এই লড়াইয়ের নাম দেওয়া যেতে পারে ভারত বনাম মার্কো ইয়ানসেন! এই নামে কোনো আপত্তি থাকার কথা না। কেননা, ব্যাটিং-বোলিংয়ে একাই যে ভারতকে ধসিয়ে দিয়েছেন এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংসে খেললেন ৯৩ রানের ইনিংস। এরপর ভারতের ৬ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিলেন ব্যাটিং লাইন। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হলো ২০১ রানে। ২৮৮ রানের লিড নিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ৩১৪ রানের লিড নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বিদায় নেন লোকেশ রাহুল। ২ চারে ২২ রান করা রাহুলকে বিদায় করে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। এরপর ৮৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেই আউট হন জয়সওয়াল। তাকে ফেরানোর পরের ওভারে ফের আঘাত হানেন হার্মার। ফেরান সাই সুদর্শনকে। এরপর পান্তকে ফেরান ইয়ানসেন। এরপর ইয়ানসেনের শিকার হন নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রবীন্দ্র জাদেজা। বিনা উইকেটে ৬৫ থেকে ভারতের রান হয়ে যান ৭ উইকেটে ১২২। সেখান থেকে দলকে টেনে লাঞ্চে যান ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদিপ যাদব। হার্মারের বলে ওয়াশিংটন স্লিপে ধরা পড়লে ভাঙে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৭২ রানের জুটি। এরপর ২০১ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান ইয়ানসেন। ৩টি উইকেট নেন হার্মার। ১টি নেন কেশভ মহারাজ।
বিশাল রানে এগিয়ে থেকে ফের ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষবেলায় ৮ ওভার খেলে নিরাপদেই দিন পার করে দেন দুই ওপেনার রায়ান রিকেলটন ও এইডেন মার্করাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয়দিন শেষে):
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১ম ইনিংস ৪৮৯ ও ২য় ইনিংস ২৬/০ (রিকেলটন ১৩*, মার্করাম ১২*; জাদেজা ০/২)
ভারত : ১ম ইনিংস ৮৩.৫ ওভারে ২০১ (জয়সওয়াল ৫৮, ওয়াশিংটন ৪৮, কুলদিপ ১৯; ইয়ানসেন ৬/৪৮, হার্মার ৩/৬৪)

