২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপিং চূড়ান্ত। ঠিক হয়েছে ফুটবলের বিশ্বমঞ্চের সূচিও। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা দলগুলো জেনে গেছে তাদের গ্রুপ প্রতিপক্ষের বিষয়েও। ৪৮টি দল বিশ্বকাপ খেলবে ১২ গ্রুপে ভাগ হয়ে। ফুটবল মহাযজ্ঞের গ্রুপগুলো নিয়ে আমার দেশ-এর বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি পর্তুগালের সঙ্গে ‘কে’ গ্রুপে থাকা কলম্বিয়া, উজবেকিস্তান ও ফিফা প্লে-অফ ১ জয়ী দলের শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ।
পর্তুগাল মানেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যদিও তাদের ইতিহাসে কিংবদন্তি নামের কমতি নেই। কিন্তু রোনালদোর কারণে পর্তুগালের নাম পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়। আর বিশ্বকাপে প্রতিবারই নিজেদের গ্রুপে হট ফেভারিট হয়েই নামে পর্তুগাল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ‘কে’ গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিঃসন্দেহে পর্তুগাল। ইউরোপের গতিময় ফুটবলের ঝলকে তাদের অবস্থান ওপরের দিকেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পর্তুগালের সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া। সবশেষ ২০২২ সালের আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল তারা।
আসন্ন আসরে নিজেদের গ্রুপে পর্তুগাল নিঃসন্দেহে এগিয়ে। দলটির রক্ষণে আছেন রুবেন দিয়াজ, গনজালো ইনাসিও, দিয়োগো দালত ও জোয়াও ক্যানসেলোর মতো ইউরোপ মাতানো ডিফেন্ডাররা। মাঝমাঠে চষে বেড়ান রুবেন নেভেস, জোয়াও নেভেস ও ভিতিনহারা। যদি রোনালদো বিশ্বকাপে খেলেন, তাহলে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব তার কাছেই থাকবে। এছাড়া বার্নার্দো সিলভা, রামোস এবং জোয়াও ফেলিক্সরা আছেন ফর্মের তুঙ্গে। সুতরাং অলরাউন্ডিং দল নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে পর্তুগাল।
পর্তুগালের সঙ্গে মূল লড়াই হবে কলম্বিয়ার। লাতিন আমেরিকার দেশটি পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। তারা পেছনে ফেলেছে ব্রাজিল ও উরুগুয়ের মতো দলকে। সুতরাং রোনালদোর দলের স্বস্তিতে থাকার কোনো উপায় নেই। কলম্বিয়া আলাদাভাবে পরিচিত তাদের খেলার ধরনের জন্য। লাতিন ছন্দ দূরে ঠেলে গতিময় ফুটবলেই নিজেদের জানান দিতে ওস্তাদ কলম্বিয়ানরা। দলের সেরা তারকা হামেস রদ্রিগেজ, যিনি ব্রাজিলের মাটিতে ২০১৪ বিশ্বকাপে ছয়টি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নেন। দলের রক্ষণে আছেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা ড্যানিয়েল মুনোজ ও লা লিগায় খেলা জোহান মোজিকা। মাঝমাঠে হামেসের সঙ্গে আছেন জেফারসন লারমা, রিচার্ড রিওস, কেভিন কাস্টানোরা। আক্রমণে সেরা তারকা লুইস দিয়াজ, লুইস সুয়ারেজ ও আন্দ্রেস গোমেজ।
এই গ্রুপের দল উজবেকিস্তান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে। এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে উজবেকরা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ১৯৯১ সালে স্বাধীন হওয়া উজবেকিস্তান এর আগে সাতবার বাছাইয়ের বাধা পার হতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অষ্টমবারে এসে বিশ্বকাপের দুয়ার খুলে গেছে তাদের জন্য। উজবেকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় ভরসা ডিফেন্ডার আবদুলকাদির খুসানভ, যিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন। আর দলের অধিনায়ক এলডোর শোমুরোদভ ইতালির বিখ্যাত ক্লাব এএস রোমার হয়ে খেলছেন। দলের কোচ হিসেবে আছেন উজবেকিস্তানের সাবেক মিডফিল্ডার টিমুর কাপাদজে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৯টি ম্যাচ খেলা এই অভিজ্ঞ ফুটবলারের সামনে এবার নতুন ইতিহাসের হাতছানি। অন্য দলটি আসবে ফিফা প্লে-অফ খেলে।
এই গ্রুপের লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে ১৭ জুন মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী দল। এরপর ১৮ জুন লড়াইয়ে নামবে উজবেকিস্তান ও কলম্বিয়া। ২৩ জুন পর্তুগালের বিপক্ষে লড়বে উজবেকিস্তান। একদিন বাদে ২৪ জুন মাঠে নামবে কলম্বিয়া ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী দল। ২৮ জুন লড়বে কলম্বিয়া-পর্তুগাল ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী এবং উজবেকিস্তান।
কেমন হলো পর্তুগালের গ্রুপ
ইউরোপ, লাতিন ও এশিয়ার ত্রিমুখী লড়াইয়ের মঞ্চ

স্পোর্টস ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপিং চূড়ান্ত। ঠিক হয়েছে ফুটবলের বিশ্বমঞ্চের সূচিও। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা দলগুলো জেনে গেছে তাদের গ্রুপ প্রতিপক্ষের বিষয়েও। ৪৮টি দল বিশ্বকাপ খেলবে ১২ গ্রুপে ভাগ হয়ে। ফুটবল মহাযজ্ঞের গ্রুপগুলো নিয়ে আমার দেশ-এর বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি পর্তুগালের সঙ্গে ‘কে’ গ্রুপে থাকা কলম্বিয়া, উজবেকিস্তান ও ফিফা প্লে-অফ ১ জয়ী দলের শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ।
পর্তুগাল মানেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যদিও তাদের ইতিহাসে কিংবদন্তি নামের কমতি নেই। কিন্তু রোনালদোর কারণে পর্তুগালের নাম পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়। আর বিশ্বকাপে প্রতিবারই নিজেদের গ্রুপে হট ফেভারিট হয়েই নামে পর্তুগাল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ‘কে’ গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিঃসন্দেহে পর্তুগাল। ইউরোপের গতিময় ফুটবলের ঝলকে তাদের অবস্থান ওপরের দিকেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পর্তুগালের সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া। সবশেষ ২০২২ সালের আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল তারা।
আসন্ন আসরে নিজেদের গ্রুপে পর্তুগাল নিঃসন্দেহে এগিয়ে। দলটির রক্ষণে আছেন রুবেন দিয়াজ, গনজালো ইনাসিও, দিয়োগো দালত ও জোয়াও ক্যানসেলোর মতো ইউরোপ মাতানো ডিফেন্ডাররা। মাঝমাঠে চষে বেড়ান রুবেন নেভেস, জোয়াও নেভেস ও ভিতিনহারা। যদি রোনালদো বিশ্বকাপে খেলেন, তাহলে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব তার কাছেই থাকবে। এছাড়া বার্নার্দো সিলভা, রামোস এবং জোয়াও ফেলিক্সরা আছেন ফর্মের তুঙ্গে। সুতরাং অলরাউন্ডিং দল নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে পর্তুগাল।
পর্তুগালের সঙ্গে মূল লড়াই হবে কলম্বিয়ার। লাতিন আমেরিকার দেশটি পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। তারা পেছনে ফেলেছে ব্রাজিল ও উরুগুয়ের মতো দলকে। সুতরাং রোনালদোর দলের স্বস্তিতে থাকার কোনো উপায় নেই। কলম্বিয়া আলাদাভাবে পরিচিত তাদের খেলার ধরনের জন্য। লাতিন ছন্দ দূরে ঠেলে গতিময় ফুটবলেই নিজেদের জানান দিতে ওস্তাদ কলম্বিয়ানরা। দলের সেরা তারকা হামেস রদ্রিগেজ, যিনি ব্রাজিলের মাটিতে ২০১৪ বিশ্বকাপে ছয়টি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নেন। দলের রক্ষণে আছেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা ড্যানিয়েল মুনোজ ও লা লিগায় খেলা জোহান মোজিকা। মাঝমাঠে হামেসের সঙ্গে আছেন জেফারসন লারমা, রিচার্ড রিওস, কেভিন কাস্টানোরা। আক্রমণে সেরা তারকা লুইস দিয়াজ, লুইস সুয়ারেজ ও আন্দ্রেস গোমেজ।
এই গ্রুপের দল উজবেকিস্তান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে। এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে উজবেকরা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ১৯৯১ সালে স্বাধীন হওয়া উজবেকিস্তান এর আগে সাতবার বাছাইয়ের বাধা পার হতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অষ্টমবারে এসে বিশ্বকাপের দুয়ার খুলে গেছে তাদের জন্য। উজবেকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় ভরসা ডিফেন্ডার আবদুলকাদির খুসানভ, যিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন। আর দলের অধিনায়ক এলডোর শোমুরোদভ ইতালির বিখ্যাত ক্লাব এএস রোমার হয়ে খেলছেন। দলের কোচ হিসেবে আছেন উজবেকিস্তানের সাবেক মিডফিল্ডার টিমুর কাপাদজে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১১৯টি ম্যাচ খেলা এই অভিজ্ঞ ফুটবলারের সামনে এবার নতুন ইতিহাসের হাতছানি। অন্য দলটি আসবে ফিফা প্লে-অফ খেলে।
এই গ্রুপের লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে ১৭ জুন মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী দল। এরপর ১৮ জুন লড়াইয়ে নামবে উজবেকিস্তান ও কলম্বিয়া। ২৩ জুন পর্তুগালের বিপক্ষে লড়বে উজবেকিস্তান। একদিন বাদে ২৪ জুন মাঠে নামবে কলম্বিয়া ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী দল। ২৮ জুন লড়বে কলম্বিয়া-পর্তুগাল ও ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী এবং উজবেকিস্তান।
