
স্পোর্টস ডেস্ক

টার্গেট ১২৪। হাতে পুরো আড়াইদিন। নিজেদের মাটিতে ভারতের জন্য এই টেস্ট সহজেই জেতার কথা। তবে নিজেদের খোঁড়া গর্ত আর খেয়াল করেনি শুভমান গিলের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা সেই গর্তে বল ফেলছেন আর ভারতীয়রাও ফাঁদে পা দিয়ে আত্মহুতি দিচ্ছেন! তাতে একশ রানের ঘরো পার হতে পারেনি ভারত। গুটিয়ে গেছে ৯৩ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩০ রানে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতল টেম্বা বাভুমার দল। ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
ভারতের মাঠে এর চেয়ে কম রান তাড়ায় হেরে যাওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর নিজেদের ইতিহাসে এর চেয়ে কম তাড়া করে একবারই হেরেছে ভারত। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে ১২০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তারা।
ভারত উইকেট বানিয়েছে স্পিন সহায়ক। সেটা এমনই সহায়ক হলো যে, দুই দলের চার ইনিংসের এক ইনিংসেও রান দুইশর ঘর পেরোতে পারেনি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন সবশেষ দেখা গিয়েছিল ৬৬ বছর আগে। ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে এক ইনিংসেও ২০০ রান হয়নি। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের পেছনে ছুটে ভারত অলআউট হয় ১৮৯ রানে। ৩০ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে টেম্বা বাভুমার ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারত গুটিয়ে যায় ৯৩ রানে।
তৃতীয় দিনে ৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ভারতীয় বোলারদের দাপটে বাকি ব্যাটাররা কিছু করতে না পারলেও বাভুমার সৌজন্যে আরও ৬০ রান যোগ করে তারা। ৪ চারে ১৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। করবিন বশের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া কুলদিপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শূন্য রানে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। লোকেশ রাহুলও একই পথ ধরেন। । এরপর প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পারেননি ধ্রুব জুরেল। ৩৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি। পান্ত এসেও টিকতে পারেননি। তাতে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ২৬ রানের জুটি গড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা। হার্মারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ২৬ বলে ১৮ রান করা জাদেজা। পরে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান এইডেন মার্করাম।
শেষ দিকে বাঁহাতি অক্ষর প্যাটেলের সামনে বাঁহাতি কেশভ মহারাজকে এনে জুয়া খেলেন টেম্বা বাভুমা। ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে পাল্টা আক্রমণের আভাস দিলেও একই ওভারে ধরা পড়েন অক্ষর। ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন অক্ষর। পরের বলে সিরাজকেও আউট করে ম্যাচ শেষ করেন মহারাজ। শুভমান গিল অসুস্থ থাকায় মাঠে নামতে পারেননি। তাতেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫৯ ও ১৫৩ (বাভুমা ৫৫*, বশ ২৫; জাদেজা ৪/৫০, কুলদীপ ২/৩০) ভারত: ১৮৯ ও ৯৩ (সুন্দর ৩১, অক্ষর ২৬; হারমার ৪/২১, ইয়ানসেন ২/১৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাইমন হারমার

টার্গেট ১২৪। হাতে পুরো আড়াইদিন। নিজেদের মাটিতে ভারতের জন্য এই টেস্ট সহজেই জেতার কথা। তবে নিজেদের খোঁড়া গর্ত আর খেয়াল করেনি শুভমান গিলের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা সেই গর্তে বল ফেলছেন আর ভারতীয়রাও ফাঁদে পা দিয়ে আত্মহুতি দিচ্ছেন! তাতে একশ রানের ঘরো পার হতে পারেনি ভারত। গুটিয়ে গেছে ৯৩ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩০ রানে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতল টেম্বা বাভুমার দল। ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
ভারতের মাঠে এর চেয়ে কম রান তাড়ায় হেরে যাওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর নিজেদের ইতিহাসে এর চেয়ে কম তাড়া করে একবারই হেরেছে ভারত। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে ১২০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তারা।
ভারত উইকেট বানিয়েছে স্পিন সহায়ক। সেটা এমনই সহায়ক হলো যে, দুই দলের চার ইনিংসের এক ইনিংসেও রান দুইশর ঘর পেরোতে পারেনি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন সবশেষ দেখা গিয়েছিল ৬৬ বছর আগে। ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে এক ইনিংসেও ২০০ রান হয়নি। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের পেছনে ছুটে ভারত অলআউট হয় ১৮৯ রানে। ৩০ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে টেম্বা বাভুমার ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারত গুটিয়ে যায় ৯৩ রানে।
তৃতীয় দিনে ৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ভারতীয় বোলারদের দাপটে বাকি ব্যাটাররা কিছু করতে না পারলেও বাভুমার সৌজন্যে আরও ৬০ রান যোগ করে তারা। ৪ চারে ১৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। করবিন বশের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া কুলদিপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শূন্য রানে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। লোকেশ রাহুলও একই পথ ধরেন। । এরপর প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পারেননি ধ্রুব জুরেল। ৩৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি। পান্ত এসেও টিকতে পারেননি। তাতে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ২৬ রানের জুটি গড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা। হার্মারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ২৬ বলে ১৮ রান করা জাদেজা। পরে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান এইডেন মার্করাম।
শেষ দিকে বাঁহাতি অক্ষর প্যাটেলের সামনে বাঁহাতি কেশভ মহারাজকে এনে জুয়া খেলেন টেম্বা বাভুমা। ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে পাল্টা আক্রমণের আভাস দিলেও একই ওভারে ধরা পড়েন অক্ষর। ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন অক্ষর। পরের বলে সিরাজকেও আউট করে ম্যাচ শেষ করেন মহারাজ। শুভমান গিল অসুস্থ থাকায় মাঠে নামতে পারেননি। তাতেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫৯ ও ১৫৩ (বাভুমা ৫৫*, বশ ২৫; জাদেজা ৪/৫০, কুলদীপ ২/৩০) ভারত: ১৮৯ ও ৯৩ (সুন্দর ৩১, অক্ষর ২৬; হারমার ৪/২১, ইয়ানসেন ২/১৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাইমন হারমার

২০২৬ বিশ্বকাপে পা রাখার জন্য স্পেনের সামনে সমীকরণ ছিল- জর্জিয়ার বিপক্ষে জিততে হবে, অন্য ম্যাচে তুরস্ককে হারতে হবে। স্পেন জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে রাখলেও বুলগেরিয়ার বিপক্ষে তুরস্ক ২-০ গোলে জিতে যাওয়ায় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দলকে।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের জয়রথ চলছেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘরের মাঠে উড়ছে সালমান আলী আগার দল। দক্ষিণ আফ্রিকার পর এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সিরিজ জিতেছে তারা। তিন ম্যাচে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছে ‘ম্যান ইন গ্রিন’রা। ফলে তৃতীয় ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে আনুষ্ঠানিকতার।
৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেই ক্ষতটা তারা শুকিয়ে নেয় দক্ষিণ কোরিয়াকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে। তবে পরের ম্যাচেই জাপানের কাছে হার মানে বিশ্বকাপের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ পর ফের জয়ের ছন্দে ফিরলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
১৬ ঘণ্টা আগে