বাল্যকালের স্বপ্ন সত্যি করে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। অভিষেক মৌসুম শেষ করে সবে দ্বিতীয় মৌসুমে পা দিয়েছেন। এতটুকুতে কি আর মন ভরে। কিলিয়ান এমবাপ্পের বেলায় ঘটেছে ঠিক তাই। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতে এ মেগাস্টার জানান, রিয়ালের ট্রেডমার্ক সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়ে রাখতে চান আরো অনেক দিন। খেলে যেতে চান আরো অনেক বছর। বিশ্ব বিখ্যাত ক্লাবটির শোকেসে যোগ করতে চান আরো অনেক শিরোপা।
কোচ জাবি আলোনসোর কোচিংয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ খেলে যাচ্ছে রিয়াল। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ১৩ ম্যাচ ১২টিতে জয় পেয়েছে রিয়াল। স্প্যানিশ লিগে এখন তারা সবার ওপরে। গত মৌসুমের শিরোপা খরা কাটিয়ে আরো বড় কোনো কিছু জয়ের স্বপ্ন দেখছেন এমবাপ্পে, ‘দলে রয়েছে অসাধারণ বন্ধুত্ব ও ঐক্য। প্রত্যাশা করি, আমরা এই মৌসুমে বড় কিছু জিতব। ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে দলীয় অর্জনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বহু বছর খেলতে চাই। এমন কিছু অনেকবার জিততে চাই।’
গত মৌসুমটা যারপরনাই বাজে কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদের। কোনো ধরনের শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করতে হয়েছে এই স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ক্লাব সাফল্যের মুখ না দেখলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিচারে দুর্দান্ত ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লা লিগায় প্রিয় ক্লাবের জার্সি গায়ে ৩৪ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩১টি। দুরন্ত এ পারফরম্যান্সের সুবাদে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছেন রিয়ালের এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে মাত্র তিনজন খেলোয়াড় গোল্ডেন বুট জিতেছেন এর আগে। হুগো সানচেজ, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও রোনালদো নাজারিও। এখন সেই তালিকায় নাম লিখলেন এমবাপ্পে। পুরস্কারটি হাতে পেয়ে প্রচণ্ড খুশি এ রিয়াল সুপারস্টার, ‘গোল্ডেন বুট জিতে আমি আনন্দিত। প্রথমবার এই পুরস্কার পেলাম, আমার জন্য বিশেষ মুহূর্ত। ফরোয়ার্ড হিসেবে এই পুরস্কার আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’
এমবাপ্পে ৩১ গোল করে পেয়েছিলেন ৬২ পয়েন্ট (শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল প্রতি ২ পয়েন্ট)। সে সুবাদে সবার শীর্ষে থেকে পুরস্কারটি জিতেছেন বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। দ্বিতীয় হয়েছেন স্পোর্টিং লিসবনের ভিক্টর ইয়োকেরেস। পর্তুগালের প্রিমেরা লিগে ৩৯ গোল করে পেয়েছেন ৫৮.৫ পয়েন্ট (গোল প্রতি ১.৫ পয়েন্ট)। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ (৫৮ পয়েন্ট)। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে ২৯ গোল পেয়েছিলেন মিসরীয় এ ফুটবল রাজপুত্র।

