরাতে উঠিয়ে দিতেন। যেমন উম্মু সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) একরাতে ঘুম থেকে জেগে বললেন, সুবহানআল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিতনা নাজিল করা হলো! আজ রাতে কতই না (রহমতের) ভাণ্ডার নাজিল করা হলো! কে জাগিয়ে দিবে বাড়িগুলোর লোকজনকে? ওহে শোনো! দুনিয়ার অনেক পোশাক পরিহিতা আখিরাতে উলঙ্গ হয়ে যাবে। (বুখারি, ১১২৬)
রমজানের শেষ দশক এলে তিনি তার পরিবারকে জাগানোর জন্য বেশি তৎপর হতেন। ইমাম তিরমিজি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন তার পরিবারের লোকদের জাগাতেন। (তিরমিজি, ৭৯৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে বিভিন্ন আমল করতেন। যার মধ্যে ইতিকাফ, লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা, জাকাতুল ফিতর আদায় ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমাদেরও বেশি বেশি এ আমলগুলো করা একান্ত কাম্য।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে