আবু হাসসান
একজন আল্লাহবিশ্বাসী মুমিনের কাছে ঈমানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় থাকতে পারে না। ঈমান তার কাছে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয়। মুমিন এমনই হয়। যে ঈমান তার কাছে এতটা প্রিয়, এতটা মর্যাদার, সেই ঈমান যখন তার মতোই আরেকজন মানুষ ধারণ করে, তখন তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি অনিবার্য। এটা ঈমানের ভ্রাতৃত্ব। দেশ-কাল-ভাষা-বর্ণের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এই ভ্রাতৃত্ব ছড়িয়ে পড়ে দূর-বহুদূর। কোনো পূর্বপরিচয় নেই, একজন আরেকজনের ভাষাও বোঝে না। এমন দুজন মুমিনও যখন ঈমানের দাবিতে একত্র হন, তখন মুহূর্তেই যেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে হৃদ্যতা। ভাষার সীমাবদ্ধতা, দেশের ভিন্নতা এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। পবিত্র কোরআনের ঘোষণা- ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ (সুরা হুজুরাত : ১০)
স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে ভ্রাতৃত্বের ঘোষণা করে দিয়েছেন, সেই ভ্রাতৃত্বকে ছোট করে দেখার অবকাশ কোথায়! পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব তো আরও কত কারণেই সৃষ্টি হতে পারে। একই দেশের নাগরিক, একই এলাকার বাসিন্দা, একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, একই কর্মক্ষেত্রে কর্মরত ইত্যাদি কত কারণেই তা গড়ে ওঠে! তবে যত কিছুই হোক, কোরআনের ঘোষণার সঙ্গে আর কোনো কিছুর তুলনা চলে! কোরআন ও হাদিসের নানা জায়গায় নানা আঙ্গিকে বর্ণিত হয়েছে এই বন্ধনের গুরুত্বের কথা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘তোমরা যতক্ষণ ঈমান না আনবে, ততক্ষণ বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি না হবে, ততক্ষণ তোমরা মুমিনও হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের একটি কাজের কথা বলে দেব, যা করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমাদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৫৪)
কথা তো খুবই সহজ, নিজে ঈমানদার হতে হলে অন্য মুমিনদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করতে হবে। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা গড়ে তোলার একটি পন্থাও নির্দেশ করেছেন- সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পর মদিনা মুনাওয়ারার আনসাররা হিজরতকারী মুসলমানদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের যে নমুনা প্রদর্শন করেছেন, তা সত্যিই বিরল। ঘরবাড়ি ফেলে, আত্মীয়স্বজন ছেড়ে শুধুই নিজেদের ঈমান রক্ষার তাগিদে দূর মদিনায় যারা হিজরত করেছিলেন, তাদের একেকজনকে মদিনার একেকজন মুসলমানের ভাই বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয় নবীজির হাতে গড়ে ওঠা ভ্রাতৃত্বের এই বন্ধনকে তারা এতটাই মাথা পেতে নিয়েছেন, তারা তাদের এ ভাইদের নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন, নিজেদের সম্পদে অংশীদার বানিয়ে নিয়েছেন। ইসলাম মুসলিমদের পারস্পরিক সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকে অনেক গুরুত্ব দেয়। কমন শত্রুর বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিভিন্ন দল গ্রুপকে, ব্যক্তিকে ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি নিয়ে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেয়।
মুমিনদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তুলনা করেছেন একটি দেহের সঙ্গে। এক অঙ্গের অসুস্থতায় পুরো দেহই যেমন কাতর হয়ে পড়ে, ঠিক পৃথিবীর এক অঞ্চলের একজন মুসলমানের ব্যথাও অনুভব করতে হবে অন্যসব অঞ্চলের মুসলমানদের। তখনই এই ভ্রাতৃত্বের মর্যাদা রক্ষা হবে। হাদিস শরিফের ভাষ্য- ‘তুমি মুমিনদের দেখবে, তারা পারস্পরিক দয়া-ভালোবাসা আর মায়া-স্নেহের বিষয়ে একটি দেহের মতো। দেহের এক অঙ্গ যখন আক্রান্ত হয়, তখন পুরো শরীরই অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস ৬০১১)
এই হলো ভ্রাতৃত্বের নমুনা। আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ ‘মুমিনরা যেন একটি প্রাচীর, যার একটি ইট আরেকটিকে শক্তি জোগায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস ২৪৪৬)
একটি দেয়ালের সবগুলো ইট মিলেই তা গড়ে ওঠে। প্রতিটি ইটই ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু দেয়ালের অস্তিত্বের জন্য ইটগুলোর সম্মিলন অপরিহার্য। একটি ইটের ওপর স্থাপিত হয় আরেকটি ইট, সেটার ওপর আরও একটি। ইট গাঁথা হয় পাশাপাশিও। এভাবেই গড়ে ওঠে একেকটি দেয়াল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একেকটি ইট দিয়ে তৈরি হয় বড় বড় প্রাসাদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইটের সঙ্গেই মুমিনদের তুলনা করেছেন। ইট যেমন একে অন্যকে সহযোগিতা করে, মুমিনরাও একে অন্যের পাশে দাঁড়ায় সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায়। এই সহযোগিতার ওপর ভর করেই গড়ে ওঠে ঈমানি ভ্রাতৃত্ব, মুমিনদের সমাজ সংহতি ও ঐক্য।
ঈমানি এই ভ্রাতৃত্ব কীভাবে রক্ষা করতে হবে, মুমিনের পাশে মুমিনকে কীভাবে দাঁড়াতে হবে- এর কিছু নমুনাও বলে দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। লক্ষ করুন ‘ঈমানদারদের সঙ্গে একজন মুমিনের সম্পর্ক ঠিক তেমন, যেমন সম্পর্ক দেহের সঙ্গে মাথার। ঈমানদারদের দুঃখ-কষ্ট ঠিক সেভাবেই সে অনুভব করে, যেমন মাথা দেহের ব্যথা অনুভব করে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২২৮৭৭)
ঈমানের এই বন্ধনকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো দেশ-গোত্র-ভাষা কিংবা সময়ের ফ্রেমে আটকে দেননি। তার নির্দেশনা এসব সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে ছড়িয়ে আছে বহুদূর পর্যন্ত। তাই তো দূর কোনো দেশের কোনো মুসলমান ভাইয়ের কষ্টকর কোনো সংবাদে অন্য মুসলমানরা ব্যথিত হন। যথাসম্ভব সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এই ব্যথা, এই কষ্ট আর এই সহযোগিতা ঈমানের দাবি।
তবু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধন যেন ছিন্ন হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে শত্রুর হাতে তুলে দিতে পারে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন। যে একজন মুসলমানের কোনো সংকট সমাধান করে দেয়, এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার একটি সংকটের সমাধান করে দেবেন। যে একজন মুসলমানের দোষ লুকিয়ে রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ লুকিয়ে রাখবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৫৮০)
একজন আল্লাহবিশ্বাসী মুমিনের কাছে ঈমানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় থাকতে পারে না। ঈমান তার কাছে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয়। মুমিন এমনই হয়। যে ঈমান তার কাছে এতটা প্রিয়, এতটা মর্যাদার, সেই ঈমান যখন তার মতোই আরেকজন মানুষ ধারণ করে, তখন তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি অনিবার্য। এটা ঈমানের ভ্রাতৃত্ব। দেশ-কাল-ভাষা-বর্ণের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এই ভ্রাতৃত্ব ছড়িয়ে পড়ে দূর-বহুদূর। কোনো পূর্বপরিচয় নেই, একজন আরেকজনের ভাষাও বোঝে না। এমন দুজন মুমিনও যখন ঈমানের দাবিতে একত্র হন, তখন মুহূর্তেই যেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে হৃদ্যতা। ভাষার সীমাবদ্ধতা, দেশের ভিন্নতা এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। পবিত্র কোরআনের ঘোষণা- ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ (সুরা হুজুরাত : ১০)
স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যে ভ্রাতৃত্বের ঘোষণা করে দিয়েছেন, সেই ভ্রাতৃত্বকে ছোট করে দেখার অবকাশ কোথায়! পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব তো আরও কত কারণেই সৃষ্টি হতে পারে। একই দেশের নাগরিক, একই এলাকার বাসিন্দা, একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, একই কর্মক্ষেত্রে কর্মরত ইত্যাদি কত কারণেই তা গড়ে ওঠে! তবে যত কিছুই হোক, কোরআনের ঘোষণার সঙ্গে আর কোনো কিছুর তুলনা চলে! কোরআন ও হাদিসের নানা জায়গায় নানা আঙ্গিকে বর্ণিত হয়েছে এই বন্ধনের গুরুত্বের কথা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘তোমরা যতক্ষণ ঈমান না আনবে, ততক্ষণ বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি না হবে, ততক্ষণ তোমরা মুমিনও হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের একটি কাজের কথা বলে দেব, যা করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমাদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৫৪)
কথা তো খুবই সহজ, নিজে ঈমানদার হতে হলে অন্য মুমিনদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করতে হবে। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা গড়ে তোলার একটি পন্থাও নির্দেশ করেছেন- সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পর মদিনা মুনাওয়ারার আনসাররা হিজরতকারী মুসলমানদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের যে নমুনা প্রদর্শন করেছেন, তা সত্যিই বিরল। ঘরবাড়ি ফেলে, আত্মীয়স্বজন ছেড়ে শুধুই নিজেদের ঈমান রক্ষার তাগিদে দূর মদিনায় যারা হিজরত করেছিলেন, তাদের একেকজনকে মদিনার একেকজন মুসলমানের ভাই বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয় নবীজির হাতে গড়ে ওঠা ভ্রাতৃত্বের এই বন্ধনকে তারা এতটাই মাথা পেতে নিয়েছেন, তারা তাদের এ ভাইদের নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন, নিজেদের সম্পদে অংশীদার বানিয়ে নিয়েছেন। ইসলাম মুসলিমদের পারস্পরিক সংহতি ও ভ্রাতৃত্বকে অনেক গুরুত্ব দেয়। কমন শত্রুর বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিভিন্ন দল গ্রুপকে, ব্যক্তিকে ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি নিয়ে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেয়।
মুমিনদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তুলনা করেছেন একটি দেহের সঙ্গে। এক অঙ্গের অসুস্থতায় পুরো দেহই যেমন কাতর হয়ে পড়ে, ঠিক পৃথিবীর এক অঞ্চলের একজন মুসলমানের ব্যথাও অনুভব করতে হবে অন্যসব অঞ্চলের মুসলমানদের। তখনই এই ভ্রাতৃত্বের মর্যাদা রক্ষা হবে। হাদিস শরিফের ভাষ্য- ‘তুমি মুমিনদের দেখবে, তারা পারস্পরিক দয়া-ভালোবাসা আর মায়া-স্নেহের বিষয়ে একটি দেহের মতো। দেহের এক অঙ্গ যখন আক্রান্ত হয়, তখন পুরো শরীরই অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস ৬০১১)
এই হলো ভ্রাতৃত্বের নমুনা। আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ ‘মুমিনরা যেন একটি প্রাচীর, যার একটি ইট আরেকটিকে শক্তি জোগায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস ২৪৪৬)
একটি দেয়ালের সবগুলো ইট মিলেই তা গড়ে ওঠে। প্রতিটি ইটই ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু দেয়ালের অস্তিত্বের জন্য ইটগুলোর সম্মিলন অপরিহার্য। একটি ইটের ওপর স্থাপিত হয় আরেকটি ইট, সেটার ওপর আরও একটি। ইট গাঁথা হয় পাশাপাশিও। এভাবেই গড়ে ওঠে একেকটি দেয়াল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একেকটি ইট দিয়ে তৈরি হয় বড় বড় প্রাসাদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইটের সঙ্গেই মুমিনদের তুলনা করেছেন। ইট যেমন একে অন্যকে সহযোগিতা করে, মুমিনরাও একে অন্যের পাশে দাঁড়ায় সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায়। এই সহযোগিতার ওপর ভর করেই গড়ে ওঠে ঈমানি ভ্রাতৃত্ব, মুমিনদের সমাজ সংহতি ও ঐক্য।
ঈমানি এই ভ্রাতৃত্ব কীভাবে রক্ষা করতে হবে, মুমিনের পাশে মুমিনকে কীভাবে দাঁড়াতে হবে- এর কিছু নমুনাও বলে দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। লক্ষ করুন ‘ঈমানদারদের সঙ্গে একজন মুমিনের সম্পর্ক ঠিক তেমন, যেমন সম্পর্ক দেহের সঙ্গে মাথার। ঈমানদারদের দুঃখ-কষ্ট ঠিক সেভাবেই সে অনুভব করে, যেমন মাথা দেহের ব্যথা অনুভব করে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২২৮৭৭)
ঈমানের এই বন্ধনকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো দেশ-গোত্র-ভাষা কিংবা সময়ের ফ্রেমে আটকে দেননি। তার নির্দেশনা এসব সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে ছড়িয়ে আছে বহুদূর পর্যন্ত। তাই তো দূর কোনো দেশের কোনো মুসলমান ভাইয়ের কষ্টকর কোনো সংবাদে অন্য মুসলমানরা ব্যথিত হন। যথাসম্ভব সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এই ব্যথা, এই কষ্ট আর এই সহযোগিতা ঈমানের দাবি।
তবু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধন যেন ছিন্ন হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না, তাকে শত্রুর হাতে তুলে দিতে পারে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন। যে একজন মুসলমানের কোনো সংকট সমাধান করে দেয়, এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার একটি সংকটের সমাধান করে দেবেন। যে একজন মুসলমানের দোষ লুকিয়ে রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ লুকিয়ে রাখবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৫৮০)
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে