রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের ফাইনালে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২৬ রান। দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তান শাহিনসকে আটকে রাখতে পারলেও ব্যাটিংয়ে দাপটটা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফল নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১২৫ রান। তাতে ফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আটকে যায় ৬ রানে। সেই লক্ষ্য টপকে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের শিরোপা জেতে পাকিস্তান শাহিনস। ফাইনালে তীরে এসে তরী ডোবানো পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, স্পিনারদেরই আমরা খেলতে পারিনি।
ফাইনালে পাকিস্তানের চার স্পিনারের করা ১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৫৬ রান। এ সময় হারায় ৭ উইকেট। চার স্পিনারের মধ্যে শুধু লেগ স্পিনার সাদ মাসুদকেই খেলতে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তার করা ৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৩৩ রান। বাকি তিন স্পিনারের করা ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মোটে ২৩ রান। স্পিনারদের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের পর হার নিয়ে আকবর আলী বলেন, ‘আমরা জানি এটা কেমন উইকেট। এখানে স্পিনারদের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। এখানে ম্যাচ জিততে হলে স্পিনারদের বিপক্ষে জিততে হবে। কিন্তু আমরা সেটাই করতে পারিনি।’
স্পিনারদের বিপক্ষে এমন অসহায় আত্মসমর্পণের পাশাপাশি ফাইনালে টপ অর্ডারও ছিল ব্যর্থ। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৫৩ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখান লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। এ বিষয়ে আকবরের ভাষ্য, ‘আমাদের টপ অর্ডার পারেনি। কিন্তু লোয়ার অর্ডার তাদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে।’ আকবর আরো যোগ করেন, ‘ছেলেরা যা অর্জন করেছে এতে আমি গর্বিত। এটা তরুণ একটা গ্রুপ। আমাদের উন্নতির জন্য আরো অনেক উন্নতি করতে হবে।’
ম্যাচের নির্ধারিত ওভারে জিততে না পারলেও বাংলাদেশের জন্য টিকে ছিল জয়ের আশা। সুপার ওভারে ঠিকঠাক খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এছাড়া ম্যাচজুড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ব্যাটিংয়ে ছিল ভুল শটের মহড়া। এ নিয়ে আকবর বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা পারব। কিন্তু শট সিলেকশন মোটেও ভালো ছিল না। আমরা শুধু আমাদেরই দোষারোপ করতে পারি।’
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে হওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আকবরের ভাষ্য ছিল, ‘আমরা আমাদের দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা প্রত্যেকটা ম্যাচে এসে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’

