ক্রীড়ায় রমজান
নজরুল ইসলাম
পৃথিবীর আলো দেখেন ১৯৮৮ সালে- ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারির দিনটি আলোকিত করেছিলেন আদিল উসমান রশিদ। ইংল্যান্ড প্রবাসী পাকিস্তানের এক মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে ইসলামের হাতে-কলমের শিক্ষা পেয়ে যান ঘর থেকেই। পরিবার থেকে শিক্ষা পেলেও প্র্যাকটিসিং মুসলিম ঠিক তখনো হয়ে উঠতে পারেননি এ তারকা ইংলিশ ক্রিকেটার। ২০১১ সালে এসে বদলে যায় আদিল রশিদের জীবন। ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিং পরামর্শক হন সাকলাইন মুশতাক। পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেট লিজেন্ড ব্যাপক প্রভাব ফেলেন তার জীবনে। মুশতাককে খুব কাছ থেকে দেখে দ্বীনের পথে চলে আসেন আদিল রশিদ- বনে যান প্র্যাকটিসিং মুসলিম।
সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আদিল রশিদ বলেন, ‘মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে ২০১১ সালে সাকলাইনের সঙ্গে দেখা হয়। যেখানে আধ্যাত্মিক সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে আমি ১০ দিন কাটিয়েছিলাম। এরপর আমার চোখ খুলে যায়। আমার মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জন্মে। ক্রিকেটের বাইরের জীবনে একজন মুসলিম হিসেবে আমি কী করছি? আমার কী দায়িত্ব? আমি কি ভালো মানুষ হতে পেরেছি? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি নিয়মিত আদায় করছি? কারণ তার আগে আমি প্র্যাকটিসিং মুসলিম ছিলাম না। আমার সবকিছুই ছিল ক্রিকেট কেন্দ্রিক।’
মুশতাকের সান্নিধ্য পেয়ে নিজেকে পুরোপুরি ইসলামের ছায়াতলে নিবেদিত করেন আদিল রশিদ। এখনো মেনে চলছেন শান্তির ধর্মের রীতি-নীতি আর বিধিনিষেধ। পবিত্র রমজান মাসেও তাই অনুশীলন আর মাঠের ক্রিকেট থেকে দূরে সরে দাঁড়ান না। ধর্ম চর্চা আর কাজ দুটোই একসঙ্গে করেন এ ইংলিশ লেগ স্পিনার। রমজানের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমরা যারা খেলোয়াড় আছি, তাদের সবার জন্য রমজান স্পেশাল। কারণ, রোজা রেখে খেলাধুলা করা কষ্টের কাজ। আমি গত ১০ থেকে ১৫ বছর প্রতি রমজান মাসে রোজা রেখে খেলাধুলা আর অনুশীলন করেছি। তবে রমজানে কোনো অজুহাত নেই। আমরা ৩০টি রোজাই রাখি।’
২০১৫ সালে যখন মঈন আলির সঙ্গে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুম শেয়ার করতেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান আদিল রশিদ, তখন পরিবেশটাই ছিল অন্যরকম। কেননা তাদের সতীর্থ ক্রিকেটাররা ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশি জানতেন না। কিন্তু দুজনে মিলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই বদলে দিয়েছেন। এ নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। খেলোয়াড়রা এখন ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসে। তারা ইসলাম সম্পর্কে অনেক জিজ্ঞাসা করে। যা মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য ইতিবাচক, কারণ আমাদের কাজ ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাওয়া।’
ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৯টি টেস্ট, ১৪৯টি ওয়ানডে আর ১২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা আদিল রশিদ আত্মশুদ্ধির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে থাকেন দূরে। ইসলামি আইন মেনে মাঠের বাইরের জীবনে বিনয়ী আর মার্জিত এ স্টার ক্রিকেটার বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি আমার নিজের নফসকে আটকে রাখার চেষ্টা করি। নিজেকে বলি যতই খ্যাতি পাও না কেন, নম্র হয়ে পৃথিবীতে চলতে হবে। ইসলামই আমাকে নম্র ও ভদ্রতা শিখিয়েছে।’
ইসলাম আদিল রশিদের কাছে সবার আগে বিবেচ্য বিষয়। তারপর খেলা। তাই তো ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ না খেলেই ইসলামিক আহকাম মানতে প্রিয় সহধর্মিণীকে সঙ্গী করে হজ পালন করেন অন্তঃপ্রাণ এ মুসলিম ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ইয়র্কশায়ার তার ছুটি মঞ্জুর করে। এমনকি হজ করতে তাকে উৎসাহ জুগিয়েছিল তারা। হজ নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রতিটি ধর্মবিশ্বাসের কিছু নিজস্ব বিষয় থাকে। ইসলাম ও মুসলমানের জন্য হজ অনেক বড় একটি বিষয়। হজ আমার জন্য, আমার বিশ্বাসের জন্য একটি বড় বিষয়। আমি জানি, যৌবন, শক্তি ও শারীরিক সামর্থ্য থাকতেই এটা করা উচিত। এর জন্য নিজের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম।’
১৯৭৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা শুরু হলেও শিরোপার খরা যেন কিছুতেই কাটছিল না ইংলিশদের। শেষে ক্রিকেটের জন্মভূমির বিশ্ব শিরোপার অপূর্ণতা ঘুচে যায় ২০১৯ সালে। সে আবার নিজেদের ঘরের মাটিতেই। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। শিরোপা উৎসবের একপর্যায়ে সতীর্থরা শ্যাম্পেন নিয়ে মেতে উঠার আগেই মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যান আদিল রশিদ। দূর থেকে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের প্রাণোচ্ছল উল্লাস দেখেন মঈন-রশিদ। ইসলামি অনুশাসন মেনে নিজের গায়ের জার্সিতে কখনো কোনো বিয়ার কোম্পানির লোগো লাগাননি ধর্মভীরু আদিল রশিদ।
মাঠে খারাপ খেললেও এখন আর হতাশ হন না। আল্লাহভীতি সব সময় কাজ করে আদিল রশিদের মনে। আল্লাহতায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করে খুঁজে নেন মানসিক প্রশান্তি। এই বিশ্বাস নিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন। কখনো হতাশায় ডুবেননি। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মাঠে ফিরেও নিজের প্রত্যাবর্তনটা রঙিন করে নিয়েছেন। এর নেপথ্যের কারণ ব্যাখ্যা করে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমাদের যখন দিনটা ভালো কাটে, খুব আনন্দ লাগে। খারাপ কাটলে, আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু পুরোপুরি ইসলামিক চর্চা করার পর আমার মাঝে একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, ভালো-মন্দ যা কিছুই হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আমার পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কেন, এ বিশ্বাস আমাকে সব সময় অনেক বড় একটা মানসিক শান্তি দেয়।’
মুসলিম ক্রিকেটারদের নিয়ে ইংল্যান্ডের লোকজনের ধারণাটাই বদলে গেছে। এ জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন আদিল রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এক হয়ে খেলি। একে অপরকে সম্মান করি। তারা সবাই আমাকে ও মঈন আলিকে সম্মান করে। বিশেষ করে মুসলিম হিসেবে। তারা আমাদের সংস্কৃতি জানে। দিন শেষে ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবারই সম্মান আছে। ইংল্যান্ড এমন একটি বৈচিত্র্যময় দেশ।’
পৃথিবীর আলো দেখেন ১৯৮৮ সালে- ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারির দিনটি আলোকিত করেছিলেন আদিল উসমান রশিদ। ইংল্যান্ড প্রবাসী পাকিস্তানের এক মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে ইসলামের হাতে-কলমের শিক্ষা পেয়ে যান ঘর থেকেই। পরিবার থেকে শিক্ষা পেলেও প্র্যাকটিসিং মুসলিম ঠিক তখনো হয়ে উঠতে পারেননি এ তারকা ইংলিশ ক্রিকেটার। ২০১১ সালে এসে বদলে যায় আদিল রশিদের জীবন। ইংল্যান্ডের স্পিন বোলিং পরামর্শক হন সাকলাইন মুশতাক। পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেট লিজেন্ড ব্যাপক প্রভাব ফেলেন তার জীবনে। মুশতাককে খুব কাছ থেকে দেখে দ্বীনের পথে চলে আসেন আদিল রশিদ- বনে যান প্র্যাকটিসিং মুসলিম।
সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আদিল রশিদ বলেন, ‘মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে ২০১১ সালে সাকলাইনের সঙ্গে দেখা হয়। যেখানে আধ্যাত্মিক সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে আমি ১০ দিন কাটিয়েছিলাম। এরপর আমার চোখ খুলে যায়। আমার মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জন্মে। ক্রিকেটের বাইরের জীবনে একজন মুসলিম হিসেবে আমি কী করছি? আমার কী দায়িত্ব? আমি কি ভালো মানুষ হতে পেরেছি? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি নিয়মিত আদায় করছি? কারণ তার আগে আমি প্র্যাকটিসিং মুসলিম ছিলাম না। আমার সবকিছুই ছিল ক্রিকেট কেন্দ্রিক।’
মুশতাকের সান্নিধ্য পেয়ে নিজেকে পুরোপুরি ইসলামের ছায়াতলে নিবেদিত করেন আদিল রশিদ। এখনো মেনে চলছেন শান্তির ধর্মের রীতি-নীতি আর বিধিনিষেধ। পবিত্র রমজান মাসেও তাই অনুশীলন আর মাঠের ক্রিকেট থেকে দূরে সরে দাঁড়ান না। ধর্ম চর্চা আর কাজ দুটোই একসঙ্গে করেন এ ইংলিশ লেগ স্পিনার। রমজানের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমরা যারা খেলোয়াড় আছি, তাদের সবার জন্য রমজান স্পেশাল। কারণ, রোজা রেখে খেলাধুলা করা কষ্টের কাজ। আমি গত ১০ থেকে ১৫ বছর প্রতি রমজান মাসে রোজা রেখে খেলাধুলা আর অনুশীলন করেছি। তবে রমজানে কোনো অজুহাত নেই। আমরা ৩০টি রোজাই রাখি।’
২০১৫ সালে যখন মঈন আলির সঙ্গে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুম শেয়ার করতেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান আদিল রশিদ, তখন পরিবেশটাই ছিল অন্যরকম। কেননা তাদের সতীর্থ ক্রিকেটাররা ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশি জানতেন না। কিন্তু দুজনে মিলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই বদলে দিয়েছেন। এ নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। খেলোয়াড়রা এখন ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসে। তারা ইসলাম সম্পর্কে অনেক জিজ্ঞাসা করে। যা মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য ইতিবাচক, কারণ আমাদের কাজ ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাওয়া।’
ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৯টি টেস্ট, ১৪৯টি ওয়ানডে আর ১২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা আদিল রশিদ আত্মশুদ্ধির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে থাকেন দূরে। ইসলামি আইন মেনে মাঠের বাইরের জীবনে বিনয়ী আর মার্জিত এ স্টার ক্রিকেটার বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি আমার নিজের নফসকে আটকে রাখার চেষ্টা করি। নিজেকে বলি যতই খ্যাতি পাও না কেন, নম্র হয়ে পৃথিবীতে চলতে হবে। ইসলামই আমাকে নম্র ও ভদ্রতা শিখিয়েছে।’
ইসলাম আদিল রশিদের কাছে সবার আগে বিবেচ্য বিষয়। তারপর খেলা। তাই তো ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ না খেলেই ইসলামিক আহকাম মানতে প্রিয় সহধর্মিণীকে সঙ্গী করে হজ পালন করেন অন্তঃপ্রাণ এ মুসলিম ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ইয়র্কশায়ার তার ছুটি মঞ্জুর করে। এমনকি হজ করতে তাকে উৎসাহ জুগিয়েছিল তারা। হজ নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রতিটি ধর্মবিশ্বাসের কিছু নিজস্ব বিষয় থাকে। ইসলাম ও মুসলমানের জন্য হজ অনেক বড় একটি বিষয়। হজ আমার জন্য, আমার বিশ্বাসের জন্য একটি বড় বিষয়। আমি জানি, যৌবন, শক্তি ও শারীরিক সামর্থ্য থাকতেই এটা করা উচিত। এর জন্য নিজের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম।’
১৯৭৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা শুরু হলেও শিরোপার খরা যেন কিছুতেই কাটছিল না ইংলিশদের। শেষে ক্রিকেটের জন্মভূমির বিশ্ব শিরোপার অপূর্ণতা ঘুচে যায় ২০১৯ সালে। সে আবার নিজেদের ঘরের মাটিতেই। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। শিরোপা উৎসবের একপর্যায়ে সতীর্থরা শ্যাম্পেন নিয়ে মেতে উঠার আগেই মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যান আদিল রশিদ। দূর থেকে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের প্রাণোচ্ছল উল্লাস দেখেন মঈন-রশিদ। ইসলামি অনুশাসন মেনে নিজের গায়ের জার্সিতে কখনো কোনো বিয়ার কোম্পানির লোগো লাগাননি ধর্মভীরু আদিল রশিদ।
মাঠে খারাপ খেললেও এখন আর হতাশ হন না। আল্লাহভীতি সব সময় কাজ করে আদিল রশিদের মনে। আল্লাহতায়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করে খুঁজে নেন মানসিক প্রশান্তি। এই বিশ্বাস নিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন। কখনো হতাশায় ডুবেননি। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মাঠে ফিরেও নিজের প্রত্যাবর্তনটা রঙিন করে নিয়েছেন। এর নেপথ্যের কারণ ব্যাখ্যা করে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমাদের যখন দিনটা ভালো কাটে, খুব আনন্দ লাগে। খারাপ কাটলে, আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু পুরোপুরি ইসলামিক চর্চা করার পর আমার মাঝে একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, ভালো-মন্দ যা কিছুই হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আমার পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কেন, এ বিশ্বাস আমাকে সব সময় অনেক বড় একটা মানসিক শান্তি দেয়।’
মুসলিম ক্রিকেটারদের নিয়ে ইংল্যান্ডের লোকজনের ধারণাটাই বদলে গেছে। এ জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন আদিল রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এক হয়ে খেলি। একে অপরকে সম্মান করি। তারা সবাই আমাকে ও মঈন আলিকে সম্মান করে। বিশেষ করে মুসলিম হিসেবে। তারা আমাদের সংস্কৃতি জানে। দিন শেষে ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবারই সম্মান আছে। ইংল্যান্ড এমন একটি বৈচিত্র্যময় দেশ।’
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৯ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৯ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
১০ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে