ক্রীড়ায় রমজান
নজরুল ইসলাম
ছিলেন সোমালিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার অতি সাধারণ এক ছেলে। নিজের পরিবারে যাকে ডাকা হতো হুসেইন আবদি কাহিন বলে। ভাগ্যের জোরে সেই ছেলেটি হয়ে ওঠেন বিশ্ব স্প্রিন্টের সুপারস্টার। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যার ভাগ্যে জুটেছে ‘নাইটহুড’ উপাধিও। তার নাম নিতে আগে ‘স্যার’ শব্দটি উচ্চারণ করতে হয় সম্মানের সঙ্গে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০ মুসলিমের মধ্যে রয়েছে তার নাম। তিনি আর কেউ নন মোহামেদ ফারাহ। সংক্ষেপে তার নাম দাঁড়ায় মো. ফারাহ। ধর্মপ্রাণ এ মুসলিম তারকা এখন ব্রিটিশদের জন্যও বিরাট এক গর্ব।
মুসলিম ক্রীড়াবিদ মো. ফারাহ নিজের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের মধ্যে নিজের ধর্মবিশ্বাসকে জায়গা করে দিতেন সব সময়। দোয়া করেই নেমে পড়তেন দৌড়ে। কারণ তিনি মনেপ্রাণে মেতে চলতেন একটি কথা, কঠোর পরিশ্রমই ইসলামের মূল নীতি। শান্তির ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন ফারাহর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। সেটা ট্র্যাকের ভেতরে ও বাইরে, উভয় ক্ষেত্রেই। তিনি নিয়মিত দৌড়ের আগে দোয়া করতেন। মনোযোগ এবং মনোবল ঠিক ও স্থির রাখতে দোয়া পাঠ পর্বটা সেরে নিতেন সবার আগে।
মো. ফারাহ কোরআন থেকে নিতেন অনুপ্রেরণা। এতে তার মনে বিশ্বাস জন্মে, জীবনের সব ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করা জরুরি। একজন মুসলিম হিসেবে ফারাহ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ পালন করেন। রমজান মাসে রাখেন রোজা। মুসলিম সম্প্রদায়ের এ রোল মডেল স্বীকার করে নেন, একজন ক্রীড়াবিদের জন্য যা হতে পারে চ্যালেঞ্জিং। এ নিয়ে মো. ফারাহ বলেন, ‘আমি একজন মুসলিম, তাই আমি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ পালন করি। রমজান মাসে রোজা রাখা একজন ক্রীড়াবিদের জন্য সব সময় সহজ কাজ নয়। আপনার প্রশিক্ষণের সঙ্গে এটি খাপ খাইয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু আপনাকে এটাই করতে হবে। আপনি আত্মনিয়ন্ত্রণ শিখবেন।’
পাচার চক্রের কবলে পড়ে সেই মো. ফারাহর জায়গা হয়েছিল একটি বাড়িতে। পার্ক বা ফুটপাতে নয়, ছিলেন আলিসান বাড়িতে। কিন্তু বাড়ির চাকচিক্য তার মনে এনে দিতে পারেনি শান্তি। থাকবে কী করে? অনেক দিন কেটে গেলেও মুখে জুটত না যে খাবার। চোখের পানিই ছিল তার সম্বল। কান্নায় ভেঙে পড়তেন আড়ালে। কেউ যাতে তার কান্না না দেখে, সে জন্য হাউমাউ করে কেঁদে উঠতে চলে যেতেন দরজা বন্ধ বাথরুমে। দুনিয়ার সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক আর ভীতি যেন পিছু তাড়া করত সাবেক এ ব্রিটিশ অ্যাথলিটককে। অদৃশ্য সেই শত্রুর ভয়ে দৌড়াতেন প্রাণে বাঁচতে। প্রাণপণ দিয়ে শেখা সেই দৌড়ানোই শেষে কাজে লেগেছে তার। তাতেই গড়ে উঠেছে তার বর্ণিল ক্যারিয়ার। বনে গেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা দৌড়বিদ। নয়া ইতিহাস গড়ে খ্যাতির মুক্তা কুড়িয়েছেন তাবৎ দুনিয়া থেকে। দূরপাল্লার দৌড়ে ১০টি স্বর্ণপদক জয়ের কৃতিত্ব এখন মো. ফারাহর দখলে। যার চারটি স্বর্ণ এসেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমস থেকে। বাকি ছয়টি সোনা নিজের গলায় ঝুলিয়েছেন তিনি বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে।
একটা সময় পর্যন্ত সবাই জানত, মা-বাবার হাত ধরে জন্মভূমি সোমালিয়া ছেড়েছিলেন মো. ফারাহ। অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ আফ্রিকা ছেড়ে গোপনে পা রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের মাটিতে। কিন্তু পরে জানা যায় এই গল্পটা মোটেই ঠিক নয়। এটি পুরোপুরি এক অসত্য আর বানোয়াট তথ্যে নির্ভর নিছক এক মিথ্যা গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। আসল সত্য আলোর মুখ দেখে বিবিসির প্রকাশিত এক তথ্যচিত্র থেকে। যেখানে ফুটে উঠে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এ জীবন্ত কিংবদন্তি দৌড়বিদের ভয়ংকর অতীতের লোমহর্ষক কাহিনি। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আদর্শের প্রতীক মো. ফারাহ আসলে পালিয়ে যাননি লন্ডনে। ভয়ংকর পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন শিশু মো. ফারাহ। বছর কয়েক আগে প্রকাশ পেয়েছিল ‘দ্য রিয়াল মো. ফারাহ’ নামক তথ্যচিত্রটি। যেখানে কোনো রাখঢাক না রেখেই জানিয়েছেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব সত্যটা। ইউরোপে পাচার হওয়ার পথে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। কাজ করেন গৃহস্থ বাড়ির চাকর হিসেবে। শুধু গৃহস্থালি কাজই নয়, মালিকের পরিবারে বাচ্চা দেখাশোনার কাজটিও সামলাতে হয়েছে তাকে। মো. ফারাহ নিজেই আসল সত্যটা গোপন করে এসেছেন দীর্ঘদিন। কারণ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ভয় কাজ করত তার মনে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে লুকিয়ে রাখা সব কথা উগড়ে দিয়েছেন বিবিসির ক্যামেরার সামনে।
আগামী ২৩ মার্চ ৪২ এ পা রাখতে যাওয়া মো. ফারাহ মূলত সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সোমালিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। চার বছর বয়সে জন্মদাতা বাবাকে হারিয়ে হয়ে যান এতিম। সোমালিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে চলা গুলি কেড়ে নেয় তার বাবা আবদির জীবন। জীবন বাঁচাতে ৮-৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান প্রতিবেশী দেশ জিবুতিতে। সেখানেই শিশু পাচার চক্রের নজরে পড়ে যান মো. ফারাহ। পাচারকারী দলের যে সদস্য তাকে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই পাল্টে ফেলেছিলেন তার পরিবারের দেওয়া নামটা। পরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সামলে বনে যান অ্যাথলেটিকস দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দৌড়বিদদের একজন।
ছোট্ট কাহিনি তো বুঝেই উঠতে পারেনি কখনো, ঠিক তার করণীয় কী। কান্না ছাড়া তার করার কিছুই ছিল না। শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতেন আর দৃষ্টি রাখতেন সামনে। দেখে চলতেন সুসময়ে পদার্পণের স্বপ্ন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালার ওপর বিশ্বাস রেখে শেষে সুসময়ে পা রেখে দেখিয়েছেন রঙিন ক্যারিয়ারের ঝলক। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্ব দরবারে। জিরো থেকে বনে গেছেন সময়ের হিরো। শূন্য থেকে নিজেকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। ভয় কাটিয়ে হয়েছেন সেরাদের সেরা!
ছিলেন সোমালিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার অতি সাধারণ এক ছেলে। নিজের পরিবারে যাকে ডাকা হতো হুসেইন আবদি কাহিন বলে। ভাগ্যের জোরে সেই ছেলেটি হয়ে ওঠেন বিশ্ব স্প্রিন্টের সুপারস্টার। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যার ভাগ্যে জুটেছে ‘নাইটহুড’ উপাধিও। তার নাম নিতে আগে ‘স্যার’ শব্দটি উচ্চারণ করতে হয় সম্মানের সঙ্গে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০ মুসলিমের মধ্যে রয়েছে তার নাম। তিনি আর কেউ নন মোহামেদ ফারাহ। সংক্ষেপে তার নাম দাঁড়ায় মো. ফারাহ। ধর্মপ্রাণ এ মুসলিম তারকা এখন ব্রিটিশদের জন্যও বিরাট এক গর্ব।
মুসলিম ক্রীড়াবিদ মো. ফারাহ নিজের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের মধ্যে নিজের ধর্মবিশ্বাসকে জায়গা করে দিতেন সব সময়। দোয়া করেই নেমে পড়তেন দৌড়ে। কারণ তিনি মনেপ্রাণে মেতে চলতেন একটি কথা, কঠোর পরিশ্রমই ইসলামের মূল নীতি। শান্তির ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন ফারাহর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। সেটা ট্র্যাকের ভেতরে ও বাইরে, উভয় ক্ষেত্রেই। তিনি নিয়মিত দৌড়ের আগে দোয়া করতেন। মনোযোগ এবং মনোবল ঠিক ও স্থির রাখতে দোয়া পাঠ পর্বটা সেরে নিতেন সবার আগে।
মো. ফারাহ কোরআন থেকে নিতেন অনুপ্রেরণা। এতে তার মনে বিশ্বাস জন্মে, জীবনের সব ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করা জরুরি। একজন মুসলিম হিসেবে ফারাহ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ পালন করেন। রমজান মাসে রাখেন রোজা। মুসলিম সম্প্রদায়ের এ রোল মডেল স্বীকার করে নেন, একজন ক্রীড়াবিদের জন্য যা হতে পারে চ্যালেঞ্জিং। এ নিয়ে মো. ফারাহ বলেন, ‘আমি একজন মুসলিম, তাই আমি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ পালন করি। রমজান মাসে রোজা রাখা একজন ক্রীড়াবিদের জন্য সব সময় সহজ কাজ নয়। আপনার প্রশিক্ষণের সঙ্গে এটি খাপ খাইয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু আপনাকে এটাই করতে হবে। আপনি আত্মনিয়ন্ত্রণ শিখবেন।’
পাচার চক্রের কবলে পড়ে সেই মো. ফারাহর জায়গা হয়েছিল একটি বাড়িতে। পার্ক বা ফুটপাতে নয়, ছিলেন আলিসান বাড়িতে। কিন্তু বাড়ির চাকচিক্য তার মনে এনে দিতে পারেনি শান্তি। থাকবে কী করে? অনেক দিন কেটে গেলেও মুখে জুটত না যে খাবার। চোখের পানিই ছিল তার সম্বল। কান্নায় ভেঙে পড়তেন আড়ালে। কেউ যাতে তার কান্না না দেখে, সে জন্য হাউমাউ করে কেঁদে উঠতে চলে যেতেন দরজা বন্ধ বাথরুমে। দুনিয়ার সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক আর ভীতি যেন পিছু তাড়া করত সাবেক এ ব্রিটিশ অ্যাথলিটককে। অদৃশ্য সেই শত্রুর ভয়ে দৌড়াতেন প্রাণে বাঁচতে। প্রাণপণ দিয়ে শেখা সেই দৌড়ানোই শেষে কাজে লেগেছে তার। তাতেই গড়ে উঠেছে তার বর্ণিল ক্যারিয়ার। বনে গেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা দৌড়বিদ। নয়া ইতিহাস গড়ে খ্যাতির মুক্তা কুড়িয়েছেন তাবৎ দুনিয়া থেকে। দূরপাল্লার দৌড়ে ১০টি স্বর্ণপদক জয়ের কৃতিত্ব এখন মো. ফারাহর দখলে। যার চারটি স্বর্ণ এসেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমস থেকে। বাকি ছয়টি সোনা নিজের গলায় ঝুলিয়েছেন তিনি বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে।
একটা সময় পর্যন্ত সবাই জানত, মা-বাবার হাত ধরে জন্মভূমি সোমালিয়া ছেড়েছিলেন মো. ফারাহ। অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ আফ্রিকা ছেড়ে গোপনে পা রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের মাটিতে। কিন্তু পরে জানা যায় এই গল্পটা মোটেই ঠিক নয়। এটি পুরোপুরি এক অসত্য আর বানোয়াট তথ্যে নির্ভর নিছক এক মিথ্যা গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। আসল সত্য আলোর মুখ দেখে বিবিসির প্রকাশিত এক তথ্যচিত্র থেকে। যেখানে ফুটে উঠে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এ জীবন্ত কিংবদন্তি দৌড়বিদের ভয়ংকর অতীতের লোমহর্ষক কাহিনি। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আদর্শের প্রতীক মো. ফারাহ আসলে পালিয়ে যাননি লন্ডনে। ভয়ংকর পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন শিশু মো. ফারাহ। বছর কয়েক আগে প্রকাশ পেয়েছিল ‘দ্য রিয়াল মো. ফারাহ’ নামক তথ্যচিত্রটি। যেখানে কোনো রাখঢাক না রেখেই জানিয়েছেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব সত্যটা। ইউরোপে পাচার হওয়ার পথে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। কাজ করেন গৃহস্থ বাড়ির চাকর হিসেবে। শুধু গৃহস্থালি কাজই নয়, মালিকের পরিবারে বাচ্চা দেখাশোনার কাজটিও সামলাতে হয়েছে তাকে। মো. ফারাহ নিজেই আসল সত্যটা গোপন করে এসেছেন দীর্ঘদিন। কারণ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ভয় কাজ করত তার মনে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে লুকিয়ে রাখা সব কথা উগড়ে দিয়েছেন বিবিসির ক্যামেরার সামনে।
আগামী ২৩ মার্চ ৪২ এ পা রাখতে যাওয়া মো. ফারাহ মূলত সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সোমালিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। চার বছর বয়সে জন্মদাতা বাবাকে হারিয়ে হয়ে যান এতিম। সোমালিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে চলা গুলি কেড়ে নেয় তার বাবা আবদির জীবন। জীবন বাঁচাতে ৮-৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান প্রতিবেশী দেশ জিবুতিতে। সেখানেই শিশু পাচার চক্রের নজরে পড়ে যান মো. ফারাহ। পাচারকারী দলের যে সদস্য তাকে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই পাল্টে ফেলেছিলেন তার পরিবারের দেওয়া নামটা। পরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সামলে বনে যান অ্যাথলেটিকস দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দৌড়বিদদের একজন।
ছোট্ট কাহিনি তো বুঝেই উঠতে পারেনি কখনো, ঠিক তার করণীয় কী। কান্না ছাড়া তার করার কিছুই ছিল না। শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতেন আর দৃষ্টি রাখতেন সামনে। দেখে চলতেন সুসময়ে পদার্পণের স্বপ্ন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালার ওপর বিশ্বাস রেখে শেষে সুসময়ে পা রেখে দেখিয়েছেন রঙিন ক্যারিয়ারের ঝলক। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্ব দরবারে। জিরো থেকে বনে গেছেন সময়ের হিরো। শূন্য থেকে নিজেকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। ভয় কাটিয়ে হয়েছেন সেরাদের সেরা!
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৮ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৯ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগে