পার্থ রায়
লেস্টার যেবার রূপকথার জন্ম দিল, ওই বছরই চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল সুইডেনের ক্লাব মিয়ালবির। ৯ বছর পর রথ চলল উল্টো পথে; লেস্টার ইপিএল থেকে অবনমিত হয়েছে আর মিয়ালবির হাতে উঠল শিরোপা। তাও প্রথমবারের মতো মেজর কোনো শিরোপা। মিয়ালবির এই বড় পরিবর্তনে নেই আরব শেখ কিংবা মার্কিনিদের বড় কোনো বিনিয়োগ। সুইডেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্লাব মালমোর মোট বাৎসরিক বাজেটের এক-অষ্টমাংশ অর্থ নিয়ে খরচ করেছে তারা। অঙ্কের হিসেবে অর্থের পরিমাণ মাত্র ৯ মিলিয়ন ডলার। এত অল্প বাজেটের সঙ্গে ৯ বছর আগেও চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কা- তাতে মিয়ালবি চ্যাম্পিয়ন হবে এমনটা হয়তো ভাবেনি কেউই। সেই দলটিই তিন রাউন্ড বাকি থাকতে নিজেদের করে নিয়েছে সুইডিশ লিগের শিরোপা।
সুইডেনের দক্ষিণে বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী সলসবর্গ মিউনিসিপ্যালিটির ছোট গ্রাম হ্যালউইকে। মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ওই গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র ১৩০০। এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৩৯ সালে নিজেদের খেলার জন্য গড়ে ওঠে মিয়ালবি ক্লাব। ৪০ কিংবা ৫০-এর দশকে পেশাদার জগতে ছিল না তাদের কোনো বিচরণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা স্বাবলম্বী হওয়ায় ১৯৫৯ সালে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখায় মিয়ালবি।
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও কখনো কাড়ি কাড়ি অর্থের দেখা পায়নি ক্লাবটি। বরং বেশ হিসাব-নিকাশ করে অর্থ খরচ করতে হয়েছে তাদের। ফলস্বরূপ, কোনো বড় ফুটবল তারকাকে দেখা যায়নি দলটিতে। বড় ফুটবলার না থাকার প্রভাবটা ফুটবল মাঠেও ছিল স্পষ্ট। বছরের বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ কিংবা দ্বিতীয় বিভাগেই ঘোরাফেরা করেছে। কোনো মুহূর্তেই মনে হয়নি শিরোপা জয়ের মতো সামর্থ্য আছে তাদের। সেই মিয়ালবিই এবার সুইডেনের শীর্ষ লিগের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে। সেটাও তিন রাউন্ড বাকি থাকতেই।
পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক আব্দুল্লাহ ইকবাল ছাড়া বলার মতো কোনো বড় তারকা নেই মিয়ালবি দলে। বড় তারকা না থাকা দলটির মূল শক্তি কোচ আন্ডার্স ট্রসটেসন। ২০১৬ সালে চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মিয়ালবির দায়িত্ব নেন তিনি। তখন থেকেই দলটির ডাগআউটের নিয়মিত মুখ ট্রসটেসন। কখনো পেশাদার ফুটবল না খেলা এই ম্যানেজার ফুটবল কোচ হওয়ার আগে ছিলেন মিলিটারি চাকরিজীবী। ১০ বছর সুইডেন মিলিটারিতে কাজ করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। সেখানে এসে দায়িত্ব নেন একটি স্কুলে।ত
এই স্কুল শিক্ষক ট্রসটেসনের কাঁধে ওঠে মিয়ালবিকে গড়ে তোলার দায়িত্ব। ২০১৬ সালে যেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে এসে দলকে সুইডেন প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতিয়ে এনে দিলেন পূর্ণতা। মাঝে ২০২৪ সালে লিউকোমিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রসটেসন। সে সময় তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হলেও তিনি তা করেননি। বরং, চিকিৎসা পরে করানো যাবেÑএমন কথা বলে দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন। দলের প্রতি তার এই দায়িত্ববোধ প্রমাণ করে মিয়ালবিকে শিরোপা জেতাতে কতটা মরিয়া ছিলেন ট্রসটেসন।
শুধু ট্রসটেসনের কথা বললে ভুল হবে। শিরোপা জেতাতে তার সহকারী কার্ল মারিয়াসের অবদানও অনেক। ৩৫ বছর বয়সি এই কোচ খেলোয়াড়দের শেখান, চোখের ভাষায় দমন করতে হবে প্রতিপক্ষকে। তাতেই নাকি প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান হয়েছেন মিয়ালবির ফুটবলাররা।
কোচ-বাজেট আর নিজস্ব মাঠ না থাকার গল্প তো হলোই। ইউরোপিয়ান ফুটবলের চিরায়িত দৃশ্য, খেলোয়াড়রা থাকবেন নিজেদের মতো করে। তবে মিয়ালবির ফুটবলারদের নেই সেই সুযোগ। একই ডরমেটরিতে থাকেন তারা। বাসে করে যখন তারা মাঠে যান পার হতে হয় একের পর এক ফার্ম হাউজ। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখে মাঠে যাওয়া আর একই ডরমেটরিতে থেকে দলের মধ্যে তৈরি হওয়া ভ্রাতৃত্বের কল্যাণে শিরোপা উঠেছে তাদের হাতে। জন্ম দিয়েছে নতুন রূপকথার।
লেস্টার যেবার রূপকথার জন্ম দিল, ওই বছরই চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল সুইডেনের ক্লাব মিয়ালবির। ৯ বছর পর রথ চলল উল্টো পথে; লেস্টার ইপিএল থেকে অবনমিত হয়েছে আর মিয়ালবির হাতে উঠল শিরোপা। তাও প্রথমবারের মতো মেজর কোনো শিরোপা। মিয়ালবির এই বড় পরিবর্তনে নেই আরব শেখ কিংবা মার্কিনিদের বড় কোনো বিনিয়োগ। সুইডেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্লাব মালমোর মোট বাৎসরিক বাজেটের এক-অষ্টমাংশ অর্থ নিয়ে খরচ করেছে তারা। অঙ্কের হিসেবে অর্থের পরিমাণ মাত্র ৯ মিলিয়ন ডলার। এত অল্প বাজেটের সঙ্গে ৯ বছর আগেও চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কা- তাতে মিয়ালবি চ্যাম্পিয়ন হবে এমনটা হয়তো ভাবেনি কেউই। সেই দলটিই তিন রাউন্ড বাকি থাকতে নিজেদের করে নিয়েছে সুইডিশ লিগের শিরোপা।
সুইডেনের দক্ষিণে বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী সলসবর্গ মিউনিসিপ্যালিটির ছোট গ্রাম হ্যালউইকে। মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ওই গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র ১৩০০। এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৩৯ সালে নিজেদের খেলার জন্য গড়ে ওঠে মিয়ালবি ক্লাব। ৪০ কিংবা ৫০-এর দশকে পেশাদার জগতে ছিল না তাদের কোনো বিচরণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা স্বাবলম্বী হওয়ায় ১৯৫৯ সালে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখায় মিয়ালবি।
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও কখনো কাড়ি কাড়ি অর্থের দেখা পায়নি ক্লাবটি। বরং বেশ হিসাব-নিকাশ করে অর্থ খরচ করতে হয়েছে তাদের। ফলস্বরূপ, কোনো বড় ফুটবল তারকাকে দেখা যায়নি দলটিতে। বড় ফুটবলার না থাকার প্রভাবটা ফুটবল মাঠেও ছিল স্পষ্ট। বছরের বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ কিংবা দ্বিতীয় বিভাগেই ঘোরাফেরা করেছে। কোনো মুহূর্তেই মনে হয়নি শিরোপা জয়ের মতো সামর্থ্য আছে তাদের। সেই মিয়ালবিই এবার সুইডেনের শীর্ষ লিগের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে। সেটাও তিন রাউন্ড বাকি থাকতেই।
পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক আব্দুল্লাহ ইকবাল ছাড়া বলার মতো কোনো বড় তারকা নেই মিয়ালবি দলে। বড় তারকা না থাকা দলটির মূল শক্তি কোচ আন্ডার্স ট্রসটেসন। ২০১৬ সালে চতুর্থ টায়ারে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মিয়ালবির দায়িত্ব নেন তিনি। তখন থেকেই দলটির ডাগআউটের নিয়মিত মুখ ট্রসটেসন। কখনো পেশাদার ফুটবল না খেলা এই ম্যানেজার ফুটবল কোচ হওয়ার আগে ছিলেন মিলিটারি চাকরিজীবী। ১০ বছর সুইডেন মিলিটারিতে কাজ করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। সেখানে এসে দায়িত্ব নেন একটি স্কুলে।ত
এই স্কুল শিক্ষক ট্রসটেসনের কাঁধে ওঠে মিয়ালবিকে গড়ে তোলার দায়িত্ব। ২০১৬ সালে যেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে এসে দলকে সুইডেন প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতিয়ে এনে দিলেন পূর্ণতা। মাঝে ২০২৪ সালে লিউকোমিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রসটেসন। সে সময় তাকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হলেও তিনি তা করেননি। বরং, চিকিৎসা পরে করানো যাবেÑএমন কথা বলে দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন। দলের প্রতি তার এই দায়িত্ববোধ প্রমাণ করে মিয়ালবিকে শিরোপা জেতাতে কতটা মরিয়া ছিলেন ট্রসটেসন।
শুধু ট্রসটেসনের কথা বললে ভুল হবে। শিরোপা জেতাতে তার সহকারী কার্ল মারিয়াসের অবদানও অনেক। ৩৫ বছর বয়সি এই কোচ খেলোয়াড়দের শেখান, চোখের ভাষায় দমন করতে হবে প্রতিপক্ষকে। তাতেই নাকি প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়ার মতো সামর্থ্যবান হয়েছেন মিয়ালবির ফুটবলাররা।
কোচ-বাজেট আর নিজস্ব মাঠ না থাকার গল্প তো হলোই। ইউরোপিয়ান ফুটবলের চিরায়িত দৃশ্য, খেলোয়াড়রা থাকবেন নিজেদের মতো করে। তবে মিয়ালবির ফুটবলারদের নেই সেই সুযোগ। একই ডরমেটরিতে থাকেন তারা। বাসে করে যখন তারা মাঠে যান পার হতে হয় একের পর এক ফার্ম হাউজ। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখে মাঠে যাওয়া আর একই ডরমেটরিতে থেকে দলের মধ্যে তৈরি হওয়া ভ্রাতৃত্বের কল্যাণে শিরোপা উঠেছে তাদের হাতে। জন্ম দিয়েছে নতুন রূপকথার।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম খ্যাত ‘স্পিন স্বর্গ’ হিসেবে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোও এখানে ধরাশয়ী হয়েছে স্পিনে।
১ ঘণ্টা আগেএত নাটক জমিয়ে রেখেছিল এই ম্যাচ! একসময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ২১৩ রানের মামুলি সঞ্চয় নিয়েও সহজ জয়ের পথেই রয়েছে। খানিক পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বদলে গেল দৃশ্যপট।
১ ঘণ্টা আগেখেলা ছিল এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে। যেটা কিনা এখন বার্সেলোনার ঘরের মাঠ। আর কাতালানদের প্রতিপক্ষ অলিম্পিয়াকোস। ম্যাচ হবে একপেশে।
৪ ঘণ্টা আগে