ভারতের স্পিনারদের দাপট
স্পোর্টস ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে দেখা মিলল না একক কোনো পারফরম্যান্সের। বরং সম্মিলিত পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে একরকম অল্প রানে থামিয়ে দেয় ভারত। অবশ্য সম্মিলিত পারফরম্যান্সের চেয়ে স্পিনারদের দাপট বলাটাই হয়তো শ্রেয়। ভারতীয় একাদশে থাকা চার স্পিনার বোলিং করেছেন পুরো ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। প্রথম ১০ ওভারে ৬৯ রান তোলা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের রান তোলার গতি শ্লথ হয়ে ওঠে এ সময়ে। এই ৩০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে মোটে ১০৩ রান। তাতে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ মাত্র ৭ উইকেটে ২৫১ রান। ভারতীয় ফিল্ডারদের চার ক্যাচ মিসে এতদূর পর্যন্ত আসে কিউইদের ইনিংস।
মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের সংগ্রহ ছিল ৩৭ রান। শুরুতে এমন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ডকে থামাতে ৬ষ্ঠ ওভারেই স্পিন আক্রমণ হানেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সাফল্যও অবশ্য ধরা দেয় মুহূর্তেই। স্পিন আক্রমণ শুরুর ওভারে উইল ইয়ংকে ফেরান স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। স্পিনে পাওয়া ওই সাফল্যের পর ১১ থেকে ৪৩, অর্থাৎ টানা ৩৩ ওভারে দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে বোলিং করান রোহিত। তাতেই অবশ্য সাফল্য পেয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। এই সময়ে নিউজিল্যান্ড তুলেছে মাত্র ১২১ রান।
শুধু রান আটকানোর কাজ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না ভারতীয় স্পিনাররা। এ সময়ে তারা শিকার করেন ৪ উইকেট। তাদের এমন দাপটে খাদের কিনারায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড। তাতে মনে হচ্ছিল প্রথম ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হবে ভারতের হাতে শিরোপা ওঠা। ১০ম ওভারে উইকেটে আসা ড্যারিল মিচেল ক্রিজে লেগে ছিলেন আঠার মতো। ৪৬তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা মিচেল আউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৬৩ রান। ১০১ বলের এই ইনিংসে মাত্র তিনবার বল সীমানার ওপারে পাঠান মিচেল। তার এমন শ্লথ গতির ইনিংসের বিপরীতে অবশ্য ক্রিজে ঝড় তোলেন মিচেল ব্রেসওয়েল। ৩৮তম ওভারে ক্রিজে আসা ব্রেসওয়েল ৪০ বলে খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতেই মূলত নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয় লড়াইয়ের পুঁজি।
ভালো শুরুর পর কিউইদের রান আটকানোর মূল নায়ক কেÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে কারো নাম চোখ বন্ধ করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ভারতের হয়ে হাত ঘোরানো চার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা সবার ইকোনমি ছিল ৫-এর নিচে। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে বোলারদের ইকোনমি ৫-এর নিচে থাকাটাই যেন অকল্পনীয়। সেই কাজটাই করেছেন এই চার স্পিনার। বরুণ ৪৫ রান খরচায় নেন ২ উইকেট আর ৪০ রান খরচায় কুলদ্বীপের শিকার ছিল দুই উইকেট। কোনো উইকেট না নেওয়া অক্ষর প্যাটেল ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন ২৯ রান আর রবীন্দ্র জাদেজা ৩০ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
ভারতীয় স্পিনারদের গুণগানের দিনে তোপের মুখে আছেন দলটির ফিল্ডাররা। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৭ম ও ৮ম ওভারে জীবন পান দলটির ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। ৭ম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ সামি আর ৮ম ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ মিস করেন শ্রেয়াস আইয়ার। অবশ্য দু-দুবার জীবন পেয়ে রাচিন ৩৭ রানের বেশি করতে পারেননি। পরে আরো দুবার ক্যাচ মিস করেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। ৩৫তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ৩৬তম ওভারে গ্লেন ফিলিপস জীবন পান শুভমান গিলের হাতে।
ফিল্ডারদের এমন ব্যর্থতার দিনে একই পথে ছিলেন ভারতীয় পেসাররা। এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় ভারত। দ্বিতীয় পেসারের দায়িত্বটা ছিল অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে। তবে দুজনের কেউই সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। মূল পেসার মোহাম্মদ শামি ৯ ওভারে ৭৪ রান খরচায় নেন ১ উইকেট আর হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩০ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে দেখা মিলল না একক কোনো পারফরম্যান্সের। বরং সম্মিলিত পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে একরকম অল্প রানে থামিয়ে দেয় ভারত। অবশ্য সম্মিলিত পারফরম্যান্সের চেয়ে স্পিনারদের দাপট বলাটাই হয়তো শ্রেয়। ভারতীয় একাদশে থাকা চার স্পিনার বোলিং করেছেন পুরো ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। প্রথম ১০ ওভারে ৬৯ রান তোলা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের রান তোলার গতি শ্লথ হয়ে ওঠে এ সময়ে। এই ৩০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে মোটে ১০৩ রান। তাতে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ মাত্র ৭ উইকেটে ২৫১ রান। ভারতীয় ফিল্ডারদের চার ক্যাচ মিসে এতদূর পর্যন্ত আসে কিউইদের ইনিংস।
মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের সংগ্রহ ছিল ৩৭ রান। শুরুতে এমন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ডকে থামাতে ৬ষ্ঠ ওভারেই স্পিন আক্রমণ হানেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সাফল্যও অবশ্য ধরা দেয় মুহূর্তেই। স্পিন আক্রমণ শুরুর ওভারে উইল ইয়ংকে ফেরান স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। স্পিনে পাওয়া ওই সাফল্যের পর ১১ থেকে ৪৩, অর্থাৎ টানা ৩৩ ওভারে দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে বোলিং করান রোহিত। তাতেই অবশ্য সাফল্য পেয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। এই সময়ে নিউজিল্যান্ড তুলেছে মাত্র ১২১ রান।
শুধু রান আটকানোর কাজ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না ভারতীয় স্পিনাররা। এ সময়ে তারা শিকার করেন ৪ উইকেট। তাদের এমন দাপটে খাদের কিনারায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড। তাতে মনে হচ্ছিল প্রথম ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হবে ভারতের হাতে শিরোপা ওঠা। ১০ম ওভারে উইকেটে আসা ড্যারিল মিচেল ক্রিজে লেগে ছিলেন আঠার মতো। ৪৬তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা মিচেল আউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৬৩ রান। ১০১ বলের এই ইনিংসে মাত্র তিনবার বল সীমানার ওপারে পাঠান মিচেল। তার এমন শ্লথ গতির ইনিংসের বিপরীতে অবশ্য ক্রিজে ঝড় তোলেন মিচেল ব্রেসওয়েল। ৩৮তম ওভারে ক্রিজে আসা ব্রেসওয়েল ৪০ বলে খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতেই মূলত নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয় লড়াইয়ের পুঁজি।
ভালো শুরুর পর কিউইদের রান আটকানোর মূল নায়ক কেÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে কারো নাম চোখ বন্ধ করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ভারতের হয়ে হাত ঘোরানো চার স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা সবার ইকোনমি ছিল ৫-এর নিচে। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে বোলারদের ইকোনমি ৫-এর নিচে থাকাটাই যেন অকল্পনীয়। সেই কাজটাই করেছেন এই চার স্পিনার। বরুণ ৪৫ রান খরচায় নেন ২ উইকেট আর ৪০ রান খরচায় কুলদ্বীপের শিকার ছিল দুই উইকেট। কোনো উইকেট না নেওয়া অক্ষর প্যাটেল ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন ২৯ রান আর রবীন্দ্র জাদেজা ৩০ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
ভারতীয় স্পিনারদের গুণগানের দিনে তোপের মুখে আছেন দলটির ফিল্ডাররা। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৭ম ও ৮ম ওভারে জীবন পান দলটির ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। ৭ম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ সামি আর ৮ম ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ক্যাচ মিস করেন শ্রেয়াস আইয়ার। অবশ্য দু-দুবার জীবন পেয়ে রাচিন ৩৭ রানের বেশি করতে পারেননি। পরে আরো দুবার ক্যাচ মিস করেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। ৩৫তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ৩৬তম ওভারে গ্লেন ফিলিপস জীবন পান শুভমান গিলের হাতে।
ফিল্ডারদের এমন ব্যর্থতার দিনে একই পথে ছিলেন ভারতীয় পেসাররা। এক পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় ভারত। দ্বিতীয় পেসারের দায়িত্বটা ছিল অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে। তবে দুজনের কেউই সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। মূল পেসার মোহাম্মদ শামি ৯ ওভারে ৭৪ রান খরচায় নেন ১ উইকেট আর হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৩০ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৮ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৯ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগে