১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস

স্বর্ণ পদক জিতলেন তানভীর ও রোকসানা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৪০

জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস। আজ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনও নানা ইভেন্টের অ্যাথলেটদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে নবনির্মিত স্টেডিয়ামটি। দর্শকদের মাঝেও বাড়তি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। আজ হার্ডলস ইভেন্টের দিকে আগ্রহ ছিল সবার। এই ইভেন্টে বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তানভীর ফয়সাল ও রোকসানা বেগম। দুজনেই জিতলেন স্বর্ণ পদক। এ নিয়ে তৃতীয়বার ১১০ মিটার হার্ডলসে চ্যাম্পিয়ন হলেন তানভীর। আর দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হন রোকসানা।

লড়াইয়ে নেমে শেষ দুটি ধাপ পেরুতে গিয়ে তানভীরের পায়ের স্পর্শে হার্ডল পড়ে গিয়েছিল। ডিসকোয়ালিফাই হয়ে গেছেন হার্ডলার তানভীর- হয়তো এমনটা ভেবেছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত বিচারকরা তানভীরকেই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রায় দেন। কেননা ইচ্ছে করে হার্ডলস ফেলেননি তানভীর। ১১০ মিটার হার্ডলসে ১৪.৭০ সেকেন্ড সময় এই হার্ডলার। আন্ত:বিভাগীয় পর্যায়ে খেলে জাতীয় পর্যায়ে এসেছেন তানভীর। আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি স্বর্ণ জিতেছেন। এবার সামার অ্যাথলেটিকসেও সফল হলেন। ২০২২ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা শুরু করা তানভীরের প্রতিদ্বন্দ্বি বলতে গেলে নেই। তানভীর বলেন, ‘১১০ মিটার হার্ডলসে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দ্বি আমার নেই। তবে আমার সতীর্থরা যখন দেখি স্প্রিন্টে খেলে প্রচারের আলোয় আসছে, সেখানে আমাদের দিকে তাকায় না কেউই। এটাই আমার কষ্ট।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, কোন সমস্যা ছাড়াই সব বাধা পেরিয়ে স্বর্ণ পদক জিতে নিলেন রোকসানা। ১০০ মিটার হার্ডলস পেরুতে তার সময় লাগে ১৫ সেকেন্ড। কোচ রফিকউল্লাহ মিলনের কাছেই অ্যাথলেটিকসে হাতেখড়ি হয়েছে নোয়াখালীর মেয়ে রোকসানার। শুরুতে লংজাম্পে খেললেও পরে কোচের পরামর্শে হার্ডলসে আসেন। এই নারী হার্ডলার বলেন, ‘রফিক স্যার বলেছিলেন, লংজাম্প নয় তুই হার্ডলস কর। কারণ এখানে ফাকা রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষদের অনেক কথা সইতে হয়েছে আমাকে। অ্যাথলেটিকস খেলতে খেলতে সন্ধ্যা হলে মা-বাবাকে অনেক কথা শুনতে হতো।’ বাবা মাইক্রোবাস চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন অবশ্য কাজ করতে পারেন না। সেনাবাহিনীর চাকরি করে যে বেতন পান, তা দিয়েই সংসারে সহযোগিতা করেন রোকসানা। না খেললে কি করতেন? রোকসানা বলেন, ‘না খেললে বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দিত। এটাই গ্রামের নিয়ম।’ এসএ গেমসে পদক জেতাই লক্ষ্য এখন রোকসানার।

দ্বিতীয় দিন ২০,০০০ মিটার ওয়াকিং রেসে স্বর্ণ পদক জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শ্রী কৃষ্ণ সাহা। ৪০০ মিটার হার্ডলসে পুরুষ বিভাগে নাজমুল হোসেন রনি ও নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বর্ষা খাতুন। ৫০০০ মিটার হার্ডলসে সুহানুর রহমান। ডিসকাস থ্রোতে জাফরিন আক্তার স্বর্ণ পদক জিতেছেন। লং জাম্পে মনিরুল মোল্লা চ্যাম্পিয়ন হন। শটপুটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গোলাম সারোয়ার।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত