নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল

প্রথম শিরোপার খোঁজে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ০০

নারী বিশ্বকাপের চলমান আসর থেকে বিদায় নিয়েছে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে রেকর্ড রান তাড়া করে তাদের হারিয়ে ফাইনালের মহামঞ্চে পৌঁছে গেছে ভারত। আর তাতেই এই আসরের নতুন চ্যাম্পিয়নের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে। মহারণের সেই মঞ্চে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য সেমিফাইনালে তারাও রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে বিদায় করেছে ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশ সময় আজ বেলা সাড়ে ৩টায় নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শিরোপার খোঁজে মাঠে লড়বে দুদল।

ফাইনালে পৌঁছানোর পথটা সহজ ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের দেখতে হয়েছে ৬৯ ও ৯৭ রানে অলআউটের বিপর্যয়। ভারতের জন্য পথটা ছিল আরো কঠিন। ভাগ্যের সহায়তায় ৭ ম্যাচের তিনটি জিতে শেষ চারের টিকিট কাটে তারা। এরপর সেমিফাইনালের রোমাঞ্চ তো চোখের সামনেই ধরা দিয়েছে। রোমাঞ্চের অবশ্য আরো এক ধাপ বাকি। সাবেক ও বর্তমান দুই চ্যাম্পিয়ন সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপ।

বিজ্ঞাপন

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগে কখনো বিশ্বকাপ জিতেনি। ভারত ২০০৫ ও ২০১৭ সালে দুবার ফাইনাল খেললেও ভাগ্য সহায় হয়নি। প্রোটিয়ারা অবশ্য এবারই প্রথম ফাইনালের মঞ্চে পা রেখেছে। ফাইনালের মঞ্চে অবশ্য লড়াইটা সহজ হবে না দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। সবদিক দিয়েই এগিয়ে আছে ভারত। নিজেদের মাঠে ৩০ হাজার দর্শকের গর্জন তাদের সমর্থনের দিক দিয়ে এগিয়ে রাখবে। ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও ভারত এগিয়ে।

সেমিফাইনালে ভারত নিজেদের ব্যালেন্সড একাদশ নিয়ে খেলেছে। ব্যাটিং অর্ডারে ৮ নম্বর পজিশন পর্যন্ত নিশ্চিন্ত তারা। তাতে বেড়েছে বোলিং অপশনও। ফিল্ডিংয়ে জেমিমাহ রুদ্রিগেজ ও রাধা যাদবের ভূমিকাও বদলে দিতে পারে ম্যাচের পরিস্থিতি। দক্ষিণ আফ্রিকাও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামতে পারে। তবে ওপেনার তাজমিন ব্রিটজ কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন। তবে ফাইনালে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী ব্রিটজ।

ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং। নারীদের ক্রিকেটে ওয়ানডেতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা বিশ্বকাপে আছেন ফর্মে। ৮ ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান। তার সঙ্গে ইনিংস শুরু করা শেফালি ভার্মাও আছেন ছন্দে। মান্ধানা-শেফালি ওপেনিং জুটি জমে গেলে পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নিতে পারে ভারত। সেই সঙ্গে মিডল অর্ডারে জেমিমাহ রুদ্রিগেজ, হারমানপ্রীত কর, দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষের মতো আগ্রাসী ব্যাটার আছেন। স্পিনে আছেন রাধা যাদব, দীপ্তি, স্নেহ রানা এবং শ্রী চরণির মতো বোলার। দীপ্তি ১৭ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী। উলভার্টদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেন। উলভার্ট ভালো ফর্মে রয়েছেন। আট ম্যাচে ৪৭০ রান করে এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। অন্য ওপেনার তাজমিন ব্রিটসও খারাপ খেলছেন না। স্লগ ওভারে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারেন মারিজান ক্যাপ। তাদের মূল লড়াই হবে ভারতের স্পিনারদের সঙ্গে। জন্টি রোডসের দেশের নারী দলের ফিল্ডিংও বেশ ভালো। প্রতি ম্যাচে অন্তত ২৫-৩০ রান বাঁচিয়ে দেন তারা। উলভার্ট, নাদিন ডি ক্লার্ক, সুনে লুসদের পাশ দিয়ে বল গলানো কঠিন। পেস বোলিংয়ে তাদের আছেন ক্যাপ এবং আয়বঙ্গা খাকা। ক্যাপ নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১২টি উইকেট নিয়েছেন।

সব মিলিয়ে সমানে সমান লড়াই হবে বলেই ধারণা। এবার দেখার বিষয়, মুম্বাইয়ের রাত ছাপিয়ে কে উঁচিয়ে ধরেন সোনালি ট্রফিÑহারমানপ্রিত নাকি উলবার্ট।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

ক্রিকেট
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত