উম্মেহানী বিনতে আব্দুর রহমান
আমাদের ঈমানের বিরানভূমিকে যিনি সবুজ-সতেজ করে তুলেছেন, যাঁর অনুপ্রেরণা, শিক্ষা ও জীবনাদর্শ আমাদের তাকওয়াপূর্ণ জীবন ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করেছে, তিনি খাতামুন নাবিয়্যিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নবীজি (সা.) ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব, যাঁকে ভালোবাসা, সম্মান ও অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।
কোরআন ও হাদিস নবীজি (সা.)-এর মর্যাদাকে ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ সাব্যস্ত করে। নবীজিকে অসম্মান করা শুধু গোনাহ নয়, বরং ঈমান থেকে ছিটকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে প্রিয় হয়ে উঠি।’ (বুখারি : ১৫)
পরিতাপের বিষয়, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠতম এই মহামানবকে নিয়েও যুগে যুগে কিছু চামচিকা কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি অত্যন্ত গর্হিত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে কোরআন, হাদিস ও ফিক্বহে কটূক্তিকারীর শাস্তির বিধান নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নবীকে কষ্ট দেওয়া তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছনার কারণ হবে।’ (সুরা আহজাব : ৫৭)
মুসলিম যদি নবীজিকে নিয়ে কটূক্তি করে, সেক্ষেত্রে একাধিক ফিক্বহ বিশারদরা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নবীজিকে কটূক্তি করলে তা কুফরি (ধর্মত্যাগ) বলে গণ্য হয়। তাকে তওবা করতে বলা ফরজ। তাওবা না করলে ইসলামি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। পক্ষান্তরে যদি কোনো অমুসলিম নবীজিকে (সা.) কটূক্তি করে, তাহলে ইসলামি শাসনব্যবস্থায় তাদের জন্যও শাস্তির বিধান রয়েছে। অনেক ফক্বিহর মতে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) সৃষ্টির সেরা এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সৃষ্টি। তাঁর এমন অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে সব নবী-রাসুলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া : ১/৩১৩)। তাই তাঁকে নিয়ে কটূক্তিকারী মানবতাবিরোধী অপরাধী।
আল্লাহ বলেন, ‘আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।’ (সুরা ইনশিরাহ : ৪)। রাসুল (সা.)-এর সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন। তাই ইচ্ছা করে তাঁর মর্যাদা কেউ বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবে না। যুগে যুগে মুশরিক ও ইসলামবিদ্বেষীরা নবীজিকে নিয়ে যারাই কটূক্তি ও অবমাননা করেছে, তারাই লাঞ্ছিত ও ধিক্কৃত হয়েছে।
আমাদের ঈমানের বিরানভূমিকে যিনি সবুজ-সতেজ করে তুলেছেন, যাঁর অনুপ্রেরণা, শিক্ষা ও জীবনাদর্শ আমাদের তাকওয়াপূর্ণ জীবন ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করেছে, তিনি খাতামুন নাবিয়্যিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নবীজি (সা.) ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব, যাঁকে ভালোবাসা, সম্মান ও অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।
কোরআন ও হাদিস নবীজি (সা.)-এর মর্যাদাকে ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ সাব্যস্ত করে। নবীজিকে অসম্মান করা শুধু গোনাহ নয়, বরং ঈমান থেকে ছিটকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে প্রিয় হয়ে উঠি।’ (বুখারি : ১৫)
পরিতাপের বিষয়, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠতম এই মহামানবকে নিয়েও যুগে যুগে কিছু চামচিকা কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি অত্যন্ত গর্হিত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে কোরআন, হাদিস ও ফিক্বহে কটূক্তিকারীর শাস্তির বিধান নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নবীকে কষ্ট দেওয়া তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছনার কারণ হবে।’ (সুরা আহজাব : ৫৭)
মুসলিম যদি নবীজিকে নিয়ে কটূক্তি করে, সেক্ষেত্রে একাধিক ফিক্বহ বিশারদরা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নবীজিকে কটূক্তি করলে তা কুফরি (ধর্মত্যাগ) বলে গণ্য হয়। তাকে তওবা করতে বলা ফরজ। তাওবা না করলে ইসলামি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। পক্ষান্তরে যদি কোনো অমুসলিম নবীজিকে (সা.) কটূক্তি করে, তাহলে ইসলামি শাসনব্যবস্থায় তাদের জন্যও শাস্তির বিধান রয়েছে। অনেক ফক্বিহর মতে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) সৃষ্টির সেরা এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সৃষ্টি। তাঁর এমন অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে সব নবী-রাসুলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া : ১/৩১৩)। তাই তাঁকে নিয়ে কটূক্তিকারী মানবতাবিরোধী অপরাধী।
আল্লাহ বলেন, ‘আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।’ (সুরা ইনশিরাহ : ৪)। রাসুল (সা.)-এর সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন। তাই ইচ্ছা করে তাঁর মর্যাদা কেউ বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবে না। যুগে যুগে মুশরিক ও ইসলামবিদ্বেষীরা নবীজিকে নিয়ে যারাই কটূক্তি ও অবমাননা করেছে, তারাই লাঞ্ছিত ও ধিক্কৃত হয়েছে।
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে