আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

নকআউট পর্বে উঠল মরক্কো, দ. আফ্রিকা ও মালি

স্পোর্টস ডেস্ক

নকআউট পর্বে উঠল মরক্কো, দ. আফ্রিকা ও মালি

আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে আসরের অন্যতম ফেভারিট দল মরক্কো। তারা জাম্বিয়াকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। দলের সেরা তারকা আশরাফ হাকিমির ফেরার ম্যাচে জোড়া গোল করেন আইয়ুব এল কাবি। অন্য গোলটি করেন ব্রাহিম দিয়াজ। একই দিনে জিম্বাবুয়েকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও উঠেছে শেষ ষোলোয়। অন্য ম্যাচে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা মিসর গোলশূন্য ড্র করেছে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে। গোলশূন্য ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে কোমোরোস ও মালির মধ্যকার ম্যাচটিও। তবে এক পয়েন্ট পেয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে মালি।

মরক্কোর সামনে সুযোগ ছিল আগের ম্যাচেই নকআউটের টিকিট কাটার। তবে দলের সেরা তারকা আশরাফ হাকিমিকে ছাড়া দলটি যেন অচেনা। হাকিমি ফিরলেন দুই মাস পর। চোটের কারণে পুনর্বাসনে ছিলেন আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। এর আগেই অবশ্য মরক্কোকে এগিয়ে নেন এল কাবি। ম্যাচের মাত্র নবম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন এল কাবি। এরপর প্রথমার্ধের ২৭তম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়াজ। প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে বিরতিতে যাওয়া মরক্কো তৃতীয় গোলটি পায় দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে। ওভারহেড কিকে দলের ও ম্যাচের শেষ গোলটি করেন এল কাবি। শেষ ষোলো নিশ্চিতের পর মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগেরুই বলেছেন, ‘শুরুতেই গোল করতে পারলে ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। আমাদের এভাবেই এগোতে হবে। তবে কোনো অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিতে যেন না ভুগি। পা মাটিতেই রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মরক্কোর গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় তাদের সঙ্গী হয়েছে মালি। মালিকে অবশ্য ভাগ্যবান বলতে হবে। ১০ জনের দল নিয়েও তারা নকআউটে পা রেখেছে। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আমাদু হায়দারা লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মালি। অবশ্য এর আগেই রক্ষণ শক্ত করে লড়ে গেছে তারা। এর আগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেও জাম্বিয়া ও মরক্কোর বিপক্ষে ড্র করেছিল মালি। গ্রুপ ‘এ’তে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল মরক্কো। আর সমান ম্যাচে তিন ড্রয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মালি।

এদিন অন্য ম্যাচে গ্রুপ ‘বি’তে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা মিসর মাঠে নেমেছিল দুই সেরা তারকা মোহাম্মদ সালাহ ও ওমর মারমুশকে বেঞ্চে রেখে। এ দুজনকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে জিততে পারেনি দলটি।

এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের সাত মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন তশেপাং মোরেমি। ১৯ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন তাওয়ান্দা মাসওয়ানহিসে। বিরতির পর ৫০ মিনিটে আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন লাইলে ফস্টার। ৭৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ফের ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষে ৮২তম মিনিটে অসউইন অ্যাপোলিসের পেনাল্টি গোলে জয় নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এ জয়েই গ্রুপ ‘বি’তে মিসরের সঙ্গী হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিসরের পয়েন্ট তিন ম্যাচে সাত, আর দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট সমান ম্যাচে ছয়।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন