বাংলাদেশের টার্গেট চূড়ান্ত পর্ব

এএফসি এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের দুটি নারী দল। গত জুলাইয়ে মিয়ানমারে বাছাই পর্ব উতরে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল। এরপর অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বের টিকিট কেটেছে। এবার বাংলাদেশের আরেকটি বয়সভিত্তিক নারী দলের সামনে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার হাতছানি।

চলতি মাসে জর্ডানে হবে বাংলাদেশের ‘এইচ’ গ্রুপের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের খেলা। ১৩ অক্টোবর স্বাগতিক জর্ডান আর ১৭ অক্টোরব চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে বাছাই পর্বে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই মধ্যপ্রাচ্য সফরে আজ রওনা দেবে কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল।

বাছাই পর্বের আগে আগামী ৭ ও ৯ অক্টোবর সিরিয়া ও দুবাইয়ের নারী দলের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। এ দুটি ম্যাচ খেলে ১০ অক্টোবর জর্ডানের উদ্দেশে রওনা দেবে অর্পিতা বিশ্বাসরা। বাছাই পর্বে দুই প্রতিপক্ষই ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ নারী দলের অবস্থান ১০৪তম।

আর জর্ডান ৭৬তম এবং চাইনিজ তাইপে রয়েছে ৪২তম অবস্থানে। শক্তিশালী এ দুই দলকে মোকাবিলা করার জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হওয়ার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কোচ সাইফুল বারীর অধীনে অনুশীলন করেন মেয়েরা।

এক সপ্তাহের প্রস্তুতি এবং দুবাইয়ে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার পুঁজি নিয়েই জর্ডানে হাজির হবেন তারা। আরব আমিরাতের বিমান ধরার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কোচ সাইফুল বারী বলেন, ‘ওরা (জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে) আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ওদের কোনো ভিডিও দেখিনি। ইউটিউবে জর্ডানের মেয়েদের একটি ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি, জর্ডান খুব পাওয়ারফুল দল। আবার আমাদের প্রথম ম্যাচ জর্ডানের সঙ্গে। আগে ওই দুই দলের খেলা হলে তাদের শক্তিমত্তা দেখে নিতে পারতাম। যাহোক, আমাদের মেয়েরাও অনেক শক্তিসম্পন্ন।’

নারী দলের অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস মনে করেন, সব শেষ সাফ ও দুবাইয়ে হতে যাওয়া দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে কাজে লাগবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো। সব শেষ সাফে ভালো খেলেছি। দুবাইয়ে শিখব- সেটা জর্ডানে কাজে লাগাব।’