
স্পোর্টস রিপোর্টার

ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব হারানোর পর রাগে-অভিমানে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অধিনায়ক সংকটে রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে দলের নেতৃত্বে কাকে দেখা যাবে, সেটা নিয়েই এখন বিসিবির বড় চিন্তা।
টেস্ট দলের অধিনায়ক কে হবেনÑএ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না বোর্ড। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে সময়ও হাতে খুব বেশি নেই। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, লিটন দাস হতে পারেন প্রথম পছন্দ।
মেহেদি হাসান মিরাজ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকলেও পরপর কয়েকটি সিরিজে ব্যর্থতার পর তার নেতৃত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই টেস্ট অধিনায়ক পদে তার নাম আপাতত বিবেচনায় নেই।
বোর্ডের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় অবাক করা একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছেÑবিসিবি আবার শান্তকেই টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিতে পারে! শান্তর টেস্ট ব্যাটিং ফর্ম, দলের মধ্যে প্রভাব এবং নেতৃত্বের স্থিরতা বিবেচনায় তার কাছেই হয়তো ফেরানো হতে পারে নেতৃত্বের ভার।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিচালক আমার দেশকে জানান, ‘আগামীকাল (আজ) সভাপতির সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের সভা হবে। এর পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয়।’
তবে সমস্যা একটাইÑশান্ত কি রাজি হবেন? ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বোর্ডের প্রতি তার অভিমান এখনো কাটেনি। তবে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব কিংবা নতুন করে অধিনায়ক হওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
টেস্ট অধিনায়কত্বের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস বক্সে কথা বলছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশনস কথা বলবে, নির্বাচকরা কথা বলবেন। কোচিং স্টাফের শীর্ষ সদস্য যারা আছেন, তারা কথা বলবেন। কথা বলে যে অধিনায়ক তারা মনে করবে মানানসই, ওই অধিনায়কেরও তা (নেতৃত্ব) গ্রহণ করতে হবে। তারপর সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলেও তিনি পরিষ্কার করেন।
কেমন ক্যাপ্টেন বাংলাদেশের টেস্ট দলের জন্য প্রয়োজন এবং এ সময়ে কে হতে পারেন সেরা পছন্দ? এ বিষয়ে সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম আমার দেশকে বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেনসি নিয়ে যেভাবে আমরা ভাবি, আসলে এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে শান্তকে ফিরিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। সে যদি নিতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে লিটন-মিরাজের মধ্যে মিরাজ ভালো পছন্দ হতে পারে। তবে নিখুঁতভাবে চিন্তা করতে হবে। শুধু পারফরম্যান্স নয়; খেলা কীভাবে চিন্তা করতে পারে, সেটাও দেখা উচিত। আশা করি সবকিছু চিন্তাভাবনা করে বিসিবি নতুন অধিনায়ক বেছে নেবে।’
টেস্টে স্থিতিশীল নেতৃত্ব খুঁজে না পাওয়াটা আসলে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ব্যর্থতারই প্রতিফলন। গত এক দশকে নেতৃত্ব ঘুরেছে মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-শান্তÑএই চক্রে। কেউই পাননি দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ। কোনো ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ প্রোগ্রাম নেই, তরুণদের নেতৃত্ব গড়ার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও দেখা যায়নি। কেন ভবিষ্যৎ অধিনায়কদের আগে থেকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নিÑএ প্রশ্নের জবাবে জাভেদ ওমর বলেন, ‘আমাদের দল ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারে না। ক্রিকেটাররাও নিয়মিত পারফর্ম করতে পারে না। দলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে। ফলে নতুন কাউকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলার সে সুযোগটাই পাওয়া যায় না। দল যখন ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারবে, শুধুমাত্র তখনই ভবিষ্যৎ অধিনায়ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে সবচেয়ে জরুরি কাজ অধিনায়ক নির্বাচন।
কিন্তু এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দলের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং একটি পরিষ্কার নেতৃত্ব কাঠামো তৈরি করা। বাংলাদেশ টেস্ট দল এখন পুনর্গঠনের ধাপে। এমন সময়ে নেতৃত্বে অনিশ্চয়তা শুধু মাঠের পারফরম্যান্স নয়, ড্রেসিংরুমের মানসিকতাকেও নড়বড়ে করে দিতে পারে। টেস্ট অধিনায়ক পুরো দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিরও প্রতীক। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অধিনায়ক সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে মর্যাদা এবং জনপ্রিয়তায় কোনো অংশে কম নন।
বাংলাদেশ টেস্ট দলেও এমন একজন অধিনায়ক প্রয়োজন, যিনি দলকে মাঠে উজ্জীবিত করবেন, সমস্যায় পড়া দলকে টেনে তুলবেন। দলকে জেতাবেন, নিজেও জিতবেন। পুরো দলকে সত্যিকারার্থেই একটি ‘দল’ হিসেবে গড়ে তুলবেন।

ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব হারানোর পর রাগে-অভিমানে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অধিনায়ক সংকটে রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে দলের নেতৃত্বে কাকে দেখা যাবে, সেটা নিয়েই এখন বিসিবির বড় চিন্তা।
টেস্ট দলের অধিনায়ক কে হবেনÑএ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না বোর্ড। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে সময়ও হাতে খুব বেশি নেই। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, লিটন দাস হতে পারেন প্রথম পছন্দ।
মেহেদি হাসান মিরাজ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকলেও পরপর কয়েকটি সিরিজে ব্যর্থতার পর তার নেতৃত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই টেস্ট অধিনায়ক পদে তার নাম আপাতত বিবেচনায় নেই।
বোর্ডের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় অবাক করা একটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছেÑবিসিবি আবার শান্তকেই টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিতে পারে! শান্তর টেস্ট ব্যাটিং ফর্ম, দলের মধ্যে প্রভাব এবং নেতৃত্বের স্থিরতা বিবেচনায় তার কাছেই হয়তো ফেরানো হতে পারে নেতৃত্বের ভার।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিচালক আমার দেশকে জানান, ‘আগামীকাল (আজ) সভাপতির সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের সভা হবে। এর পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয়।’
তবে সমস্যা একটাইÑশান্ত কি রাজি হবেন? ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বোর্ডের প্রতি তার অভিমান এখনো কাটেনি। তবে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব কিংবা নতুন করে অধিনায়ক হওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
টেস্ট অধিনায়কত্বের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস বক্সে কথা বলছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশনস কথা বলবে, নির্বাচকরা কথা বলবেন। কোচিং স্টাফের শীর্ষ সদস্য যারা আছেন, তারা কথা বলবেন। কথা বলে যে অধিনায়ক তারা মনে করবে মানানসই, ওই অধিনায়কেরও তা (নেতৃত্ব) গ্রহণ করতে হবে। তারপর সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলেও তিনি পরিষ্কার করেন।
কেমন ক্যাপ্টেন বাংলাদেশের টেস্ট দলের জন্য প্রয়োজন এবং এ সময়ে কে হতে পারেন সেরা পছন্দ? এ বিষয়ে সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম আমার দেশকে বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেনসি নিয়ে যেভাবে আমরা ভাবি, আসলে এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে শান্তকে ফিরিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। সে যদি নিতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে লিটন-মিরাজের মধ্যে মিরাজ ভালো পছন্দ হতে পারে। তবে নিখুঁতভাবে চিন্তা করতে হবে। শুধু পারফরম্যান্স নয়; খেলা কীভাবে চিন্তা করতে পারে, সেটাও দেখা উচিত। আশা করি সবকিছু চিন্তাভাবনা করে বিসিবি নতুন অধিনায়ক বেছে নেবে।’
টেস্টে স্থিতিশীল নেতৃত্ব খুঁজে না পাওয়াটা আসলে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ব্যর্থতারই প্রতিফলন। গত এক দশকে নেতৃত্ব ঘুরেছে মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-শান্তÑএই চক্রে। কেউই পাননি দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ। কোনো ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ প্রোগ্রাম নেই, তরুণদের নেতৃত্ব গড়ার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও দেখা যায়নি। কেন ভবিষ্যৎ অধিনায়কদের আগে থেকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নিÑএ প্রশ্নের জবাবে জাভেদ ওমর বলেন, ‘আমাদের দল ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারে না। ক্রিকেটাররাও নিয়মিত পারফর্ম করতে পারে না। দলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে। ফলে নতুন কাউকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলার সে সুযোগটাই পাওয়া যায় না। দল যখন ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারবে, শুধুমাত্র তখনই ভবিষ্যৎ অধিনায়ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে সবচেয়ে জরুরি কাজ অধিনায়ক নির্বাচন।
কিন্তু এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দলের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং একটি পরিষ্কার নেতৃত্ব কাঠামো তৈরি করা। বাংলাদেশ টেস্ট দল এখন পুনর্গঠনের ধাপে। এমন সময়ে নেতৃত্বে অনিশ্চয়তা শুধু মাঠের পারফরম্যান্স নয়, ড্রেসিংরুমের মানসিকতাকেও নড়বড়ে করে দিতে পারে। টেস্ট অধিনায়ক পুরো দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিরও প্রতীক। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অধিনায়ক সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে মর্যাদা এবং জনপ্রিয়তায় কোনো অংশে কম নন।
বাংলাদেশ টেস্ট দলেও এমন একজন অধিনায়ক প্রয়োজন, যিনি দলকে মাঠে উজ্জীবিত করবেন, সমস্যায় পড়া দলকে টেনে তুলবেন। দলকে জেতাবেন, নিজেও জিতবেন। পুরো দলকে সত্যিকারার্থেই একটি ‘দল’ হিসেবে গড়ে তুলবেন।

আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে ইন্টার মিয়ামিকে।মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে-অফে তুলেছিলেন লিওনেল মেসি। এবার প্লে-অফেও দেখালেন ঝলক। আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ন্যাশভিলেকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মিয়ামি।
৩ ঘণ্টা আগে
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপপর্বের মিশন আজ শুরু হচ্ছে বসুন্ধরা কিংসের। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ওমানের ক্লাব আল-সিব। কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে আজ দুদলের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
গোল করা তার কাছে মুড়ি-মুড়কির ব্যাপার। যেন অনেকটা ছেলের হাতের মোয়া। গোল মেশিন আর্লিং হাল্যান্ড সেটা প্রমাণ করে যাচ্ছেন। গোল আর হাল্যান্ড যেন মিলে একাকার! মাঠে নামলেই গোল না করলে যেন চলেই না তার। ম্যানচেস্টার সিটির এ নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে পেয়েছেন ২৪ গোলের দেখা।
৭ ঘণ্টা আগে