বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ

অভিজ্ঞতায় আস্থা বিসিবির

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০০

চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। মাঝের চারমাসের বিরতি ভেঙ্গে ফের টেস্ট খেলতে নামছে দল। ১১ নভেম্বর দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট হবে মিরপুরে।

বিজ্ঞাপন

এই সিরিজকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যারা ছিলেন না, তারা ইতোমধ্যে এনসিএল দিয়ে শুরু করেছেন নিজেদের প্রস্তুতি। বাকিরাও দুয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে শুরু করবেন লাল বলের অনুশীলন। ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো সময় কাটালেও অবশ্য নির্বাচক প্যানেল বসে নেই। তারা শুরু করেছেন দল নির্বাচনের কাজ। চোখ রাখছেন এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে। দল মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও স্কোয়াড পুরো করার তালিকায় থাকায় সম্ভাব্য ক্রিকেটাররা কেমন পারফরমেন্স করেন সেদিকেই নজর তাদের।

বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আমার দেশকে বলেন, ‘অনেক দিন পর লাল বলে খেলছে ক্রিকেটাররা। খানিকটা মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগের এমন সুযোগ পাওয়াটা ভালো ব্যাপার। লম্বা সময় পর লাল বলে খেলার সুযোগ পাওয়াটা ক্রিকেটারদের জন্য কাজে দেবে।’

এনসিএলের প্রথম রাউন্ডে আরিফুল ইসলামের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে মাহফিজুল ইসলাম রবিনদের মতো তরুণ ক্রিকেটার পেয়েছেন দারুণ ছন্দে। এমনকি ব্যাটিংও করেছেন বেশ সাবলীলভাবে। তবে এখনই তাদের জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলছে না। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অভিজ্ঞদের ওপরই ভরসা রাখতে চায় নির্বাচকরা। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে আয়ারল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াড। আগামী ৭ কিংবা ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে টেস্ট দলের ক্যাম্প।

টেস্ট সিরিজের আগে এনসিএল দিয়ে লম্বা সময় পর মাঠে ফিরেছেন মমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের মতো টেস্ট স্পেশালিস্ট ক্রিকেটাররা। এনসিএলে তাদের পারফরম্যান্স কেমন হচ্ছে সেটা বিবেচনায় নিচ্ছে না নির্বাচক প্যানেল। বরং, লাল বলের সঙ্গে তাদের মানিয়ে নেওয়াটাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিসিবি। এনসিএলের প্রথম রাউন্ডে রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৬ উইকেট নেন তিনি। অন্যদিকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ঢাকায় একই দলের হয়ে খেলছেন নাহিদ রানা। এখন পর্যন্ত দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৭ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। মিরপুরে দুই ইনিংসেই নিজের গতির ঝলকের পাশাপাশি দারুণ বল করেছেন এই ডানহাতি পেসার।

সাদমান ইসলাম ঢাকার হয়ে প্রথম রাউন্ডে খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে কোনো রান না করা সাদমান দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩৭ রান। মমিনুল ইসলাম প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রামের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ১৩ রান। দ্বিতীয় রাউন্ডে কক্সবাজারে বরিশালের বিপক্ষে করেন ৯২ রান। তবে এখনো কোনো ম্যাচ খেলেননি হাসান মাহমুদ।

টেস্ট দলের নিয়মিত মুখরা লাল বলে ঠিক কতটা মানিয়ে নিয়েছেন- সেটা প্রমাণের মঞ্চ আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সেখানকার পারফরম্যান্সই বলে দেবে কতটা মানিয়ে নিতে পেরেছেন তারা।

জুনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল নিয়েই মুলত আয়ারল্যান্ডে সিরিজের পরিকল্পনা করছেন নির্বাচকরা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

ক্রিকেট
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত