২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপিং চূড়ান্ত। ঠিক হয়েছে ফুটবলের বিশ্বমঞ্চের সূচিও। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা দলগুলো জেনে গেছে তাদের গ্রুপ প্রতিপক্ষের বিষয়েও। ৪৮টি দল বিশ্বকাপ খেলবে ১২ গ্রুপে ভাগ হয়ে। ফুটবল মহাযজ্ঞের গ্রুপগুলো নিয়ে আমার দেশ-এর বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ ডি জয়ী দলের দলের শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ।
২০২৬ বিশ্বকাপের ড্রতে ৪৮টি দল অংশ নেওয়ায় এবার দলগুলো অপেক্ষামূলক সহজ গ্রুপভিত্তিক হয়েছে। তাতে ‘ডেথ গ্রুপ’ তকমাটা দেওয়ার উপায় নেই। মেক্সিকোর গ্রুপটাও তেমন। তবে শক্তিমত্তার দিকে দিয়ে পার্থক্য অবশ্যই থাকছে। এদিক দিয়ে বিবেচনায় মেক্সিকো এগিয়ে। উত্তর আমেরিকার দেশটি বিশ্বকাপের মঞ্চে বেশ পরিচিত। তাদের ফুটবল ইতিহাসও পুরোনো। তবে বিশ্বমঞ্চে সাফল্য নেই। মেক্সিকোর সর্বোচ্চ দৌড় কোয়ার্টার ফাইনাল। ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ দুই আসরেই শেষ আটে খেলেছে মেক্সিকানরা। এবার তারা স্বাগতিক। তাই আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ থাকছে তাদের সামনে।
মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় তারকা সান্তিয়াগো গিমেনেজ। আক্রমণভাগের এই তারকা প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে আছেন জুলিয়ান কুইনোনেস ও হার্ভিং লোজানো। ওয়েস্ট হ্যামের এডসন আলভারেজ রক্ষণে দলটির সবচেয়ে বড় ভরসা। এছাড়া আছেন সিজার মোন্তেস ও জোহান ভাসকেস। মাঝমাঠে আছেন ওরবেলিন পিনেদা, মার্সেল রুইজ, লুইস চাভেজ ও লুইস রোমোরা।
মেক্সিকোকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো দল গ্রুপে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার এই দেশটি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছিল। তারা শেষ ষোলোয় খেলেছিল। বিশ্বকাপে তাদের সেরা সাফল্য চতুর্থ স্থান। ২০০২ বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়েছিল কোরিয়া। এবার আরো ভালো করার লক্ষ্য তাদের। বাছাইয়েও নিজেদের চিনিয়েছেন কোরিয়ানরা। তাদের সবচেয়ে বড় তারকা টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন, যিনি নিজের দিনে একাই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া রক্ষণে আছেন কিম মিন-জে। মাঝমাঠে বিচরণ করেন লে ক্যাং-ইন। তিনি প্রায়শই উইঙ্গারে খেলেন। উদীয়মান কয়েকজন তারকা আছেন দলে। সব মিলিয়ে তারা এবারও চমকে দিতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল। ২০১০ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে খেলার সুযোগ পেয়েছিল তারা। এরপর পরের তিন বিশ্বকাপে বাছাই পার হতে পারেনি। এবার বাছাই পার হলেও তারা কতদূর যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। অবশ্য ফুটবলে যেকোনো সময় কিছু হতে পারে। এই তিন দলের সঙ্গে যোগ দেবে ইউরোপিয়ান ডি জয়ী দল। তবে মূল লড়াইটা হবে মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে।
এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ১১ জুন মুখোমুখি হবে মেক্সিকো ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ১২ জুন মাঠে নামবে দক্ষিণ কোরিয়া ও উয়েফা প্লে অফ ডি জয়ী দল। ১৯ জুন লড়বে মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়া। ২৫ জুন মেক্সিকো-উয়েফা প্লে অফ ডি জয়ী দল ও দক্ষিণ কোরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা।

