মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট বেশি আলোচনায় মূলত মুশফিকুর রহিমের কারণে। এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন। এই ম্যাচের প্রথম দিনে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুশফিক। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ, গতকাল পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। এক রানের আক্ষেপ নিয়ে দিন শেষ করায় খানিকটা চাপে ছিলেনÑএমনটাই ধারণাই ছিল সবার। তবে মুশফিক শোনালেন উল্টো কথা। তিনি জানান, ৯৯ রানে নট আউট হয়ে দিন শেষ করা উপভোগ করেছেন। ক্যারিয়ারের নতুন অভিজ্ঞতা বলেও জানান তিনি।
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মমিনুল হক জানান, সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষায় বাড়ায় মুশফিক প্যানিক করবেন না। সেই কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুশফিক, ‘আমি সব সময় শেখার চেষ্টা করছি। কারণ, গত ২০ বছরে কখনো সারা দিন ব্যাটিং করে ৯৯ রানে নট আউট ছিলাম না। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে আমি উপভোগ করেছি।’ ৯৯ রানে নট আউট থাকাটা অবশ্য ইচ্ছাকৃত ছিল না। আয়ারল্যান্ডের বোলাররা দিনের শেষভাগে বল হাতে সময় নষ্ট করায় বাড়ে তার অপেক্ষা।
এ নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘চেষ্টা তো করছিলাম যে গতকালকে (গত পরশু) যেন হয়ে যায়। কারণ স্বাভাবিক, একটা যেকোনো মাইলস্টোন সহজ নয়। আরেকটা ওভার হলেও হতে পারত।’ আইরিশদের সময় নষ্ট করাতে কোনো দোষ খুঁজে পাননি মুশফিক। তার কথায়, ‘দিন শেষে তারাও এখানে খেলতে আসছে। এটাও একটা ট্যাকটিক্যাল ব্যাপার। আমরাও হয়তো বা ফিল্ডিং করলে ডেফিনেটলি এরকমই করার চেষ্টা করতাম।’
গতকাল দিনের নবম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি ক্রিকেটারদের তালিকায় উঠে যায় মুশফিকের নাম। শেষ পর্যন্ত ২১৪ বলে ১০৬ রানে থামে তার ইনিংস। এই ইনিংস খেলে মোটেও সন্তুষ্ট নন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘আমার আসলে ১০০ করার চেয়ে আমার ইচ্ছা ছিল যে, আমি যেন বড় একটা ১০০ করতে পারি। তো এটা নিজেকে মোটিভেট করার চেষ্টা করছি যে এক রান না, সম্ভবত আমি আরো ৬০-৭০ রান যোগ করতে পারতাম। লিটন যতক্ষণ আছে ওকেও যেন ১০০ করার পর্যন্ত আমি থাকতে পারি। তো সেটাই আমার ছিল মোটিভেশন। তো সেদিক থেকে ট্রাই করার চেষ্টা করেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। তবে মিরাজ ও অন্যরা পরে আসলেই ভালো খেলেছে।’

