ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে হারায় ফ্ল্যামেঙ্গা। টুর্নামেন্টের রাউন্ড অব সিক্সটিনেও খেলেছে তারা। এমন ছন্দে থাকা দলটির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সান্তোস। সাম্প্রতিক ফর্মে বিচারে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচটিতে নেইমার জুনিয়রের কল্যাণে ১-০ গোলে জিতেছে তারা। দল জেতানোর পথে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ফরওয়ার্ড।
আলবানো ক্যালদেইরা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ফলাফল নির্ধারণ করে দেওয়া গোলটি করেন নেইমার। এ নিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের ৭০০ গোল অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। এর মধ্যে নিজে করেছেন ৪৪৩ গোল। এছাড়া আরো ২৫৭ গোলে সহায়তা করেছেন তিনি।
চোটের কারণে নেইমারের জন্য পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকা এখন স্বপ্নের মতো। সম্প্রতি এক প্রীতি ম্যাচ শেষে জানান- বেশ ফিট আছেন তিনি। এই আত্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারকে পুরো ৯০ মিনিট খেলান সান্তোসের কোচ ফিলিপে লুইস। শুধু মাঠে থেকেই দায় সারেননি সাবেক আল হিলাল তারকা। এদিন বল পায়ে কারিকুরিতেও সমর্থকদের মন কেড়েছেন।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়েও সান্তোসকে গোল এনে দিতে পারেননি নেইমার। বিরতির পরও লম্বা সময় গোল হয়নি। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ৬ মিনিট আগে সতীর্থ গুইলেরমের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে বল জড়ান নেইমার।

