নতুন জমিতে বাড়ি চান ঋতুপর্ণা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০২: ০০
ঋতুপর্ণা চাকমা

দারুণ সময় কাটছে ঋতুপর্ণার- মাঠে ও মাঠের বাইরেও। একে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন। জাতীয় দলে তো বটেই। ভুটানের নারী ফুটবল লিগেও দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এ তারকা ফুটবলার। তারই পুরস্কার হিসেবে গত শনিবার জিতেছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়। খুশির খবর আছে আরো। সঙ্গে নতুন বাড়িও পাচ্ছেন এ তারকা উইঙ্গার। ঋতুপর্ণাকে বাড়ি করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার বোর্ড সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অভিভাবক সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন


খুশির খবরটি পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন ঋতুপর্ণা। রাতে বাফুফের ক্যাম্পে খবর পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘খবরটি শুনে খুবই অবাক হয়েছি। বিসিবিকে ধন্যবাদ এমনভাবে আমার পাশে দাঁড়ানোয়। বিসিবি সভাপতিসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’


ঋতুপর্ণার গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি জেলার মঘাছড়িতে। দুর্গম এলাকায় বাড়ি হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যার অন্ত নেই। বিগত সরকার ঘাগড়া ইউনিয়নে ঋতুপর্ণাকে জমি দিয়েছিল। কিন্তু সেই জমি এখনো তার নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। ঋতুপর্ণা চান, তার নতুন ঘর বর্তমান বাড়িতে না করে বরাদ্দ পাওয়া জমিতে যেন হয়, ‘আমরা এখন যে জায়গায় থাকি সেটা অনেক ভেতরে। পরিবারের যাতায়াতের সমস্যা। আমি যে জায়গা পেয়েছি ওই জায়গায় যদি বিসিবি বাড়ি করে দেয় তাহলে আমার পরিবারের জন্য খুব ভালো হবে।’


বিগত সরকারের কাছ থেকে ঋতুপর্ণা ১২ শতাংশ জমি পান ২০২২ সালে। এই জমির জটিলতা এখনো কাটেনি। নিজের নামে এখনো রেজিস্ট্রি করতে পারেননি। অনেক চিঠি চালাচালি হলেও ঋতুপর্ণা সমস্যার সমাধান পাননি। এ কারণে আক্ষেপের সুর ঝরল ঋতুর কণ্ঠে, ‘জায়গার বাউন্ডারি আমি দিয়েছি এখনো আমার নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। ভুটান লিগ খেলার আগেও আমি যোগাযোগ করে কাগজপত্র দিয়েছিলাম। আমার জায়গার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হলে বিসিবি সেখানে বাড়ি করে দিলে পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারব।’ তিন দিনের জন্য দেশে ফিরেছেন ঋতুপর্ণা। আজ সকালে ভুটানে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত