মিম্বরের পয়গাম
আবদুল্লাহ মারুফ
মসজিদের মিম্বর জাতির দিকনির্দেশনার অন্যতম কেন্দ্র। আলেমরা এটি আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত । এখানে বসে সঠিক ইসলামের বাণীগুলো প্রচার করেন খতিব সাহেবান। কোনো মসজিদের ইমাম ও খতিব যদি সচেতন হন, একটু উদ্যোগী ও কর্মঠ হন, তাহলে সেই মসজিদের মহল্লার চিত্র পুরোটাই বদলে যায়। সেখানে ইলমের চর্চা বাড়ে, আমলের চর্চা বাড়ে। বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুরা পর্যন্ত অবতীর্ণ হয় প্রতিযোগিতায়—কার আগে কে এগিয়ে যাবে ভালো কাজে। এভাবে মসজিদটিই হয়ে উঠে একটি ‘প্রাণবন্ত পাঠশালা’।
নিয়মিত মুসল্লি ছাড়াও যারা কেবল জুমা পড়তে আসেন, তারাও শেখেন অনেক কিছু। খতিব যখন কোরআন ও হাদিসের টেক্সট বা নুসুস দিয়ে বয়ান করেন, তখন মুসল্লিদের মাঝে এর প্রভাব পড়ে। তারা ইসলামি জ্ঞানের বেসিকটা শিখতে পারেন খুব অথেনটিকভাবে। সেজন্য খতিব সাহেবের বয়ান নুসুসনির্ভর হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
এসব মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে খতিবদের সুবিধার্থে নুসুস বা দলিলনির্ভর অনবদ্য রচনা ‘মিম্বরের পয়গাম’ নামের বই। এটি রচনা করা হয়েছে একজন খতিবের জুমার বয়ান থেকে। মুফতি হাসানুজ্জামান একজন দায়িত্বশীল খতিব। তিনি অনেক পরিশ্রম করে কোরআন ও হাদিসের তথ্য দিয়ে প্রতিটি বয়ান সাজিয়েছেন। আরবি মাস অনুযায়ী বয়ানগুলো সাজানো হয়েছে। একজন খতিব চাইলেই খুব সহজে নির্দিষ্ট মাসের বয়ানটি কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্সের আলোকে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
এই বইটি প্রকাশের পর বিজ্ঞজনেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার সুযোগ্য মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘কোরআন-হাদিস ও হকের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো মসজিদের মিম্বর। এখান থেকে একজন খতিব বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার মাধ্যমে মুসল্লিদের হৃদয়ে ঈমান ও ইসলামের বীজ বপন করতে পারেন, মানুষকে দিতে পারেন সঠিক পথের দিশা। আর এ ক্ষেত্রে কোরআন ও হাদিসের আলোকে সাজানো সহজ-সরল আলোচনা বেশ ভূমিকা রাখে। তথ্য ও বিষয়বস্তুর বিন্যাস এবং শক্তিশালী রেফারেন্স ছাড়া শুধু আবেগি কথাবার্তা দিয়ে আলোচনা করা হলে অনেক সময় মানুষের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়।
এজন্য মিম্বরগুলোয় শরিয়তের মূল উৎস থেকে আহরিত তথ্য ও তত্ত্বভিত্তিক আলোচনা হওয়াটা খুবই জরুরি বিষয়। তবে সবার পক্ষে যেহেতু কোরআন ও হাদিস ঘেঁটে সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোর সুন্দর বিন্যাস করা সম্ভব হয় না এবং সেই সুযোগও নেই অনেকের, তাই এজন্য কিছু মানুষের এগিয়ে আসা দরকার। আমি মনে করি, খতিব, ওয়ায়েজ ও ইসলামি আলোচকদের জন্য ভালো একটি কাজ হয়েছে। এ বই থেকে সর্বস্তরের পাঠকরাও নানাভাবে উপকৃত হতে পারবেন।’
খতিব ও ধর্মীয় আলোচকদের জন্য উপকারী চমৎকার এই বইটি প্রকাশ করেছে ‘সীরাতকেন্দ্র’-এর প্রকাশনা বিভাগ। বিশিষ্ট লেখক মুফতি আমীর ইবনে আহমদের দক্ষ সম্পাদনায় প্রায় ৭৫০ পৃষ্ঠার বইটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাঞ্জল, আরো সাবলীল। আপনার বয়ানকে তথ্যসমৃদ্ধ ও দলিলনির্ভর করতে বইটি আজই সংগ্রহ করুন ।
বইয়ের নাম : মিম্বরের পয়গাম
লেখক : মুফতি হাসানুজ্জামান
সম্পাদক : আমীর ইবনে আহমদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭২০
মুদ্রিত মূল্য : ১১০০
প্রকাশনায় : সীরাতকেন্দ্র
পরিবেশক : পুনরায় প্রকাশন, কওমি মার্কেট, বাংলাবাজার, ঢাকা
যোগাযোগ : ০১৭১৫ ৯৪৩৮৯৫ (হোয়াটসঅ্যাপ)
মসজিদের মিম্বর জাতির দিকনির্দেশনার অন্যতম কেন্দ্র। আলেমরা এটি আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত । এখানে বসে সঠিক ইসলামের বাণীগুলো প্রচার করেন খতিব সাহেবান। কোনো মসজিদের ইমাম ও খতিব যদি সচেতন হন, একটু উদ্যোগী ও কর্মঠ হন, তাহলে সেই মসজিদের মহল্লার চিত্র পুরোটাই বদলে যায়। সেখানে ইলমের চর্চা বাড়ে, আমলের চর্চা বাড়ে। বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুরা পর্যন্ত অবতীর্ণ হয় প্রতিযোগিতায়—কার আগে কে এগিয়ে যাবে ভালো কাজে। এভাবে মসজিদটিই হয়ে উঠে একটি ‘প্রাণবন্ত পাঠশালা’।
নিয়মিত মুসল্লি ছাড়াও যারা কেবল জুমা পড়তে আসেন, তারাও শেখেন অনেক কিছু। খতিব যখন কোরআন ও হাদিসের টেক্সট বা নুসুস দিয়ে বয়ান করেন, তখন মুসল্লিদের মাঝে এর প্রভাব পড়ে। তারা ইসলামি জ্ঞানের বেসিকটা শিখতে পারেন খুব অথেনটিকভাবে। সেজন্য খতিব সাহেবের বয়ান নুসুসনির্ভর হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
এসব মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে খতিবদের সুবিধার্থে নুসুস বা দলিলনির্ভর অনবদ্য রচনা ‘মিম্বরের পয়গাম’ নামের বই। এটি রচনা করা হয়েছে একজন খতিবের জুমার বয়ান থেকে। মুফতি হাসানুজ্জামান একজন দায়িত্বশীল খতিব। তিনি অনেক পরিশ্রম করে কোরআন ও হাদিসের তথ্য দিয়ে প্রতিটি বয়ান সাজিয়েছেন। আরবি মাস অনুযায়ী বয়ানগুলো সাজানো হয়েছে। একজন খতিব চাইলেই খুব সহজে নির্দিষ্ট মাসের বয়ানটি কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্সের আলোকে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
এই বইটি প্রকাশের পর বিজ্ঞজনেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার সুযোগ্য মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘কোরআন-হাদিস ও হকের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো মসজিদের মিম্বর। এখান থেকে একজন খতিব বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার মাধ্যমে মুসল্লিদের হৃদয়ে ঈমান ও ইসলামের বীজ বপন করতে পারেন, মানুষকে দিতে পারেন সঠিক পথের দিশা। আর এ ক্ষেত্রে কোরআন ও হাদিসের আলোকে সাজানো সহজ-সরল আলোচনা বেশ ভূমিকা রাখে। তথ্য ও বিষয়বস্তুর বিন্যাস এবং শক্তিশালী রেফারেন্স ছাড়া শুধু আবেগি কথাবার্তা দিয়ে আলোচনা করা হলে অনেক সময় মানুষের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়।
এজন্য মিম্বরগুলোয় শরিয়তের মূল উৎস থেকে আহরিত তথ্য ও তত্ত্বভিত্তিক আলোচনা হওয়াটা খুবই জরুরি বিষয়। তবে সবার পক্ষে যেহেতু কোরআন ও হাদিস ঘেঁটে সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোর সুন্দর বিন্যাস করা সম্ভব হয় না এবং সেই সুযোগও নেই অনেকের, তাই এজন্য কিছু মানুষের এগিয়ে আসা দরকার। আমি মনে করি, খতিব, ওয়ায়েজ ও ইসলামি আলোচকদের জন্য ভালো একটি কাজ হয়েছে। এ বই থেকে সর্বস্তরের পাঠকরাও নানাভাবে উপকৃত হতে পারবেন।’
খতিব ও ধর্মীয় আলোচকদের জন্য উপকারী চমৎকার এই বইটি প্রকাশ করেছে ‘সীরাতকেন্দ্র’-এর প্রকাশনা বিভাগ। বিশিষ্ট লেখক মুফতি আমীর ইবনে আহমদের দক্ষ সম্পাদনায় প্রায় ৭৫০ পৃষ্ঠার বইটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাঞ্জল, আরো সাবলীল। আপনার বয়ানকে তথ্যসমৃদ্ধ ও দলিলনির্ভর করতে বইটি আজই সংগ্রহ করুন ।
বইয়ের নাম : মিম্বরের পয়গাম
লেখক : মুফতি হাসানুজ্জামান
সম্পাদক : আমীর ইবনে আহমদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭২০
মুদ্রিত মূল্য : ১১০০
প্রকাশনায় : সীরাতকেন্দ্র
পরিবেশক : পুনরায় প্রকাশন, কওমি মার্কেট, বাংলাবাজার, ঢাকা
যোগাযোগ : ০১৭১৫ ৯৪৩৮৯৫ (হোয়াটসঅ্যাপ)
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে