গুরুর কাছে হেরেও খুশি ফ্লিক, শিষ্যকে পরাজিত করে ‘গর্বিত’ কোভাচ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ০০
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ০৩
ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ ও বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেললেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে বার্সেলোনা লিখেছে ব্যর্থতার গল্প। স্বাগতিকদের কাছে বলতে গেলে এক রকম বিধ্বস্ত হয়েছে কাতালানরা। গুরু নিকো কোভাচের ডর্টমুন্ডের কাছে হার মেনেছে শিষ্য হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। তবে দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে মোটেই হতবাক নন বার্সা কোচ। সিগনাল ইদুনা পার্কে এমন কিছু ঘটতে পারে- এমন কিছু আগে থেকেই আভাস পেয়েছিলেন স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির কোচ। তাই তো হারের তেতো স্বাদ হজম করেও বেজায় খুশি ফ্লিক। কারণ শেষ হাসি হেসেছে তার শিষ্যরাই। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে বার্সা।

ফিরতি লেগে হারলেও সেমিতে উঠতে পেরে যারপরনাই খুশি কোভাচের অধীনে বায়ার্ন মিউনিখে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করা ফ্লিক জানান, নিজের মনের উচ্ছ্বাসের কথা, ‘ডর্টমুন্ড খুব ভালো খেলেছে। দিনটি আমাদের ভালো কাটেনি। আমার মনে হচ্ছিল, আজ এমন কিছু হবে, কারণ এই স্টেডিয়ামের আবহ সম্পর্কে আমি ভালোভাবে জানি। আমাদের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো হয়নি, কিন্তু ডর্টমুন্ড খুব ভালো খেলেছে। তবে আমার দলকে অভিনন্দন, আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। আমরা খুশি। আমি দল ও ক্লাবের জন্য খুব খুশি।’

টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই প্রথম হার মানল দারুণ ফর্মে থাকা বার্সা। আর ২০২৫ সালে বার্সা হজম করল প্রথম হারের তেতো স্বাদ। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়লেও বার্সার অজেয় যাত্রা থামাতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ, ‘আমরা সবাই দারুণ একটা ম্যাচ দেখেছি, বিশেষ করে আমার দলের দিক থেকে। এটা ছিল একটা তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ খেলা, যেখানে আক্রমণাত্মক চাপ ছিল অনেক। স্পষ্টতই, বিদায় নেওয়ায় আমি হতাশ; কিন্তু আমরা বার্সেলোনাকে ২০২৫ সালের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছি। এবং এটা অনেক কিছু বলছে। আমরা খুবই গর্বিত।’

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের এই এলিট টুর্নামেন্টের শেষ-আটের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাতে ৩-১ গোলে ধরাশায়ী হয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে ৪-০ গোলে জিতে এগিয়ে থেকেও সেমিতে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে শেষ চারে নিজেদের নাম লিখেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট টিমটি।

গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে বার্সেলোনার আক্রমণভাগ ছিল যাচ্ছেতাই নিষ্প্রাণ। লামিনে ইয়ামাল, রবার্ট লেভানডোভস্কি, রাফিনহারা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্ভেদ্য দেয়ালে চিড় ধরাতে চেয়ে খাবি খেয়েছে রীতিমতো। ম্যাচে স্প্যানিশ দলটি যে গোলটি পেয়েছে, সেটিও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ফুটবলার রামি বেনসেবাইনির আত্মঘাতী গোল। বিপরীতে ডর্টমুন্ডের জার্সি গায়ে হ্যাটট্রিকের দ্যুতি ছড়ান গিনির স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি।

পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট হয়েছে বার্সার বাজে পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি। বল দখলে খানিকটা এগিয়ে থাকলেও লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে তারা মাত্র ৭টি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র দুটি শট। আর স্বাগতিক ডর্টমুন্ড গোলমুখে শট নিয়েছে ১৮টি। যার ১১টি ছিল লক্ষ্যে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টার মিলান কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে লড়বে বার্সেলোনা।

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত